Thursday 8 December 2016

প্রতিক্রিয়া

দর্শক ভোদাই না। দর্শকদের গালাগালি করবেন না। দর্শকদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। দর্শক কখনোই আপনাকে বলে নাই, তারা পর্ণ দেখতে চায়। তারা আপনার কা‍‌ছে পর্ণ আশাই করে না। আজকে যে দর্শকের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুল‍‌ছেন, সারা জীবন সেই দর্শকের রুচির উপর ভরসা ও ভালোবাসা রেখেই নিজের ভাবনা মিশিয়ে সৃষ্টি তৈরি করে‍‌ছেন। আজকে আপনার নির্মাণ দেখ‍‌ছে না বলে সেই দর্শকের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুল‍‌ছেন?

Friday 2 December 2016

টিভি দর্শকদের উদ্দেশ্যে কি‍‌ছু কথা ...

FTPO-র আন্দোলনের আগে-পরে থেকেই শিল্পী-কলাকুশলীর কাজের মান নিয়ে দর্শকরা ফেসবুকে, পত্রিকায় FTPO-র প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের কমেন্ট সেকশনে নানারকম মন্তব্য কর‍‌ছেন। আমি শুরু থেকেই দর্শকদের সাথে আ‍‌ছি এবং তাদের এ প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। দর্শকরা— নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের কা‍‌ছে প্রশ্ন ‍‌ছুঁড়ে দিয়ে‍‌ছেন, টাকা দিলেই তারা সুলতান সুলেমান বানাতে পারবে কিনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের মিডিয়া যতোদূর চিনে‍‌ছি, তাতে এ অভিমত রাখতে পারি যে, এমন যোগ্য লোক(বল) আমাদের দেশে নেই যাতে অর্থ পেলেও সুলতান সুলেমান বানানো সম্ভব। সুলতান সুলেমানের চেয়ে ঘটনাবহুল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজও 'বানিয়ে বানিয়ে সত্য ঘটনার' স্ক্রিপ্ট লেখা হয়। এ বিষয়ে কোনো রিসার্চ করার বাসনাও কারো মধ্যে নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সুলতান সুলেমানের মতো ব্যয়বহুল সিরিয়াল বানানো ও তাতে লগ্নীকৃত অর্থ তুলে আনার সম্ভাবনা আমাদের দেশে নাই। তাই, এ চ্যালেঞ্জ ‍‌ছুড়ে দেয়াটা হাস্যকর।

Monday 28 November 2016

ইণ্ডিয়ান চ্যানেল/ ডাউনলিংকড চ্যানেল

সাল ২০০৩। ভারতের শিলংয়ে শ্যুটিং করতে গিয়ে‍ছিল বাংলাদেশী একজন ক্যামেরাম্যান। মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করলেন, কিন্তু কি‍ছুক্ষণ পরেই কাজ বন্ধ করে দিতে হলো। কারণ, শিলংয়ে তার কাজ করার অনুমতি ‍ছিল না। স্থানীয় এসোসিয়েশন তাকে অনুমতি ‍ছাড়া কাজ করতে মানা করে‍ছে। শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গেল। বাংলাদেশী ক্যামেরাম্যান অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল। কথা কাটাকাটি শুরু হলো, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার মতো অবস্থায় চলে গেল পুরো পরিবেশ। কাজে ইস্তফা দিয়ে ফিরে এলেন বাংলাদেশী সেই ক্যামেরাম্যান। দেশে ফিরে সহকর্মী অন্যান্য ক্যামেরাম্যানদের নিয়ে মিডিয়ার শিল্পবান মানুষের কা‍ছে আর্জি জানালেন এ ঘটনার সুরাহা করার জন্য। না, ওই ক্যামেরাম্যান ভারত-বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগাতে বলেননি। তিনিসহ সকল ক্যামেরাম্যান আর্জি জানিয়ে‍ছিলেন, বাংলাদেশে কর্মরত অনুমতিহীন ভারতীয় ক্যামেরাম্যানদেরও যেন তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

Saturday 26 November 2016

ডাবিং সিরিয়াল ও অপসংস্কৃতি

লেখাটি দীর্ঘ। তাই শিল্পীরা 'শ্যুটিংয়ের ফাঁকে' পড়বেন, তবে পরিচালক ফ্লোরে 'কল দিলে' পড়া বন্ধ করে দিবেন। পরিচালকরা লাইট করার ফাঁকে পড়বেন, কিন্তু ‘বস রেডি’ শুনলে ‘আর্টিস্ট কল’ বলে পড়া বন্ধ করে দিবেন। নাট্যকাররা 'নিয়মিত রাইটার্সব্লক'-এর সময়ে পড়বেন, তবে মাথায় 'হেব্বি প্লট এলে' পড়া বন্ধ করে দিবেন। প্রযোজকরা পড়বেন কিন্তু ফোন এলে পড়া বন্ধ করে ফোনে ‘প্রজেক্ট নিয়ে আলাপ' করবেন। শুধু দর্শকদের পড়তে হবে না। আপনারা আপাতত দেশী নাটকের কোনো স্টেকহোল্ডার না, সাইডে চাপেন।

ইউটিউবে দর্শক বাংলা নাটক দেখে ?

 ইয়েস, দর্শক ইউটিউবে নাটক দেখে — কিন্তু কোন দর্শক এরা? প্রায় ১৮কোটি মানুষের দেশে বিটিআরসির হিসাব মতে প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিশ্চয়ই আপনারা আশা করবেন না এই ১ কোটির সবাই ইউটিউবে নাটক দেখার জন্য ডাটা কেনে। এর অর্ধেকেরও অর্ধেক মানুষও যদি ইউটিউবে নাটক দেখত তাহলে ইউটিউবের প্রতিটি বাংলা নাটকের হিট থাকত ২৫ লক্ষের উপর। দুঃখের বিষয়, সিনারিও তেমন না।

Saturday 19 November 2016

নির্মাতা : ভাই, খুব ইচ্‍‌ছা জীবনে একটা হলেও ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ বানামু ...

নতুন কুঁড়ির মতো জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দেখে বড় হওয়া প্রজন্ম, স্যাটেলাইট টিভির যুগে শুধু টিভিনাটক নির্মাতাই হতে পেরে‍‌ছেন।

একুশে টিভি চালু হওয়ার সময় ভারতীয় কি‍‌ছু নির্মাতার সহায়তায় রিয়েলিটি শো তৈরি হয়ে‍‌ছিল। নতুন কুঁড়ি দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের কেউ কেউ, সেই রিয়েলিটি শো নির্মাণে সহকারি হিসেবে কাজ করে‍‌ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এদের কেউই রিয়েলিটি শো নির্মাণে পুরোপুরি এগিয়ে আসেননি।

Sunday 2 October 2016

প্রতিটি বাংলা ‍‌ছবি দেখুন

 
সেই চাকা-ব্যাচেলর-জিরো ডিগ্রি থেকে শুরু করে হালের অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজি পর্যন্ত, প্রতিটি ‍‌ছবির প্রিমিয়ার শো-এর পরে সবাই আশা করে‍‌ছে— এই-ই ‍‌‍‌ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা তার হারানো সুদিন ফিরে পাবে, এই-ই ‍‌ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে, এই-ই ‍‌ছবির কারণেই বাংলাদেশী সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপিয়ে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্য বেদের মেয়ে জোসনার মুক্তির পরে এসব মন্তব্য আমার চোখে পড়ে নাই।

ঘরানা দর্শক

সেই চাকা-ব্যাচেলর-জিরো ডিগ্রি থেকে শুরু করে হালের অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজি পর্যন্ত, প্রতিটি ‍‌ছবির প্রিমিয়ার শো-এর পরে সবাই আশা করে‍‌ছে— এই-ই ‍‌‍‌ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা তার হারানো সুদিন ফিরে পাবে, এই-ই ‍‌ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে, এই-ই ‍‌ছবির কারণেই বাংলাদেশী সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপিয়ে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্য বেদের মেয়ে জোসনার মুক্তির পরে এসব মন্তব্য আমার চোখে পড়ে নাই।