tag:blogger.com,1999:blog-37946580159740041072024-03-05T10:46:31.408+00:00অলৌকিক হাসানের ব্লগঅলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.comBlogger103125tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-90551818067524968932016-12-08T13:44:00.000+00:002017-01-19T12:10:59.689+00:00প্রতিক্রিয়া<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
দর্শক ভোদাই না। দর্শকদের গালাগালি করবেন না। দর্শকদের কমিটমেন্ট নিয়ে
প্রশ্ন তুলবেন না। দর্শক কখনোই আপনাকে বলে নাই, তারা পর্ণ দেখতে চায়। তারা
আপনার কাছে পর্ণ আশাই করে না। আজকে যে দর্শকের রুচি নিয়ে প্রশ্ন
তুলছেন, সারা জীবন সেই দর্শকের রুচির উপর ভরসা ও ভালোবাসা রেখেই নিজের
ভাবনা মিশিয়ে সৃষ্টি তৈরি করেছেন। আজকে আপনার নির্মাণ দেখছে না বলে সেই
দর্শকের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
সুলেমানের হেরেম না লিটনের ফ্ল্যাট, কোনটা বেশি অশ্লীল সেটা দর্শক ঠিকই বোঝে। দাসীবান্দির সাথে মনিবের<span class="text_exposed_show">
সংলাপ নাকি 'মাম্মাহ, মালটা জোশ না' কোন সংলাপ বেশি অশ্লীল সেটা দর্শক
জানে। কুটি টাকার ঝকঝকে সেট, নাকি আজ রবিবারের কাঠের সেট বেশি নান্দনিক সে
বিষয়ে দর্শক ভালোই সমঝদার। ১০টা অশ্লীল বাজে ইণ্ডিয়ান সিরিয়াল বন্ধের দাবি
না তুলে ১টা সুলেমানের পেছনে লাগাটা বড্ড দৃষ্টিকটু লাগছে। সুলেমানের
ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাকি ডাবিংগুলো বন্ধের দাবিও ভিন্ন ইঙ্গিত দেয়। আজকে
সুন্দরি রমণীর ক্লিভেজ দেখে ঈমান শক্ত হয়ে গেল আর অমনি অপসংস্কৃতির আওয়াজ
তুলে ফেললেন! দর্শকরা যথেষ্ট ইসলামি কিনা সে প্রশ্ন তুলে ফেললেন! তো আপনি
কী ইসলাম যথেষ্ট মানছেন? মেনে থাকলে ঘোষণা দিয়ে আগামীকাল থেকে এসব
মিডিয়াগিরি ছেড়ে দিন, ইসলাম মানুন। কারণ ইসলামে এসব হারাম। ফুলস্টপ ...</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
টেকাটুকা দিলে আমরাও পারি— এমন শিশুসুলভ আওয়াজ তুলে আর লোক হাসাবেন না।
আপনি সুলতান সুলেমান বানাবেন এটা দর্শকরা আশা করে না, চায়ও না। তারা চায়
আপনি যা-ই বানান তারা যেন সেটা স্বল বিজ্ঞাপন বিরতি ও পরিচ্ছণ্ন স্ক্রীণে
দেখতে পারে। দর্শকদের সেই চাওয়া প্রথমে পূরণ করুন। কান টানলে মাথা আসে,
বাকি সমস্যা তাই এমনিতেই ধীরে ধীরে সমাধান হবে।<br />
<br />
একজন নির্মাতা তার
সৃষ্টিতে দর্শকেরই গল্প দেখায়। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাপিত জীবনের
মানুষেরাই আমাদের গল্প, আমাদেরই দর্শক। একজন নির্মাতা প্রথমেই বিশ্বাস
স্থাপন করে তার দর্শকের</div>
<div class="_1dwg _1w_m _2ph_">
<div>
<div class="_5pbx userContent" data-ft="{"tn":"K"}" id="js_ghi">
<div class="text_exposed_root text_exposed" id="id_5880a724434045881037987">
<div class="text_exposed_show">
উপর, তাদের রুচির উপর। তার নির্মাণে সে দর্শকের পছন্দকেই প্রাধান্য দেয়।
তারপর পুরো বিষয়টা ঘটে নির্মাতারা মেধা ও উপস্থাপনার মাধ্যমে।<br />
<br />
নিজের অসফলতা/ খামতি দর্শকদের দিকে ঠেলে দিবেন না। দর্শকদের সম্মান করতে শিখুন।</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
<span></span></div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-77895676292094283122016-12-02T23:38:00.000+00:002017-01-19T12:09:06.921+00:00টিভি দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
FTPO-র আন্দোলনের আগে-পরে থেকেই শিল্পী-কলাকুশলীর কাজের মান নিয়ে
দর্শকরা ফেসবুকে, পত্রিকায় FTPO-র প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের কমেন্ট সেকশনে
নানারকম মন্তব্য করছেন। আমি শুরু থেকেই দর্শকদের সাথে আছি এবং তাদের এ
প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। দর্শকরা— নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের
কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, টাকা দিলেই তারা সুলতান সুলেমান বানাতে
পারবে কিনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের মিডিয়া যতোদূর চিনেছি, তাতে এ
অভিমত রাখতে পারি যে, এমন যোগ্য লোক(বল) আমাদের দেশে নেই যাতে অর্থ পেলেও
সুলতান সুলেমান বানানো সম্ভব। সুলতান সুলেমানের চেয়ে ঘটনাবহুল মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে আজও 'বানিয়ে বানিয়ে সত্য ঘটনার' স্ক্রিপ্ট লেখা হয়। এ বিষয়ে কোনো
রিসার্চ করার বাসনাও কারো মধ্যে নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সুলতান সুলেমানের মতো
ব্যয়বহুল সিরিয়াল বানানো ও তাতে লগ্নীকৃত অর্থ তুলে আনার সম্ভাবনা আমাদের
দেশে নাই। তাই, এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়াটা হাস্যকর।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
দর্শকরা আরো
সমালোচনা করছেন এই বলে যে, আগে বিটিভিতে কতো সুন্দর নাটক হতো, যেমন,
অয়োময়, বহুব্রীহি, তারও আগে সকাল সন্ধ্যা ইত্যাদি। কিন্তু দর্শকরা মনে
রাখবেন, বিটিভির মনোপলির যুগে আমাদের যা দেখানো হতো, আমরা তাই দেখতে বাধ্য
থাকতাম। ভালো ভালো নাটকের পাশাপাশি খারাপ নাটকও প্রচার হয়েছে। প্যাকেজ
চালু হওয়ার পর তা বেড়েছে (বিটিভিতেই)। বিটিভিতে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনও
প্রচার হতো। আমার মনে আছে, উপস্থাপকের নাটক শুরুর ঘোষণার পর যে বিজ্ঞাপন
চলত, ওইসময়ে টেবিলে ভাত-তরকারি সাজানো হতো। এরপর নাটকের মাঝে বিজ্ঞাপন
শুরু হলে দৌড়ে টেবিলে গিয়ে ভাত খেতে যেতাম। বিজ্ঞাপন বিরতির মাঝেই চটজলদি
ভাত খাওয়া সারা যেত। কখনও কখনও বিজ্ঞাপন বিরতি একটু কম হলে প্রায় শেষ হওয়া
ভাতের প্লেট নিয়েই দৌড়ে টিভির সামনে চলে যেতাম। তখন কিন্তু এই বিজ্ঞাপন
যন্ত্রণাকে আমরা মেনে নিয়েছিলাম। আমরা মেনে নিতে বাধ্য ছিলাম।<br />
<br />
এখন এই অয়োময়, বহুব্রীহি যতো ভালো নাটকই হোক, মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বিরতি
দিয়ে যদি আপনাকে দেখতে বলা হয়, দর্শক হিসেবে আপনি দেখবেন? সাথে সাথেই
রিমোট টিপে চলে যাবেন আরেক চ্যানেলে। আজকে কোটি টাকা বাজেট দিলে কিংবা
স্বয়ং সত্যজিৎ, ঋত্বিক আকাশ থেকে নেমে এসে নাটক বানালে আর সেটা ৫ মিনিট
দেখিয়ে ১২ মিনিট বিজ্ঞাপন চালালে (পপআপ, স্ক্রলের কথা না-ই বলি) দর্শক
হিসেবে আপনি প্রথম সুযোগেই ভেগে যাবেন। মান নিয়ে মাথা ঘাঁটাবেন না। সুতরাং
মান খারাপ মান খারাপ করে আর শিল্পী-কুশলীর জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন না।
বাজেট ভালো, কন্টেন্ট ভালো সর্বোপরি মান ভালো থাকলেও বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণায়
আপনি দেখতেন না।<br />
<br />
দেশের চলমান মিডিয়া আন্দোলন নিয়ে আমার পূর্ববর্তী
কোনো লেখাতেই তাই মানের প্রশ্ন আনিনি। কারণ আমি জানি, কী সীমাবদ্ধতায় তারা
কাজ করেন। সাথে সাথে এটাও মানি দেশের মিডিয়ার নানা সেক্টরে অর্ধেকেরও উপর
অযোগ্য লোক ভরে গেছে। তারপরও কিছু মানুষতো আছেন (সবসময়ই থাকেন) যারা
মান নিয়ন্ত্রণে প্রাণপাত করেন। আমি তাদের প্রতি সম্মান রেখে মানের প্রশ্নে
এখনও কোনো সন্দেহ রাখি না।<br />
কিন্তু সন্দেহ রাখি সেই মানসম্পন্ন নাটক
প্রচারে দর্শক হিসেবে আপনার অংশগ্রহণ আসলেই নিশ্চিত হবে কিনা। শিল্পী,
কলাকুশলীদের মান নিয়ে প্রশ্ন জারি রাখুন, কিন্তু মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান দেখার
সুযোগ তৈরির জন্য আপনারাও এগিয়ে আসুন। আমি বিশ্বাস করি, হাজারও
অপসংস্কৃতির(?) ভিড়ে আপনারা আজও বাংলাদেশের নাটক দেখতে ভালোবাসেন।<br />
<br />
আমি যতোদূর জানি, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম বলে একটি সংগঠনের অস্তিত্ব আছে।
আপনারা পথে নামুন। আপনাদের এক দফা দাবি হোক— সহনীয় বিজ্ঞাপন বিরতি ও
পরিচ্ছণ্ন স্ক্রিণ।<br />
<br />
সুবিধাভোগীদের ঝেঁটিয়ে ইউটিউবে পাঠিয়ে দিন। ওখানেই তারা চরে খাক।<br />
<br />
প্রিয় দর্শক, 'অন্তত প্রাইম টাইমে' ঘন্টায় ১৫ মিনিট (৩ মিনিট বেশি ধরলাম)
বিজ্ঞাপন প্রচারের নীতিমালা থাকলে, আপনি মাত্র ৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন বিরতিতে
আরাম করে নাটক দেখতে পারবেন। তখন টিভিগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা শুরু হবে,
কারণ ওই ১৫ মিনিট বেচে তাদের এক ঘন্টার চাঙ্কের পয়সা তুলতে হবে। বাজারে
টিকে থাকতে হলে শুরু হবে কোয়ালিটির (মানসম্পন্ন) অনুষ্ঠান/ নাটক কেনা। তখন
মেধাবীরাই এগিয়ে আসবে।<br />
<br />
সুধী দর্শক, ইণ্ডিয়ার চ্যানেলে বাংলাদেশী
বিজ্ঞাপন বন্ধ হলে ওই জায়গায় ইণ্ডিয়ান বিজ্ঞাপন চলবে, এতে আপনার ইণ্ডিয়ান
সিরিয়াল দেখতে অসুবিধা হবে না। ডাব বন্ধ হলে আপনি ইউটিউবে দেখবেন নয়তো
ভিনদেশী আরেকটি টিভিতে সময় দেবেন। এআইটি পূণঃনির্ধারণে আপনার পকেটের অবস্থা
আগের মতোই থাকবে। এজেন্সি গেলে, কমিশনিং আসবে, সিণ্ডিকেট আসবে। ইণ্ডিয়ান
আর্টিস্ট বাংলা নাটকে অভিনয় করলেই কী বা না করলেই কী, আপনি তো বাংলা নাটক
দেখেন না আজকে ৬/৭ বছর ধরে।<br />
<br />
সম্মানীত দর্শক, সুষ্ঠু 'বিজ্ঞাপন
প্রচার নীতিমালা' হলে অনেকেরই সমস্যা হবে। কয়েকটা টিভি বন্ধও হতে পারে
(অথবা মালিকের প্রচুর অর্থলগ্নী করতে হবে)। রঙ মাখা কিছু অভিনয়শিল্পী
ফেসবুকের প্রোফাইলেই লটকে থাকবে। কিছু নির্মাতা ড্রিম প্রজেক্ট ড্রিম
প্রজেক্ট বলে বিভিন্ন মোড়ে, হাউসে, এজেন্সিতে ঘুরতে থাকবে। কিছু
স্ক্রিপ্টরাইটার গুগলের সার্চবক্সে romantic short stories লেখাটির দিকে
তাকিয়েই থাকবে। কিছু প্রযোজক ল্যাপটপ আর আইফোন ফেরত চেয়ে sms লিখবে।<br />
<br />
কিন্তু শিল্প বাঁচবে।<br />
<br />
পুনশ্চ : অনেকে বলছেন, ক্যাবল অপারেটরদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে
টিভিমালিকদের দেওয়া হোক। আমি এতে সম্পূর্ণ একমত। বাংলাদেশেই সম্ভব, চোখের
সামনে অন্যের মাল (কন্টেন্ট) বেচে ব্যবসা করে পয়সা না দেয়া। তবে এটা হতে
পারে সেকেণ্ড দাবি। এবং টিভি মালিকরা সরকারকে চাপ দিয়ে ক্যাবল অপারেটরদের
বাধ্য করে পয়সা আদায় করে নেবে FTPO কে সাথে নিয়ে। কিন্তু আবার এমনও উদাহরণ
আছে (যেমন, বৃটেনে) সম্পূর্ণ ফ্রি চ্যানেল হওয়ার পরও শুধুমাত্র
কন্টেন্টের জোরে বিজ্ঞাপনের অর্থ দিয়েই তারা লাভবান হচ্ছে।</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-5598514364903020252016-11-28T06:07:00.000+00:002017-01-19T12:06:24.204+00:00ইণ্ডিয়ান চ্যানেল/ ডাউনলিংকড চ্যানেল<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সাল ২০০৩। ভারতের শিলংয়ে শ্যুটিং করতে গিয়েছিল বাংলাদেশী একজন
ক্যামেরাম্যান। মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই কাজ
বন্ধ করে দিতে হলো। কারণ, শিলংয়ে তার কাজ করার অনুমতি ছিল না। স্থানীয়
এসোসিয়েশন তাকে অনুমতি ছাড়া কাজ করতে মানা করেছে। শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গেল।
বাংলাদেশী ক্যামেরাম্যান অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল। কথা কাটাকাটি শুরু হলো,
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার মতো অবস্থায় চলে গেল পুরো
পরিবেশ। কাজে ইস্তফা দিয়ে ফিরে এলেন বাংলাদেশী সেই ক্যামেরাম্যান। দেশে
ফিরে সহকর্মী অন্যান্য ক্যামেরাম্যানদের নিয়ে মিডিয়ার শিল্পবান মানুষের
কাছে আর্জি জানালেন এ ঘটনার সুরাহা করার জন্য। না, ওই ক্যামেরাম্যান
ভারত-বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগাতে বলেননি। তিনিসহ সকল ক্যামেরাম্যান আর্জি
জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে কর্মরত অনুমতিহীন ভারতীয় ক্যামেরাম্যানদেরও যেন
তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
বিনিময়ে সেই ক্যামেরাম্যানসহ অন্যান্য
ক্যামেরাম্যান কী পেয়েছিলেন, জানেন? বাংলাদেশেই, শিল্পের সাথে তাদের
রুটিরুজির বন্দোবস্ত, বন্ধ করে দেয়ার হুমকি। যে শিল্পবান মানুষ এই হুমকি
দিয়েছিলেন,বিভিন্ন মিটিংয়ে শিল্প বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বক্তব্য রাখতে দেয়া
যায় তাকে।<br />
<br />
একুশে টেলিভিশন চালু হওয়ার পর ভারতীয় ক্যামেরাম্যান,
পরিচালক ধুমায়ে কাজ শুরু করেছিল এদেশে। এদেরই সতীর্থ হয়েছিল বাংলাদেশেরই
কিছু দোসর। লাল নীল নানা বর্ণিল ফিল্টার ব্যবহার করে ওইসব ভারতীয়রা এদেশের
শিল্পবান মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল। আমাদের অভিনয়শিল্পীদের ঘরে
তুলেছিল, আবার ছেড়েও গিয়েছিল।<br />
<br />
একজন শৈল্পিক মানুষ
দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হন। কিন্তু আমাদের দূভার্গ্য যারা আমাদের শিল্পের নেতৃত্ব
দেন তাদের অদূরদৃষ্টির অভাবে আজকে দর্শকরা দেশের টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছেন। ওইসব ক্যামেরাম্যানরা বিচার পাননি, কিন্তু তারা থেমে থাকেনি।
তাদের লাল নীল ফিল্টার না থাকলেও স্বচ্ছ কাঁচে ভ্যাসলিন মাখিয়ে ডিফিউজার
বানিয়েছিল। আজকাল HD 16:9 ফুটেজের ছড়াছড়ি। অথচ তখন ওই ক্যামেরাম্যানরা
লেন্সের ক্যাপে কালো স্কচট্যাপ লাগিয়ে সিনেমাস্কোপ বানাতো। নাটকে, সিনেমা
বানানোর কী অদম্য নেশা ছিল তাদের।<br />
<br />
FTPO-র একটি দাবি হলো, এদেশে
ডাউনলিঙ্কড চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা। খেয়াল করবেন তারা
কিন্তু ডাউনলিঙ্কড চ্যানেল বন্ধ করার দাবি জানাননি। শিল্পবান মানুষ উদার
হন, তাই হয়তো আকাশসংস্কৃতির এ যুগে বদ্ধ দুয়ারের বিপক্ষে তারা। কিন্তু এখন
যদি FTPO–র দাবি মেনে ওইসব চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ হয় তাহলে
কি দেশীয় দর্শকরা ওইসব ভারতীয় চ্যানেল ছেড়ে এসে বাংলাদেশী চ্যানেলে নাটক
দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে? যদি না হয়, তাহলে এই দাবির স্বার্থকতা কী? দেয়ালে
পিঠ ঠেকে গেছে বলে যে আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে তাতে তো ওইসব চ্যানেল
বন্ধের দাবিই ছিল সবচেয়ে যৌক্তিক। এবং এ দাবি FTPO–র নেতাদের মুখ দিয়ে
সরাসরি বের হওয়া দরকার ছিল। এতে দর্শকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও তাদের
বাধ্য করা যেত দেশীয় টিভিতে ফিরতে। কিন্তু না, সেটা সম্ভব না আমাদের কলুষিত
শিল্পবানদের পক্ষে।<br />
<br />
ওইসব চ্যানেল বন্ধের দাবি জানালে ‘যাদুর শহর
ঢাকা’য় তখন ‘ক্লাসিকাল সঙ্গীত’-এর মূচ্র্ছণা কেটে যাবে। এ যাতনা সওয়া
কঠিন। তখন হিসাবেও অনেক গণ্ডগোল হয়ে যাবে।<br />
<br />
এ গণ্ডগোলের হিসেব যারা
বোঝে না এবং বিদেশি কার্টুন থাণ্ডার ক্যাটস দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের
ছেলেমেয়েরা যখন ডোরেমন দেখে বড় হয়, মুখে হিন্দি বোল ফুটে, তখন শিল্পের
বাইরের মানুষেরা প্রতিবাদ করে। যখন পাখী ড্রেস না পাওয়ার কারণে আত্মহত্যার
ঘটনা ঘটে তখন শিল্পের বাইরের মানুষেরা হিন্দি চ্যানেল বন্ধে আদালতে রীট
করে। শিল্পের মানুষেরা সেই ফুরসতে প্রচুর এওয়ার্ড ঘরে তোলে।<br />
<br />
ওদিকে
সরলমনা ভাইয়া ও কোমলমতি আপ্পিরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েই যাচ্ছেন, কেন
বছরে নামমাত্র দেড়লাখ টাকায় ডাউনলিংক চ্যানেল চলার পারমিশন দেয়া হল
বাংলাদেশে। পাশাপাশি ভারতে বাংলাদেশী চ্যানেল চালু করতে কেন ৬ কোটি (টাকা
না রুপী?) লাগে সে ব্যাপারে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ছেন। সময়ের এসব সাহসী
সন্তানদের মনে কি একবারও প্রশ্ন জাগল না, কেন বাংলাদেশী টিভিগুলো ভারতে চলে
না? নাকি ক্রমাগত ভারত বিরোধীতার সংস্কৃতিতে এ একটি নতুন পালক?<br />
<br />
ইণ্ডিয়ান মিনিস্ট্রি অফ ইনফরমেশন এণ্ড ব্রডকাস্টিং-এর নিয়ম মতে দেশের
বাইরের কোনো চ্যানেলকে (Up-linked from Aboard) ভারতে সম্প্রচার করতে হলে
(down-linked in India) স্থানীয় লাইসেন্সড কোনো কম্পানির মাধ্যমে
মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। ওই কম্পানির (Required Net Worth)
থাকতে হবে first টিভির জন্য ৫ কোটি রুপি এবং পরবর্তী প্রতিটি additional
টিভির জন্য ২.৫ কোটি রুপী। এখন যদি বাংলাদেশী ৫টি টিভি একত্রে সিদ্ধান্ত
নিয়ে ভারতের কোনো কম্পানির মাধ্যমে ভারতে সম্প্রচার চালাতে চায় তাহলে
প্রতিটি বাংলাদেশী টিভি অর্থ পরিশোধ করতে পারে এভাবে ৫ + (২.৫ x ৪) = ১৫/৫ =
৩ কোটি। অর্থাৎ ৬ কোটি নয়, ৩ কোটিতেই ভারতে সম্প্রচার সম্ভব যদি ৫টি
বাংলাদেশী টিভি একত্রে ভারতে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সেক্ষেত্রে ৫টি
বাংলাদেশী টিভির মাসিক খরচ পড়বে মাত্র ২৫ লাখ টাকা, দৈনিক ১ লাখ টাকারও কম।
বাংলাদেশী টিভিগুলো ভারতে সম্প্রচারে তারপরও আগ্রহী হয় না কেন? এই ফাঁকে
বলে রাখি, এ অনুমতি ১০ বছরের জন্য প্রযোজ্য।<br />
<br />
তবে ভারতে ডাউনলিংক করে সম্প্রচার করতে দেশের বাইরের চ্যানেলগুলোকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়েছে।<br />
<br />
1. NON NEWS and CURRENT AFFAIRS CHANNEL<br />
2. NEWS and CURRENT AFFAIRS CHANNEL<br />
<br />
এই দুটো ক্যাটাগরিতে যেসব ডাউনলিংকড চ্যানেল ভারতে বর্তমানে চলছে, তার
লিস্ট (দুটো লিংক) লেখার শেষে দেয়া আছে। আগ্রহীরা ক্লিক করে দেখে নেবেন এই
দুটো ক্যাটাগরিতে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে চালুর অনুমতি পাওয়ার
যোগ্যতা রাখে কিনা। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো না পুরোপুরি NEWS চ্যানেল, না
পুরোপুরি NON-NEWS চ্যানেল। তাই আমাদের এসব ওরস্যালাইন চ্যানেলগুলো আদৌ
ক্রাইটেরিয়ায় পড়ে কিনা সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত জিজ্ঞাসা করা যেতে
পারে।<br />
<br />
যদি ক্রাইটেরিয়ায় না পড়ে, তাহলে ফ্রিতেও কি ভারত ভ্রমণ সম্ভব
আমাদের টিভিগুলোর? তাহলে কি ইউটিউবের কুটি কুটি ভিউয়ারসই (কোন দেশ থেকে হিট
পড়ে?) একমাত্র ভরসা হয়ে থাকবে আমাদের?<br />
দেখলেন তো ইণ্ডিয়ানদের
দেশপ্রেম। কতো ফ্যাকড়া করে রেখেছে। তবে সবচেয়ে বড় ফ্যাকড়া কোনটা জানেন?
বিজ্ঞাপন প্রচারের নিয়ম। ভারতের প্রাইভেট চ্যানেলগুলোতে ঘন্টায় ১২ মিনিটের
বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় না (চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রোমো সহ)। এবং
প্রতি ১৫ মিনিট পরপর বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়। ব্যস এতোটকু ইনফরমেশনই
আমাদের দরকার।<br />
<br />
দর্শকদেরও একটাই দাবি— পরিমিত বিজ্ঞাপন প্রচার।
কিন্তু FTPO নেতাদের দাবিতে এটা নেই। আজকে বাংলাদেশী টিভিগুলো থেকে
দর্শকদের মুখ ঘুরিয়ে ফেলার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার।
বাংলাদেশে ডাউনলিংক চ্যানেলে দেশী বিজ্ঞাপন চলল কিনা সেটা দর্শকদের
মাথাব্যথা নয়। তারা দেশের অনুষ্ঠান দেখতে এখনো আগ্রহী, যদি দেখার সুযোগ করে
দেয়া হয়। এ দর্শকদের ফেরাতে চাইলে ডাউনলিংক চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ নয়,
চ্যানেল বন্ধ করার দাবি তোলা যায় যেখানে ভারতে বাংলাদেশী চ্যানেলের
প্রবেশের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত,প্রায় বন্ধ। কিন্তু নেতারা এ দাবি তুললে
‘যাদুর শহর’ ঢাকার ‘ক্লাসিকাল সঙ্গীত’এর তাল লয় সুর কেটে যাওয়ার ভয় আছে।<br />
<br />
আজকে FTPO–র সকল দাবি মেনে নেয়া হলেও সমস্যার কোনো সুরাহা হবে না, যতক্ষণ
না পরিচ্ছণ্ন স্ক্রীণে (পপআপ, স্ক্রল, টীকার ছাড়া) পরিমিত বিজ্ঞাপন
প্রচার শুরু হচ্ছে। অথচ এর পরিবর্তে চ্যানেলগুলোর ডাবিং সিরিয়ালের সময়
কেড়ে নিয়ে নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চলছে অপসংস্কৃতি, শিল্প ও
রুটি-রুজির দোহাই দিয়ে (বাধ্য হয়ে ইতিমধ্যে দুয়েকটা টিভি প্রাথমিক অঙ্গিকার
করেছে তারা ডাবিং বন্ধ করবে) । যেখানে টিভিগুলোর সাথে এক হয়ে এ সমস্যার
সমাধানের প্ল্যান করা উচিত ছিল, সেখানে টিভিগুলোকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা
হয়েছে।<br />
<br />
বছরে দেড় লক্ষ টাকায় ভারতীয় চ্যানেল চলা অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের গাফিলতি। কিন্তু এটাই কি মূল সমস্যা?<br />
<br />
দেশের গুণী নাট্য ও চিত্র পরিচালক অনিমেষ আইচ গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, <br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizJ6yQff-R68vE7ur4WYnFMvdDIWcXPLZNyu2FlrWJk292LzgpCcK-_0u_Kr52v6XaGU9JPwsiPsFU5eW-q1V1eEIZJv6P5JkK73E1_rzWO9yg2PLlIY-URrO5xqtDnGQP4fdvkO_GBbru/s1600/Animesh+Status.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="331" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizJ6yQff-R68vE7ur4WYnFMvdDIWcXPLZNyu2FlrWJk292LzgpCcK-_0u_Kr52v6XaGU9JPwsiPsFU5eW-q1V1eEIZJv6P5JkK73E1_rzWO9yg2PLlIY-URrO5xqtDnGQP4fdvkO_GBbru/s400/Animesh+Status.jpg" width="400" /></a></div>
<blockquote class="tr_bq">
২০০৩ সালের ঘটনা, বয়সে নিতান্তই তরুণ
আমি। মাথায় ভূত চাপল একটা টেলিভিশন ফিকশন বানাব। HSBC ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে
ফেললাম। স্ক্রিপ্ট লেখা হলো, ছাদের উপর ছোট স্টুডিওতে ছয়মাস চলল
রিহার্সাল ও নানান পরিকল্পনা ... ... পাগলামি পাগলামি। সত্য আর সরলতা
মিলেমিশে একাকার। নাটকটি/ টেলিফিল্মটি এনটিভিতে প্রচার হলো। আরো অবাক কাণ্ড
হলো, ওইবার মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ
নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক ইত্যাদি সকল শাখায়
পুরষ্কার জেতে আমার কুফা নাটকটি।</blockquote>
<br />
আবারও সেই সাল ২০০৩। অনিমেষ
আইচের নাটক কুফা, ইংরেজিতে তিনি লিখেছেন KUFA যার আদ্যাক্ষর হলো K.
পাঠকবৃন্দ, সেই ২০০৩ সালেও বাংলাদেশে আজকের মতোই ভারতীয় চ্যানেলগুলো
জনপ্রিয় ছিল। আপনাদের মনে থাকতে পারে K আদ্যাক্ষরের ভারতীয় সিরিয়ালগুলো
(Kumkum, Kasuti zindagi ki, Kyunki saas bhi kabhi bahu thi) ছাড়াও
অন্যান্য হিন্দি অনুষ্ঠান জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু এগুলো সবকিছু ফেলে দেশের
দর্শক অনিমেষ আইচের K আদ্যাক্ষরের কুফা নাটকটি দেখেছে। কারণ ওইসব ভারতীয়
চ্যানেলগুলোর মাঝেও দেশের দর্শক খুবই পরিমিত বিজ্ঞাপন বিরতিতে দেশের নাটক
দেখার সুযোগ পেত।<br />
<br />
এরকম আরো অনেক অনিমেষ আইচ আমাদের ছিল, আছে,
যাদের পাগলামি দর্শকদের দেখতে দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়াটাই আমাদের প্রথম ও
একমাত্র দাবি হওয়ার কথা ছিল। বাকি সব ধইঞ্চা ...<br />
সরলমনা ভাইয়া ও
কোমলমতি আপ্পি, আপনাদের আবেগকে সম্মান করি। কিন্তু যে তরিকায় এগোচ্ছেন
তাতে আপনাদের রুটিরুজি বাঁচবে, বাড়বে— কিন্তু শিল্প মরবে। ধন্যবাদ।<br />
<br />
<br />
<br />
———————————————————<br />
<br />
<br />
ইণ্ডিয়ান মিনিস্ট্রি অফ ইনফরমেশন এণ্ড ব্রডকাস্টিং রেফারেন্স (লিংক)<br />
<br />
<a href="http://mib.nic.in/WriteReadData/documents/AppliFormDownlinkTVChannel.pdf" target="_blank">ডাউনলিংক চ্যানেলের জন্য আবেদনপত্র</a><br />
<br />
<a href="http://mib.nic.in/%E2%80%A6/docu%E2%80%A6/Downlinking_Guidelines05.12.11.pdf" target="_blank">গাইডলাইন</a><br />
<a href="http://www.mib.nic.in/WriteReadData/documents/pc1.pdf" target="_blank"></a><br />
<a href="http://www.mib.nic.in/WriteReadData/documents/pc1.pdf" target="_blank"> অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন কোড</a><br />
<br />
<a href="http://mib.nic.in/WriteReadData/documents/status_5b.pdf" target="_blank">Non‐News & Current Affairs TV channels Downlink into India (Uplinked from Aboard)</a><br />
<br />
<a href="http://mib.nic.in/WriteReadData/documents/status_5a.pdf" target="_blank">News & Current Affairs TV channels Downlink into India (Uplinked from Aboard) </a></div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-29238989581774290462016-11-26T23:04:00.000+00:002017-01-19T11:52:57.055+00:00ডাবিং সিরিয়াল ও অপসংস্কৃতি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div data-contents="true">
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="ad9o8-0-0">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUz7KucO1ioSNe8zhsx0rPbMOunYeRxm_Ymg47yHRKR_irMT6J-l6z0XKN8f2oRQ_6xn8UGALTRx6bbj4MCaeaCqM-WnlQpvRWjpzGhShFNbXmOQ6ykjJSLhXw__7A1tneCbYe0Nvc0K9i/s1600/Sultan.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img border="0" height="223" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUz7KucO1ioSNe8zhsx0rPbMOunYeRxm_Ymg47yHRKR_irMT6J-l6z0XKN8f2oRQ_6xn8UGALTRx6bbj4MCaeaCqM-WnlQpvRWjpzGhShFNbXmOQ6ykjJSLhXw__7A1tneCbYe0Nvc0K9i/s400/Sultan.jpg" width="400" /></a></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ad9o8-0-0">
<span data-offset-key="ad9o8-0-0"><span data-text="true">লেখাটি দীর্ঘ। তাই শিল্পীরা 'শ্যুটিংয়ের ফাঁকে' পড়বেন, তবে পরিচালক ফ্লোরে 'কল দিলে' পড়া বন্ধ করে দিবেন। পরিচালকরা লাইট করার ফাঁকে পড়বেন, কিন্তু ‘বস রেডি’ শুনলে ‘আর্টিস্ট কল’ বলে পড়া বন্ধ করে দিবেন। নাট্যকাররা 'নিয়মিত রাইটার্সব্লক'-এর সময়ে পড়বেন, তবে মাথায় 'হেব্বি প্লট এলে' পড়া বন্ধ করে দিবেন। প্রযোজকরা পড়বেন কিন্তু ফোন এলে পড়া বন্ধ করে ফোনে ‘প্রজেক্ট নিয়ে আলাপ' করবেন। শুধু দর্শকদের পড়তে হবে না। আপনারা আপাতত দেশী নাটকের কোনো স্টেকহোল্ডার না, সাইডে চাপেন।</span></span><br />
<a name='more'></a></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ad9o8-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="e7o50-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e7o50-0-0">
<span data-offset-key="e7o50-0-0"><span data-text="true">টিভি নাটকের সুদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ফেডারেশন অফ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন বা FTPO ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। আসুন দফাগুলো দেখে নিই, </span></span></div>
</div>
<ol class="_1bv1" data-offset-key="a737j-0-0">
<li class="_2cuy _509s _3kp_ _3kq0 _3kq1 _3kq6" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="a737j-0-0"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="a737j-0-0">
<span data-offset-key="a737j-0-0"><span data-text="true">দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল/অনুষ্ঠান বন্ধ করা ।</span></span></div>
</li>
<li class="_2cuy _509s _3kp_ _3kq1 _3kq6" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="becjt-0-0"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="becjt-0-0">
<span data-offset-key="becjt-0-0"><span data-text="true">টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট/এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত, চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া।</span></span></div>
</li>
<li class="_2cuy _509s _3kp_ _3kq1 _3kq6" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="4a0nq-0-0"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4a0nq-0-0">
<span data-offset-key="4a0nq-0-0"><span data-text="true">দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধ কাজ বন্ধ করা। বিশেষ প্রয়োজনে কাজ করতে হলে সরকারের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নিবন্ধিত করা। অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা।</span></span></div>
</li>
<li class="_2cuy _509s _3kp_ _3kq1 _3kq6" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="4r1h2-0-0"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4r1h2-0-0">
<span data-offset-key="4r1h2-0-0"><span data-text="true">টেলিভিশন শিল্পের এআইটি-র নূন্যতম ও যৌক্তিক হার পুনঃনির্ধারণ করা।</span></span></div>
</li>
<li class="_2cuy _509s _3kp_ _3kq1 _3kq6" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="eo21v-0-0"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="eo21v-0-0">
<span data-offset-key="eo21v-0-0"><span data-text="true">ডাউনলিঙ্ক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করা।</span></span></div>
</li>
</ol>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="2begg-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2begg-0-0">
<span data-offset-key="2begg-0-0"><span data-text="true">আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি কিন্তু আসলে অসময়োপযোগী ও তুলনামুলক কম গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর এ দফাগুলোতে দর্শকদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ অবহেলিত দর্শকদের রয়েছে একটি মাত্র দফা। তা হলো— নাটকের মাঝে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের যন্ত্রণা (সাথে স্ক্রল, পপআপ ইত্যাদি) বন্ধের দাবি। সাথে মানের প্রশ্ন তো থাকলই। তাহলে দর্শকদের স্বার্থ রক্ষা না করে এই ৫ দফা আসলে কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে? </span></span><span data-offset-key="2begg-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">সহজ উত্তর</span></span><span data-offset-key="2begg-0-2"><span data-text="true">— </span></span><span data-offset-key="2begg-0-3" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">দর্শক বাদে নাটক সংশ্লিষ্ট সবার।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2begg-0-0">
<span data-offset-key="2begg-0-3" style="font-weight: bold;"><span data-text="true"> </span></span><span data-offset-key="2begg-0-4"><span data-text="true"> </span></span></div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="9e9d9-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9e9d9-0-0">
<span data-offset-key="9e9d9-0-0" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">১ নম্বর দফায় </span></span><span data-offset-key="9e9d9-0-1"><span data-text="true">কেনই বা শুধু দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত সিরিয়াল/ অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি! সরকারি টিভির নাম কই? এখনও অন্যান্য টিভির তুলনায় বিটিভির দর্শকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিটিভি যদি পূর্বের মতো আগামীকাল থেকে নতুন কোনো ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করতে শুরু করে তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি টিভি দর্শক বিটিভিমুখী হবে। তখন FTPO কোনমুখে সেটা বন্ধ করতে বলবে? তাদের দফায় তো বিটিভির নাম-ই নেই! ১ নম্বর দফায়, সিরিয়ালের পাশাপাশি বাংলায় ডাবকৃত অনুষ্ঠানের কথাও বলা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান হতে পারে একটি প্রামাণ্যচিত্র কিংবা ভ্রমণচিত্র। সেগুলো বন্ধ করতে বলার যুক্তি কী? আচ্ছা, বাংলায় ডাবে সমস্যা? যদি ইংরেজি ভাষায় বিদেশি সিরিয়াল প্রচার চালু রাখে, তাহলে? যেমনটা ম্যাকগাইভার, এক্সফাইল, দ্যা ফল গাই, দ্যা এ টিম, ম্যান ফর আটলান্টিক, ডালাস, ম্যানিমেল, স্ট্রিট হক আমরা দেখেছিলাম। তখন চ্যানেল একটাই ছিল বাংলাদেশে। সরকারি বিধায় দেশের সংস্কৃতি রক্ষার দায় পুরোটা তাদের কাঁধেই ছিল। কিন্তু এ দায়দায়িত্বের বেশ বড়সড় একটা চাঙ্ক বিদেশি সংস্কৃতিতে বিলিয়ে দেয়ায় এখন কি বিটিভির বিচার চাওয়া যাবে?</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9e9d9-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="5r6av-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5r6av-0-0">
<span data-offset-key="5r6av-0-0"><span data-text="true">এখন পর্যন্ত চ্যানেল আই (লুকানো ভালোবাসা), মাছরাঙ্গা (টিপু সুলতান), দীপ্ত টিভি (সুলতান সোলেমান), ইটিভি (সীমান্তের সুলতান) ও আরটিভি (সিণ্ডারেলার বোন) সহ মোট ৫টি চ্যানেল বাংলায় ডাবকৃত সিরিয়াল প্রচার করছে। আরো কয়েকটি চ্যানেলে বাংলা ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের অপেক্ষায় আছে। এসব অপসংস্কৃতির ধারকবাহক (তর্কসাপেক্ষ) ৪৫ মিনিট ব্যাপী সিরিয়ালগুলো সপ্তাহে গড়ে পাঁচদিন প্রচারিত হয়। </span></span><span data-offset-key="5r6av-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">তারমানে ১টি চ্যানেলের পর্দায়, সপ্তাহে (৪৫ x ৫)= ২২৫ মিনিট, বছরে (২২৫ x ৫২)= ১১৭০০ মিনিট, দেশজ অনুষ্ঠান (মূলত নাটক) প্রচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। </span></span><span data-offset-key="5r6av-0-2"><span data-text="true">পুনঃপ্রচারের হিসাব আপাতত বাদ।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5r6av-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="a0tqd-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="a0tqd-0-0">
<span data-offset-key="a0tqd-0-0"><span data-text="true">বর্তমানে একক নাটক বা সিঙ্গেল নাটক তৈরি হয় ৪০-৪২ মিনিট ব্যাপ্তিতে। মাঝে মাঝে ঈদ মৌসুমে ৩০ মিনিটেও একক নাটক নির্মাণ হয়। </span></span><span data-offset-key="a0tqd-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">যদি ৪২ মিনিট ধরে হিসাব করি তাহলে বছরে (১১৭০০/৪২)= ২৭৮টি দেশজ সিঙ্গেল নাটক এবং ২১ মিনিট ধরে হিসাব করলে (১১৭০০/২১)= ৫৫৭টি দেশজ ধারাবাহিক পর্ব প্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। </span></span><span data-offset-key="a0tqd-0-2"><span data-text="true">দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মাঝে প্রায় ১৫টি চ্যানেলে নাটক প্রচার হয়। উপরের ৫টি চ্যানেল ছাড়াও অন্যান্য চ্যানেলের পাইপলাইনে থাকা ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়ালগুলো প্রচারের অপেক্ষায় আছে। কোনো কোনো টিভি কর্তৃপক্ষ বিদেশি সিরিয়ালগুলো প্রচারণার জন্য এসএমএস করা শুরু করেছে। </span></span><span data-offset-key="a0tqd-0-3" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">ধরে নিই, মোট ১০টি চ্যানেল বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করলে (হিসাব দ্বিগুণ হয়ে) বছরে দেশীয় ৫৫৬ টি সিঙ্গেল নাটক বা ১১১৪টি ধারাবাহিক পর্ব প্রচারের সুযোগ হারিয়ে যায়।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="a0tqd-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="fepvm-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fepvm-0-0">
<span data-offset-key="fepvm-0-0"><span data-text="true">পুরোনো ওই ৫টা চ্যানেলকেই হিসেবে রাখি। ডাবিং সিরিয়াল বন্ধ হলে বছরে ২৭৮টি সিঙ্গেল নাটক বা ৫৫৬টি ধারাবাহিক পর্ব নির্মাণ শুরু হলে FTPO–র সঙ্গে জড়িত ১৩টি সংগঠনের সবাই উপকৃত হয়। প্রত্যেকেরই চলমান কাজের সাথে সাথে বাড়তি উপার্জন নিশ্চিত হয়।</span></span></div>
</div>
<h2 class="_2cuy _50a1" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="4ekcf-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4ekcf-0-0">
<span data-offset-key="4ekcf-0-0"><span data-text="true">অপসংস্কৃতি কোথায় ধরতে পেরেছেন পাঠকবৃন্দ? বাংলায় ডাব করা বিদেশি সিরিয়ালে অপসংস্কৃতি আছে কিনা সেটার চেয়ে বড় কথা হলো বছরে ডাবিং সিরিয়ালের কারণে এতোগুলো দেশীয় নাটক নির্মাণ হচ্ছে না— এটাই অপসংস্কৃতি।</span></span></div>
</h2>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="9ic24-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9ic24-0-0">
<span data-offset-key="9ic24-0-0"><span data-text="true">FTPO-র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নাটক নির্মাণের সঙ্গে যেহেতু হাজার হাজার কর্মী জড়িত, তাদের কথা চিন্তা করে ডাবিং সিরিয়াল বন্ধ করে দেশীয় নাটক নির্মাণের সুযোগ তৈরি করা যেতেই পারে। উত্তম যুক্তি। আবার টিভি কর্তৃপক্ষের নানাজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যোগ করলে অনেক বড় অঙ্ক হলেও দৈনিক মাত্র ৪৫ মিনিট নিয়ে নেওয়ার ফলে নাটক নির্মাণের সাথে জড়িত হাজার হাজার কর্মীর সমস্যা আসলে কতো বড় হয়?</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9ic24-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="8rf4p-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8rf4p-0-0">
<span data-offset-key="8rf4p-0-0" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">কিন্তু এই পুরো অঙ্কের মধ্যে দর্শক কই? কেউ কি তাদের কথা শুনতে চেয়েছে? তারা ডাবিং সিরিয়াল দেখতে চায় কিনা জানতে চেয়েছে? এ সংক্রান্ত কোনো গবেষণা আছে, জরিপ আছে? কিছুই নাই। নাটক সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার কর্মীর বাড়তি অর্থসংস্থানের বিষয়টি যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে লাখ লাখ দর্শক যারা এসব ডাবিং সিরিয়াল দেখেন তাদের মতামত জানাটাও জরুরি।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8rf4p-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="dfu6f-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dfu6f-0-0">
<span data-offset-key="dfu6f-0-0"><span data-text="true">এবারে একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই। কেন স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়ালগুলো প্রচারে এতো উৎসাহী হয়ে উঠল? সবাই কি বিটিভি’র আলিফ লায়লা কিংবা টিপু সুলতানের জনপ্রিয়তা দেখে আগ্রহী হয়েছে? বাজারে শোনা যায়, দীপ্ত টিভির সুলতান সোলেমান প্রতি পর্ব (ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে) ২৫ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। আরটিভির উর্ধ্বতন পত্রিকায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কোরিয়ান দূতাবাসের সাথে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সুবাদে অনুষ্ঠান বিনিময়ের মাধ্যমে সিণ্ডারেলার বোন সিরিয়ালটি তারা পেয়েছে। ধরে নিই, (সাংস্কৃতিক বিনিমিয় যেহেতু) তারা এটা বিনামূল্যে পেয়েছে। চ্যানেল নাইনের উর্ধ্বতন জানিয়েছেন, তাদের হাতে বিনামূল্যে পাওয়া একটি সিরিয়াল থাকলেও তারা তা না চালানোর সিদ্ধান্তে এখনো আছে। তার মানে দেখা যাচ্ছে, বিদেশি সিরিয়ালগুলো পাওয়া সহজলভ্য। টেলিভিশন একটি রাক্ষস এবং তাকে নিয়মিত খাবারের যোগান দিতে হয়। শস্তা বা বিনামূল্যে পাওয়া জিনিস দিয়ে স্ক্রিণের ক্ষুধা যেমন মেটানো যাচ্ছে, তেমনি বিজ্ঞাপন মারফত ভালো পয়সাও পাওয়া যায়। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিভিগুলো কেন বাংলায় ডাব করা বিদেশি সিরিয়ালগুলো চালাবে না?</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dfu6f-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="2mqkn-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2mqkn-0-0">
<span data-offset-key="2mqkn-0-0"><span data-text="true">এখানে আরেকটি মজার তথ্য হলো, দীপ্ত টিভি যখন সুলতান সোলেমান প্রচার শুরু করল এবং অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেল, তখন থেকেই ডাবিংকরা বিদেশি সিরিয়াল বন্ধের দাবি শুরু হলো। অথচ দীপ্ত টিভির আগে থেকেই অন্যান্য চ্যানেল বাংলা ডাব করা সিরিয়াল ও সিনেমা চালিয়ে আসছিল। তখন কারো গাত্রদাহ হয়নি। তবে সুলতান সোলেমানের বেলায় কেন? একটা কারণ পাওয়া গেছে, আর তা হলো সুলতান সোলেমান নাকি অপসংস্কৃতি। এ নাটকে হেরেমখানা, দাসীটাসি নিয়া বাবা-ছেলে দ্বন্দ্ব ইত্যাদি কেচ্ছাকাহিনি দেখানো হয়। পাবলিক নাকি এসবই দেখতে ভালোবাসে তাই এ সিরিয়ালটি জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়, দীপ্ত টিভি খুবই সহনীয় মাত্রায় (৪/৫ মিনিট) বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে নাটক প্রচার করে। ফলে, দর্শক নাটক দেখতে গিয়ে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের যন্ত্রণায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে না। অর্থাৎ দীপ্ত টিভি এটা প্রমাণ করেছে, সহনীয় ও স্বল্পমাত্রার বিজ্ঞাপন বিরতি থাকলে দর্শক ধরে রাখা যায়। দীপ্ত টিভি এটাও প্রমাণ করেছে, টিভিনাটক থেকে দর্শকের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রধান ও একমাত্র কারণ নাটকের বিরতিতে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2mqkn-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="d3t2n-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="d3t2n-0-0">
<span data-offset-key="d3t2n-0-0"><span data-text="true">কোনো বিদেশি সিরিয়ালে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু থাকলে নির্দিষ্টভাবে ওই চ্যানেল বা সিরিয়ালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যেতে পারে। </span></span><span data-offset-key="d3t2n-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">দিনের পর দিন পর্দায় লিটনের ফ্ল্যাট টাইপ গল্প, অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ সংলাপ, অভিনয়হীন নাটক অপসংস্কৃতি না-ও হতে পারে কিন্তু একটি বিদেশি সিরিয়ালে কোনো মেয়ের ক্লিভেজ দেখা গেলে অবশ্যই তা অপসংস্কৃতি।</span></span><span data-offset-key="d3t2n-0-2"><span data-text="true"> এরজন্য আন্দোলন হওয়া উচিত। কিন্তু গড়ে সব চ্যানেলের বিদেশি সিরিয়ালগুলো সবগুলোই অপসংস্কৃতি?</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="d3t2n-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="72leq-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="72leq-0-0">
<span data-offset-key="72leq-0-0"><span data-text="true">শিল্প রক্ষার দায়িত্ব যাদের উপর, তারা বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন। আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিটি চ্যানেলের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, দেশের সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক না এমন যে কোনো অনুষ্ঠান প্রচারের। বাড়তি উপার্জনের আশায় কারোরই অধিকার নাই চ্যানেলগুলোকে তাদের পলিসি বদলাতে বাধ্য করা। তাই পাঠকরা ভেবে দেখবেন, চ্যানেলগুলোতে বিদেশী সিরিয়াল বন্ধের দাবি কতোটা যুক্তিযুক্ত? </span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="72leq-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="b64qt-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="b64qt-0-0">
<span data-offset-key="b64qt-0-0"><span data-text="true">এটা প্রতিষ্ঠিত, দর্শকরা দেশের নাটক টিভিতে দেখেন না বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণার কারণে। মানের প্রশ্ন আপাতত তোলা থাকল। </span></span><span data-offset-key="b64qt-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">অথচ FTPO-র ৫ দফায় সহনীয় মাত্রার বিজ্ঞাপন বিরতি দেয়ার কোনো দাবি নাই। </span></span><span data-offset-key="b64qt-0-2"><span data-text="true">এখন যদি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করে ওই জায়গায় দেশীয় নাটক চালাতে বাধ্য হয়, এবং ওই একই চ্যানেলে অন্যান্য দেশীয় নাটকের মতো লম্বা সময় বিজ্ঞাপন বিরতি দেয়, তাহলে কি দর্শক ধরে রাখতে পারবে? পারবে না, কারণ বিদেশি সিরিয়ালগুলোর মতো দৃষ্টিনন্দন নির্মাণ, পরিপক্ক গল্প ও যথোচিত অভিনয় দেশীয় নাটকগুলোতে নেই নানা কারণে। </span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="b64qt-0-0">
</div>
</div>
<div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="1u5t3" data-offset-key="bf0bv-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bf0bv-0-0">
<span data-offset-key="bf0bv-0-0"><span data-text="true">বিদেশি সিরিয়ালের খালি চাঙ্কগুলোতে বছরে ২৭৮টি সিঙ্গেল বা ৫৫৭টি পর্ব নির্মাণ শুরু হলে </span></span><span data-offset-key="bf0bv-0-1" style="font-weight: bold;"><span data-text="true">শিল্প বাঁচবে কিনা বলা মুশকিল তবে অত্যধিক নাটক নির্মাণের শিল্পে সবাই বাঁচবে— দর্শক ছাড়া। </span></span></div>
</div>
</div>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-51836605087823525972016-11-26T13:19:00.000+00:002017-01-19T11:43:55.485+00:00ইউটিউবে দর্শক বাংলা নাটক দেখে ?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="_6a _43_1 _4f-9 _nws _21p0 _fol" id="u_jsonp_37_h">
<div class="_6a uiPopover" id="u_jsonp_37_i">
<a class="_42ft _4jy0 _55pi _5vto _55_p _2agf _p _1zg8 _3m8n _4jy3 _517h _51sy _59pe" data-hover="tooltip" data-testid="privacy_selector_10154755491869732" data-tooltip-alignh="right" data-tooltip-content="Public" href="https://www.facebook.com/mukhboi#" id="u_jsonp_37_j" rel="toggle" role="button" style="max-width: 26px;"><span class="_55pe" style="max-width: 12px;"></span></a></div>
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAjpTr94K8NNHwDTA3GjGd3elyfrD_6MnbUd_Nv-pZXJDrdEaC4Dtor36yI0fWkAyuO4dykq25n-k5YjznjJck4FnD5PS8P5-Fymny38T9NsyTACJkQ6OJo4Ayy-sjM5ONwIrY8DPstC9Z/s1600/Prohor+Details.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAjpTr94K8NNHwDTA3GjGd3elyfrD_6MnbUd_Nv-pZXJDrdEaC4Dtor36yI0fWkAyuO4dykq25n-k5YjznjJck4FnD5PS8P5-Fymny38T9NsyTACJkQ6OJo4Ayy-sjM5ONwIrY8DPstC9Z/s200/Prohor+Details.jpg" width="199" /></a></div>
ইয়েস,
দর্শক ইউটিউবে নাটক দেখে — কিন্তু কোন দর্শক এরা? প্রায় ১৮কোটি মানুষের
দেশে বিটিআরসির হিসাব মতে প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার
করে। নিশ্চয়ই আপনারা আশা করবেন না এই ১ কোটির সবাই ইউটিউবে নাটক দেখার জন্য
ডাটা কেনে। এর অর্ধেকেরও অর্ধেক মানুষও যদি ইউটিউবে নাটক দেখত তাহলে
ইউটিউবের প্রতিটি বাংলা নাটকের হিট থাকত ২৫ লক্ষের উপর। দুঃখের বিষয়,
সিনারিও তেমন না।<br />
<a name='more'></a><br />
তাহলে ইউটিউবের দর্শক কারা? এরা মূলত প্রবাসী দর্শক। দেশপ্রেম সবারই সমান, কিন্তু তা প্রকাশে প্রবাসীরা এগিয়ে থাকে<span class="text_exposed_show">।
প্রতিমুহূর্তে মা-মাটি-দেশকে মিস করা এসব প্রবাসীরা দেশজ যে কোনো কিছু
পেলেই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে। ইয়েস, এরাই ইউটিউবে বাংলা নাটকের মূল দর্শক।
মানের চেয়ে এরা দেশের নাটকে দেশকে দেখার চেষ্টা করে। পরিচিত রাস্তা,
ল্যাম্পপোস্ট, ডাস্টবিন, ট্রাফিক জাম কিংবা গ্রামের ক্ষেত, তালগাছ,
কুঁড়েঘর, নৌকা, ধানের শীষ দেখতে চায়। পাশাপাশি প্রবাসী দর্শকরা সবচেয়ে বেশি
চায় বিনোদন পেতে। প্রবাসের একঘেঁয়ে যান্ত্রিক জীবনে তাই অবসর পেলেই
ইউটিউবে মানহীন, সুড়সুড়ে, স্ক্রিপ্টহীন নাটকগুলোতে মুড়িমুড়কির মতো হিট হয়।</span><br />
<div class="text_exposed_show">
কোনোরকম ব্যাকআপ ছাড়াই (গায়ক, খেলোয়াড়, স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান
ইত্যাদি) যে কোনো ভাবেই ইউটিউবের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া সম্ভব। এজন্য
অভিনয়শিল্পী হওয়া লাগে না। আর টিভির অভিনয়শিল্পীকে শুধু ইউটিউবে দেখে মানুষ
চিনবে, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করবে— ব্যাপারটা কিছুটা বিব্রতকরও বটে। একজন
অভিনয়শিল্পীকে প্রথমত চেনা উচিত টেলিভিশনে তার কাজ দেখে। কিন্তু দেশের
দর্শকরা টিভি নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নাটকসংশ্লিষ্ট আমরা সেটা মেনেও
নিয়েছি। তাইতো অনিমেষ আইচের নাটকে কতোজন ইউটিউব ভিউয়ারস হলো সেটা নিয়ে
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায় তার প্রযোজনা সংস্থার
কর্মকর্তাকে।<br />
অথচ ১৮ কোটির দেশের অর্ধেক জনগণ, ৯ কোটি দর্শকের টিভি
টিউনিংয়ের হিসাব হারিয়ে গেছে। তাই, ইউটিউবে বাংলা নাটকে ভিউয়ারস (মূলত
প্রবাসী) বেশি দেখা গেলেই আপ্লুত হওয়ার কোনো কারণ নাই। 'দেশের মানুষ'
টিভিতে তো না, ইউটিউবেও তেমন নাটক দেখে না। তা যদি হতো, তাহলে যেসব অনলাইন
টিভি চালু হয়েছে সেগুলো ধুঁকে ধুঁকে চলত না। বাম্পার হিট থাকত।<br />
ইউটিউবে আপনার আপলোডকৃত নাটকের ডেমোগ্রাফী দেখার জন্য আজই চেক করুন। নীচে উদাহরণ স্বরপ আমার একটি নাটকের ডিটেইলস দেয়া হলো।</div>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1London, UK51.5073509 -0.1277582999999822351.1912379 -0.77320529999998222 51.8234639 0.51768870000001777tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-2161020186429197972016-11-19T11:30:00.000+00:002017-01-19T11:35:15.479+00:00নির্মাতা : ভাই, খুব ইচ্ছা জীবনে একটা হলেও ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ বানামু ...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="_39k5 _5s6c">
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<b><span data-offset-key="c3m9b-0-0"><span data-text="true">নতুন কুঁড়ির মতো জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দেখে বড় হওয়া প্রজন্ম, স্যাটেলাইট টিভির যুগে শুধু টিভিনাটক নির্মাতাই হতে পেরেছেন।</span></span></b><br />
<br />
একুশে টিভি চালু হওয়ার সময় ভারতীয় কিছু নির্মাতার সহায়তায় রিয়েলিটি শো তৈরি হয়েছিল। নতুন কুঁড়ি দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের কেউ কেউ, সেই রিয়েলিটি শো নির্মাণে সহকারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এদের কেউই রিয়েলিটি শো নির্মাণে পুরোপুরি এগিয়ে আসেননি। <br />
<a name='more'></a>অন্যান্য স্যাটেলাইট টিভিগুলো যখন কপিপেস্ট রিয়েলিটি শো করতে শুরু করল, তখন টিভিতে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিরাই ওইসব কপিপেস্ট নির্মাণে মূলত জড়িত ছিলেন। এছাড়াও প্রচুর ইভেন্ট (টিভিগুলোর বার্ষিকী. উদ্বোধন, এওয়ার্ড, বিউটি কনটেস্ট ইত্যাদি) হয় যেগুলোর নির্মাতাদের মেধা বোঝা যায় ইভেন্টে সমন্বয়হীনতা দেখে।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
কোনো মেধাবি তরুণ রিয়েলিটি শো নির্মাতা হতে চান বা দুর্দান্ত কোনো অনুষ্ঠানের আইডিয়া নিয়ে টিভিগুলোতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন, এমনটা দেখা যায়নি। কিন্তু নাটক নির্মাণ করতে চান বা নাটক নির্মাণ করেছেন এমনটা প্রচুর দেখা যায়। একটাই কারণ— টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণ অত্যন্ত সহজ কাজ। ফলে ঢাকা শহরে কাক, ডিএসএলআর ফটোগ্রাফার, সাংবাদিক (অন-অফ-ইলেক্ট্রো) আর টিভিনাটক নির্মাতা— সংখ্যায় সমান হয়ে গেছে।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
এরা নাটক নির্মাণ ছাড়া টেলিভিশনের জন্য অন্য কোনো অনুষ্ঠান নির্মাণ করেন না। মাঝে মাঝে শিল্পীসংকট হলে বা চমক দেখানোর উদ্দেশ্যে নাচের মেয়ে (ছেলে নয়), মডেল, গায়ক, ক্রিকেটার, ফুটবলার, ডিজে অথবা ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘আপনে যেমনই তেমনই এ্যাক্টিং’ ফর্মুলার মাধ্যমে বিভিন্নজনের মধ্যে অভিনয়স্বত্ত্বার বিকাশ ঘটিয়ে নিজেদের সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার পরিচয় প্রকাশ করেন। বর্তমান বাজারে কেউ নাটক নির্মাতা হতে চাইলে তার ইচ্ছা-টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ইচ্ছাশক্তির পাশাপাশি ভালো সমন্বয়ক-ও হতে হয়। এজেন্সির সাথে, প্রযোজকের সাথে, টিভির অনুষ্ঠান ও মার্কেটিং বিভাগের সাথে সঠিক সমন্বয় থাকলে ভালো ক্যামেরাম্যান ও উচুঁ-দরের আর্টিস্টের শিডিউল পাওয়া যায়। এরপর স্ক্রিপ্ট, শ্যুটিংয়ের আগের দিন হাতে পেলে অথবা না পেলেও দুইদিনে নাটক নির্মাণ করা সম্ভব।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
দেশে যখন স্যাটেলাইট চ্যানেল ছিল না, তখন নতুন কুঁড়ি দেখলেও জীবনে রিয়েলিটি শো বানানো সম্ভব হবে কিনা এমন সন্দেহ মাথায় নিয়ে সবাই ফিল্মমেকার হতে চেয়েছে। পরিণামে, কাওরান বাজারের এফডিসি থেকে উল্টোমুখো হয়ে কলাবাগানের শর্টফিল্ম ফোরামের অফিসে হত্যে দিয়ে বসে থাকলেন ভবিষ্যতের সত্যজিৎ, কুরোসাওয়া, মাজিদ মাজিদিরা। ‘ফিল্ম একটা বিররররাট ব্যাপার’ — বিষয়টা যখন বিভিন্ন দূতাবাসের কালচারাল সেন্টারের ছাদ ও অডিটরিয়াম ছাড়িয়ে আজিজ মার্কেট ও টিএসসিতে আলোচনা হতে থাকল, তখনই একুশে টিভি চলে আসে। বাংলাদেশের সত্যজিৎ, কুরোসাওয়া, মাজিদ মাজিদিরা ঝটপট টিভিপর্দায় নাটক বানিয়ে সিনেমার বানানোর জন্য হাত মকশো করা শুরু করলেন।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
সেই ধারাবাহিকতায় ১৬ বছর পরে আজকের নির্মাতারাও, সিনেমা বানাবে বলে টিভিতে নাটক বানিয়ে প্র্যাকটিস জারি রেখেছেন। বাজেটের নিম্নগতিও এদের রুখতে পারছে না, এতোই প্রবল ইচ্ছাশক্তি। এসব নির্মাতারা মনে মনে স্বপ্ন দেখেন— একদিন একটা ড্রিম প্রজেক্ট বানাবে তারা। হুম ‘প্রজেক্ট’ই বটে। সিনেমা না, নাটক না— প্রজেক্ট। তো প্রজেক্টটা কী সেটা জিজ্ঞেস করলে ঋত্বিকউদাস হয়ে কনফিডেন্টলি বলে, জানি না ভাই, তবে একটা ড্রিম প্রজেক্ট বানামু এইটা শিওর।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
বর্তমান বাজারে আমার দেখা চার প্রকারের নাট্যনির্মাতা আছে—</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<b><span class="_4yxo">১. খ্যাতিমান নাট্যনির্মাতা (একটু বয়সী, নির্মাণের অভিজ্ঞতা ন্যুনতম ১২ বছর)</span></b> : এই প্রকারের নাট্যনির্মাতার সংখ্যা খুবই কম। বাজেট স্বল্পতার কারণে ভালো নাটক নির্মাণ করা সম্ভব না এই অজুহাতে তাদের বর্তমান নির্মাণ যুৎসই না হলেও কেউ সমালোচনা করেন না। যদিও বাজেট স্বল্পতার দোহাই দিলেও এরা এজেন্সি, টিভি ও প্রযোজকদের কাছ থেকে অন্যদের তুলনায় বেশি অর্থ পেয়ে থাকেন এবং খ্যাতনামা ও পূর্বের কিছু ভালো নির্মাণের উদাহরণ থাকায় অভিনয়শিল্পীরা তাদের জন্য নামমাত্র সম্মানি কিংবা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য হন। বিভিন্ন পার্বনে, উৎসবে এদের নাটক মানের চেয়ে নামের কারণে প্রচার হয়। এ প্রকারের নির্মাতার মধ্যে অভিনয়শিল্পীদের কেউ কেউ আছেন। সময়ের কারণে ও তরুণদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে এরা গড্ডালিকায় গা ভাসালেও ভরসা করা যায় যে, এদের দিয়ে পুনরায় ভালো নির্মাণ সম্ভব। এদের কারো কারো বড়পর্দায় অভিষেকও হয়েছে।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<b><span class="_4yxo">২. বুঝদার, ঝানু নির্মাতা (তরুণ ও বয়সী, নির্মাণের অভিজ্ঞতা ন্যূনতম ৮ বছর)</span></b> : এদের সংখ্যা হালকা। এরা মূলত সহকারি হিসেবে নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত হয়েছিল। ফলে এরা যথেষ্ট পাকনা ও বুঝদার। এককালে ভালো নির্মাতার সাথে কাজ করার কারণে শ্যুটিংয়ের আগে স্ক্রিপ্ট পড়ার অভ্যেস আছে তাদের। এরা প্রোডাকশন বোঝে, ফ্রেম বোঝে, গল্প বোঝে এবং শত ঝামেলার মাঝেও কাজ নামাতে পারে। বর্তমানে বাজারে এদের নির্মাণ সাধারণ মানের হলেও তাতেও তাদের চেষ্টাটা বোঝা যায়। এরা ডিমাণ্ড অনুযায়ী মাল (নির্মাণ) সাপ্লাই দিতে ওস্তাদ। সব বয়সী দর্শকের মেজাজ বুঝতে পারে এরা। বাজেট বাড়লে এদের কাজের মানও বাড়বে। শিল্পীদের সাথে এদের সখ্যতা থাকার কারণে বাকিতে কাজ করাতে পারে কিন্তু টেকাটুকা পরে পরিশোধ করতে হয়। অভিনয়শিল্পীদের কেউ কেউ এই ঘরানার নির্মাতা। এদের স্বপ্ন আছে সিনেমা নির্মাণের। তবে নাটকে এদের উপর যতোটা ভরসা আছে, সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে ততোটা নাই।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<b><span class="_4yxo">৩. এজেন্সি নির্মাতা (তরুণ, হালকা দাঁড়িগোফ, ন্যূনতম অভিজ্ঞতা ৪ বছর)</span></b> : নামেই যার পরিচয়— এজেন্সি নির্মাতা। বিভিন্ন এজেন্সির আশির্বাদপুষ্ট এরা সংখ্যায় প্রচুর। এরা তরুণ, কিন্তু বড় বড় স্বপ্ন দেখে। এরা মারমুখী, জীবনমুখী, কালজয়ী, মনজয়ী সব প্রোডাকশন বানাতে সিদ্ধহস্ত। এরা নিজেরা পরষ্পরের পিঠ চাপড়ায়, বাহবা দেয়। এরা চ্যালেঞ্জ নিতে সর্বদা প্রস্তুত। প্রয়োজন পড়লে ১ দিনেও নাটক নির্মাণ করতে পারে তারা। এদের নির্মাণে সুন্দরী মেয়ে ও সুন্দর সুন্দর ফ্রেম দেখা গেলেও এ্যাক্টিং-য়ের দেখা পাওয়া যায় না। এরা গল্পের চেয়ে টেকনিকাল বিষয়গুলোতে বেশি প্রাধাণ্য দেয়। চকলেট টাইপ ও সুড়সুড়ি মার্কা নাটক হওয়ায় ইউটিউবে হিট বেশি পাওয়া যায়। এরা চমক দেখাতে সদা তৎপর থাকে তাই কারোর মধ্যে প্রতিভা টের পাওয়া মাত্রই (যে পেশারই হোক) তাকে অভিনয়ে নামিয়ে দেয়। অভিনয়শিল্পীদের কাছে এরা দারুণ জনপ্রিয়। কারণ এদেরকে প্রেশারে রাখা যায়, চাপ দিয়ে নিজের সিকোয়েন্সগুলো আগেই করিয়ে নেওয়া যায়। এরা আজ আছে তো কাল নেই, তাই পেমেন্ট এ্যাডভান্স নেয়া যায়। এই নির্মাতারা প্রত্যেকেই অন্তরে ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ ধারণ করেন। ফেসবুকে এদের ফ্যানফলোয়ার বেশি, এবং এদের কালেকশনে হতে-চাই-নায়িকার সংখ্যা প্রচুর। বাজেট সমস্যা নিয়ে এরা সবচেয়ে বেশি উচ্চকিত কিন্তু টিভিগুলো নিয়মনীতির মধ্যে চলে এলে এরাই হারিয়ে যাবে সবচেয়ে আগে।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<b><span class="_4yxo">৪. ঘরছাড়া নির্মাতা (যে কোনো বয়সী, অভিজ্ঞতা নিষ্প্রয়োজন)</span></b> : এরা নানা জায়গায় ঘোরাফেরা করে। বিভিন্ন মোড়ে, হাউজে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এরা টিভি, এজেন্সি, প্রডিউসার, হাউজ কার কাজ করেন বোঝা মুশকিল। কুশলাদি জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, দুইদিন পরেই তার কোনো না কোনো নির্মাণের শ্যুটিং শুরু হচ্ছে। কিন্তু এদের নির্মাণ কবে অন-এয়ার হয় সেটা জানা দুষ্কর। এদের কাছে সব আর্টিস্টের ফোন নাম্বার থাকে, এবং সব আর্টিস্টরাও তাদের কমবেশি চেনেন। এরা বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ও মুখর থাকেন। নিজেদের নাট্যনির্মাতা পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও এরা ডকুমেন্টারি, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদিও নির্মাণ করেন। এদের টুকটাক অভিনয় করতেও দেখা যায়।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
এক মুঠো সংবাদ, এক চিমটি টকশো আর আধাসের নাটকের মাঝে গুলিয়ে ফেলা আমাদের ওরস্যালাইন টিভিগুলো এই ফর্মুলা থেকে বেরোতেই পারেনি যে টিভিতে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান মানেই শুধু নাটক না। বাংলাদেশের মানুষের প্রথম পছন্দ শুধু নাটকই না, তারা ইন্ডিয়ান আইডল থেকে শুরু করে কপিপেস্ট ক্লোজআপ ওয়ানে সেটা প্রমাণ করেছে। তারপরও টিভিগুলোর অনিচ্ছায় ও সর্বোপরি একটা ভালো ইনস্টিটিউটের অভাবে নাটক নির্মাণ করা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তাই করতে পারে না আমাদের ফ্রিল্যান্স নির্মাতারা। রিয়েলিটি শো বানাতে হলে, ইভেন্ট ডিরেক্টর হতে গেলে ৩-৬ ক্যামেরার কাজ জানতে হয়, অনলাইন সুইচিং জানতে হয়, টেকনিক্যালি সাউণ্ড হতে হয়, লাইভ ডিরেকশন দিতে হয়, কতো ঝামেলা। এরচেয়ে নাটক নির্মাণ করা সহজ, চাকচিক্য বিনোদনজগতের হাতছানি পেতে তাই নাটকই মূল ভরসা।</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
কিন্তু নাট্যনির্মাতা ভায়ারা, সামনে দিন খারাপ হতে পারে। আন্দোলনের ডাক এসেছে। সরকার যদি নিয়ম করেই দেয় নির্দিষ্ট সময় ব্যাতিত ইচ্ছেসময়মতো বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না, তখন কিন্তু বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফিলার হিসেবে চলা আপনার নাটক নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ তখন মানের প্রশ্ন চলে আসবে। ভালো মানের নাটক মানে প্রতিমিনিটে বিজ্ঞাপনের রেট বেড়ে যাওয়া। এজেন্সি কিংবা হাউজগুলো আর যাকে তাকে দিয়ে নাটক বানাবে না। এমনকি কয়েকটা টিভি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। বাজেট বাড়বে সত্যি কিন্তু যে পরিমাণ নাটক এখন নির্মাণ হচ্ছে প্রতিদিন, সেই পরিমাণ কাজের ভলিউম কিন্তু পাবেন না। এখন ১০টা নাটক বানালে তখন হয়তো ৩টা নাটক বানাবেন। প্রতিযোগিতায় পড়বেন। পারবেন তো সেই চ্যালেঞ্জ নিতে?</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<span class="_4yxo">যদি চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন, বুক পকেটে ‘ডিম প্রজেক্ট’ নিয়ে থাকবেন কিন্তু ৩০ তারিখের আন্দোলনে*।</span></div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
</div>
<div class="_2cuy _3dgx _2vxa">
<span class="_4yxo">*FTPO-এর ৩০ নভেম্বরের 'শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই' শিরোনামের সমাবেশ উপলক্ষে লেখা</span></div>
</div>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0London, UK51.5073509 -0.1277582999999822351.1912379 -0.77320529999998222 51.8234639 0.51768870000001777tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-61447815542726453392016-10-02T13:44:00.003+01:002016-10-02T13:44:58.393+01:00প্রতিটি বাংলা ছবি দেখুন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span data-offset-key="8a92a-0-0"><span data-text="true"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiCBJE5ilGNaNkzyPtsBj8nNPLINNoOl3feYHL-YiYobM1ueZ7z7kvMJw7oV3aP5y7-l7FAjYTl476HLN3XtRz-1oeQi0miGdKjoZajzaO1VsqT5X41Q8MxW_vmy841gv_Ay-snppq3K2IB/s1600/beder-meye-josna.jpg" imageanchor="1"><img border="0" height="212" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiCBJE5ilGNaNkzyPtsBj8nNPLINNoOl3feYHL-YiYobM1ueZ7z7kvMJw7oV3aP5y7-l7FAjYTl476HLN3XtRz-1oeQi0miGdKjoZajzaO1VsqT5X41Q8MxW_vmy841gv_Ay-snppq3K2IB/s320/beder-meye-josna.jpg" width="320" /></a> </span></span><br />
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguONB-qGgqdz5-47vzLGQ6qs3AH8sT0uSP1ZOfVQKzNGKeirKXT3XwKYz_X6gKdHEDvozfQ_1xMW8seWGi2DDDy4SjVyeY8G5EImz3GR0FjXElqEOB-np-ay6-3_O2J5uBuTnE4SGZm7pZ/s1600/Aynabaji_poster_goldposter_com_2.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguONB-qGgqdz5-47vzLGQ6qs3AH8sT0uSP1ZOfVQKzNGKeirKXT3XwKYz_X6gKdHEDvozfQ_1xMW8seWGi2DDDy4SjVyeY8G5EImz3GR0FjXElqEOB-np-ay6-3_O2J5uBuTnE4SGZm7pZ/s320/Aynabaji_poster_goldposter_com_2.jpg" width="229" /></a><span data-offset-key="8a92a-0-0"><span data-text="true">সেই চাকা-ব্যাচেলর-জিরো ডিগ্রি থেকে শুরু করে হালের অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজি পর্যন্ত, প্রতিটি ছবির প্রিমিয়ার শো-এর পরে সবাই আশা করেছে— এই-ই ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা তার হারানো সুদিন ফিরে পাবে, এই-ই ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে, এই-ই ছবির কারণেই বাংলাদেশী সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপিয়ে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্য বেদের মেয়ে জোসনার মুক্তির পরে এসব মন্তব্য আমার চোখে পড়ে নাই।</span></span><br />
<div data-contents="true">
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="8a92a-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8a92a-0-0">
<a name='more'></a></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="9avnq-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9avnq-0-0">
<span data-offset-key="9avnq-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="57lt2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="57lt2-0-0">
<span data-offset-key="57lt2-0-0"><span data-text="true">কোন ছবি ভালো কিংবা কোন ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপাবে সেসব অন্য বিতর্ক। তবে বছরে/দুই বছরে একটা দুইটা 'ভালো' ছবি মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশী সিনেমার সুদিন ফিরবে না অথবা বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথও চলতে পারবে না, সেটা এতোদিনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন পর্যন্ত থাক, দেশীয়ভাবে বাংলা সিনেমার সুদিন ফেরাতে প্রথম যেটা জরুরি তা হলো নিজেকে বাংলা ছবির দর্শক হিসেবে তৈরি করা এবং নিয়মিত সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখা। আপাতত একাজটুকু সবাই মিলে শুরু করলে এবং নিয়মিতভাবে ঘন ঘন 'ভালো' 'ভালো' ছবি মুক্তি পেলে বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরতেই পারে।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="46cpd-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="46cpd-0-0">
<span data-offset-key="46cpd-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="4snvp-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4snvp-0-0">
<span data-offset-key="4snvp-0-0"><span data-text="true">'ভালো' বাংলা সিনেমা বললে, আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের রুচির উপর ভরসা রাখলে, এফডিসি ও শাকিব খানকে প্রথমেই খারিজ করে দিতে হয়। এরপর যা বাকি থাকে, তারমধ্যে বাছাই করতে হয়, কোন নির্মাতার ছবিতে সূক্ষ্ম ও স্থুল হাস্যরস থাকে, কোন ছবির নির্মাতা ছোটপর্দার (টেলিভিশন) পরীক্ষিত নির্মাতা, কোন নির্মাতার সেলিব্রেটি ইমেজ আছে, কোন নির্মাতা কতো বড় প্রডাকশন হাউজ থেকে ছবি বানিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="29fm0-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="29fm0-0-0">
<span data-offset-key="29fm0-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="7u17t-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7u17t-0-0">
<span data-offset-key="7u17t-0-0"><span data-text="true">আমি কিছুদিন বাংলাদেশী টিভি মিডিয়ায় কাজ করেছি, এ অঙ্গনের লোকজন ঘরানা মেইনটেইন করে ছবি দেখেন। একজন অভিনেতা/ অভিনেত্রী অমিতাভ রেজা কিংবা শিহাব শাহিনের ছবি দেখতে গিয়ে সেলফি দিবেন, কিন্তু অনিল বাগচীর একদিন কিংবা বাপজানের বায়োস্কোপ দেখতে যাবেন না বা সেলফিও দেবেন না। এমনকি নির্মাতারাও ঘরানা মেইনটেইন করেন। যে নির্মাতা রেদওয়ান রনির আইসক্রিম দেখতে গিয়ে সেলফি দিবেন তিনি শিহাব শাহিনের ছুঁয়ে দিলে মন দেখতে যাবেন না বা সেলফি দিবেন না। আরো কিছু ছবি থাকে যেমন মেঘমল্লার, কৃষ্ণপক্ষ এগুলো দেখার সময় হয়ে উঠে না ব্যস্ততায়। (এই প্যারাটুকু লিখতে গিয়ে খেয়াল করলাম, বিশাল ফলোয়ারসমৃদ্ধ ফেসবুকার আরিফ আর হোসেন আয়নাবাজির প্রচারণা করছেন, অজ্ঞাতনামার করেছিলেন কি?)</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="fkktj-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fkktj-0-0">
<span data-offset-key="fkktj-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="7rinl-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7rinl-0-0">
<span data-offset-key="7rinl-0-0"><span data-text="true">ঢল নামা বাকি দর্শকেরা তাহলে কারা? এরা মূলত ফারুকীর দর্শক। সিনেমা হলে গিয়ে হাসা যায়, মাস্তি করা যায় এটা ফারুকীর ছবি দেখে দর্শকেরা শিখছে তাই একটা দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে। কিন্তু এসব দর্শকেরা হুমায়ুন আহমেদের জীবদ্দশায় তার নির্মাণ দেখতে যাননি, তারেক মাসুদেরও না। এরা কলকাতার 'ভালো' ছবি 'বেলা শেষে'ও দেখতে যাননি। বছরে একটা দুইটা ছবি দেখার অভ্যেস ও মিডিয়ার হাইপের কারণে এদের কেউ কেউ অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজিও দেখে ফেলছে বটে কিন্তু বাংলাদেশী সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে 'দর্শক হিসেবে' তাদের পরিশ্রমটা সঠিক জায়গায় পৌঁছচ্ছে না।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="5cks-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cks-0-0">
<span data-offset-key="5cks-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="9ocov-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9ocov-0-0">
<span data-offset-key="9ocov-0-0"><span data-text="true">ভালো ছবি হল পায় না, তাও যা পায় তাতেও কেন দর্শক হয় না?</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="fk3t2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fk3t2-0-0">
<span data-offset-key="fk3t2-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="8g4dt-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8g4dt-0-0">
<span data-offset-key="8g4dt-0-0"><span data-text="true">কারণ আমাদের ছবি দেখার অভ্যেস একেবারেই হারিয়ে গেছে। ঢাকা শহরের কথাই ধরা যাক— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিকেল সহ প্রাইভেট ইউনির ছাত্র-শিক্ষক, মিডিয়া ও সংস্কৃতিকর্মী, নাট্যকর্মী, সাংবাদিক লেখক কবি বুদ্ধিজীবী, ডিএসএলআর ফটোগ্রাফার, উচ্চপদ্স্থ ও উচ্চবেতনভোগী সরকারি ও বেসরকারী কর্মকর্তা, রুচিশীল মধ্যবিত্ত কেউই ছবি দেখেন না। এরা যদি দেখতেন, তাহলে অন্তত প্রথম সপ্তাহের সবগুলো শো হাউজফুল হওয়ার কথা। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="u8je-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="u8je-0-0">
<span data-offset-key="u8je-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="8ebf-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8ebf-0-0">
<span data-offset-key="8ebf-0-0"><span data-text="true">বাংলাদেশী সিনেমাকে এগিয়ে নিতে হলে প্রথমে দর্শক হউন, প্রতিটি বাংলা ছবি দেখুন, ফেসবুকে সেলফি ও প্রচারণা করুন, পাশাপাশি পত্রিকায় ও নানাভাবে প্রচার চলুক। একটি ভালো ছবি দেখার উত্তেজনা থিতিয়ে যাওয়ার আগেই আরেকটি ভালো ছবির শুভমুক্তি ঘটুক।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="9h31k-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9h31k-0-0">
<span data-offset-key="9h31k-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="arcvm-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="arcvm-0-0">
<span data-offset-key="arcvm-0-0"><span data-text="true">এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা পরে অন্যকোনো সময় আলাপ করা যাবে নে ...</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="4scqr-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4scqr-0-0">
<span data-offset-key="4scqr-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="3fo9a" data-offset-key="eqd7d-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="eqd7d-0-0">
<span data-offset-key="eqd7d-0-0"><span data-text="true">নোট : মনপুরা ও হঠাৎ বৃষ্টি ছবি দুটি ব্যতিক্রম। এ দুটি ছবি 'ভালো' এবং 'সব শ্রেণির দর্শক'এর কথা মাথায় রেখে তৈরি। ধন্যবাদ।</span></span></div>
</div>
</div>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-46963112958515722972016-10-02T11:03:00.000+01:002017-01-19T18:12:45.938+00:00ঘরানা দর্শক <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="_5pbx userContent" data-ft="{"tn":"K"}" id="js_1c">
সেই
চাকা-ব্যাচেলর-জিরো ডিগ্রি থেকে শুরু করে হালের অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজি
পর্যন্ত, প্রতিটি ছবির প্রিমিয়ার শো-এর পরে সবাই আশা করেছে— এই-ই
ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা তার হারানো সুদিন ফিরে পাবে, এই-ই
ছবি মুক্তির পরেই বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে, এই-ই
ছবির কারণেই বাংলাদেশী সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপিয়ে দিবে ইত্যাদি
ইত্যাদি। অবশ্য বেদের মেয়ে জোসনার মুক্তির পরে এসব মন্তব্য আমার চোখে পড়ে
নাই।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
কোন ছবি ভালো কিংবা কোন ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাঁপাবে
সেসব অন্য বিতর্ক। তবে বছরে/দুই বছরে একটা দুইটা 'ভালো' ছবি মুক্তি
দিয়ে বাংলাদেশী সিনেমার সুদিন ফিরবে না অথবা বাংলাদেশী সিনেমা নতুনভাবে পথও
চলতে পারবে না, সেটা এতোদিনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন
পর্যন্ত থাক, দেশীয়ভাবে বাংলা সিনেমার সুদিন ফেরাতে প্রথম যেটা জরুরি তা
হলো নিজেকে বাংলা ছবির দর্শক হিসেবে তৈরি করা এবং নিয়মিত সিনেমা হলে
গিয়ে ছবি দেখা। আপাতত একাজটুকু সবাই মিলে শুরু করলে এবং নিয়মিতভাবে ঘন ঘন
'ভালো' 'ভালো' ছবি মুক্তি পেলে বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরতেই পারে।<br />
<br />
'ভালো' বাংলা সিনেমা বললে, আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের রুচির উপর ভরসা
রাখলে, এফডিসি ও শাকিব খানকে প্রথমেই খারিজ করে দিতে হয়। এরপর যা বাকি
থাকে, তারমধ্যে বাছাই করতে হয়, কোন নির্মাতার ছবিতে সূক্ষ্ম ও স্থুল
হাস্যরস থাকে, কোন ছবির নির্মাতা ছোটপর্দার (টেলিভিশন) পরীক্ষিত
নির্মাতা, কোন নির্মাতার সেলিব্রেটি ইমেজ আছে, কোন নির্মাতা কতো বড়
প্রডাকশন হাউজ থেকে ছবি বানিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।<br />
<br />
আমি
কিছুদিন বাংলাদেশী টিভি মিডিয়ায় কাজ করেছি, এ অঙ্গনের লোকজন ঘরানা
মেইনটেইন করে ছবি দেখেন। একজন অভিনেতা/ অভিনেত্রী অমিতাভ রেজা কিংবা
শিহাব শাহিনের ছবি দেখতে গিয়ে সেলফি দিবেন, কিন্তু অনিল বাগচীর একদিন
কিংবা বাপজানের বায়োস্কোপ দেখতে যাবেন না বা সেলফিও দেবেন না। এমনকি
নির্মাতারাও ঘরানা মেইনটেইন করেন। যে নির্মাতা রেদওয়ান রনির আইসক্রিম দেখতে
গিয়ে সেলফি দিবেন তিনি শিহাব শাহিনের ছুঁয়ে দিলে মন দেখতে যাবেন না বা
সেলফি দিবেন না। আরো কিছু ছবি থাকে যেমন মেঘমল্লার, কৃষ্ণপক্ষ এগুলো
দেখার সময় হয়ে উঠে না ব্যস্ততায়। (এই প্যারাটুকু লিখতে গিয়ে খেয়াল করলাম,
বিশাল ফলোয়ারসমৃদ্ধ ফেসবুকার আরিফ আর হোসেন আয়নাবাজির প্রচারণা করছেন,
অজ্ঞাতনামার করেছিলেন কি?)<br />
<br />
ঢল নামা বাকি দর্শকেরা তাহলে কারা? এরা
মূলত ফারুকীর দর্শক। সিনেমা হলে গিয়ে হাসা যায়, মাস্তি করা যায় এটা
ফারুকীর ছবি দেখে দর্শকেরা শিখছে তাই একটা দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে।
কিন্তু এসব দর্শকেরা হুমায়ুন আহমেদের জীবদ্দশায় তার নির্মাণ দেখতে যাননি,
তারেক মাসুদেরও না। এরা কলকাতার 'ভালো' ছবি 'বেলা শেষে'ও দেখতে যাননি।
বছরে একটা দুইটা ছবি দেখার অভ্যেস ও মিডিয়ার হাইপের কারণে এদের কেউ
কেউ অজ্ঞাতনামা-আয়নাবাজিও দেখে ফেলছে বটে কিন্তু বাংলাদেশী সিনেমার সুদিন
ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে 'দর্শক হিসেবে' তাদের পরিশ্রমটা সঠিক জায়গায়
পৌঁছচ্ছে না।<br />
<br />
ভালো ছবি হল পায় না, তাও যা পায় তাতেও কেন দর্শক হয় না?<br />
<br />
কারণ আমাদের ছবি দেখার অভ্যেস একেবারেই হারিয়ে গেছে। ঢাকা শহরের কথাই
ধরা যাক— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, মেডিকেল সহ
প্রাইভেট ইউনির ছাত্র-শিক্ষক, মিডিয়া ও সংস্কৃতিকর্মী, নাট্যকর্মী,
সাংবাদিক লেখক কবি বুদ্ধিজীবী, ডিএসএলআর ফটোগ্রাফার, উচ্চপদ্স্থ ও
উচ্চবেতনভোগী সরকারি ও বেসরকারী কর্মকর্তা, রুচিশীল মধ্যবিত্ত কেউই ছবি
দেখেন না। এরা যদি দেখতেন, তাহলে অন্তত প্রথম সপ্তাহের সবগুলো শো হাউজফুল
হওয়ার কথা।<br />
<br />
বাংলাদেশী সিনেমাকে এগিয়ে নিতে হলে প্রথমে দর্শক হউন,
প্রতিটি বাংলা ছবি দেখুন, ফেসবুকে সেলফি ও প্রচারণা করুন, পাশাপাশি
পত্রিকায় ও নানাভাবে প্রচার চলুক। একটি ভালো ছবি দেখার উত্তেজনা থিতিয়ে
যাওয়ার আগেই আরেকটি ভালো ছবির শুভমুক্তি ঘটুক।<br />
<br />
এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা পরে অন্যকোনো সময় আলাপ করা যাবে নে ...<br />
<br />
নোট : মনপুরা ও হঠাৎ বৃষ্টি ছবি দুটি ব্যতিক্রম। এ দুটি ছবি 'ভালো' এবং 'সব শ্রেণির দর্শক'এর কথা মাথায় রেখে তৈরি। ধন্যবাদ।</div>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-3255246334345637232013-10-29T12:37:00.000+00:002015-01-06T08:22:30.712+00:00মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটকের স্ক্রিপ্ট নিয়া পরিচালক/ নাট্যকার কথোপকথন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
নাট্যপরিচালক : ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটা স্ক্রিপ্ট লাগে যে ... একটা চ্যানেলের সঙ্গে কথা প্রায় ফাইনাল।<br />
নাট্যকার : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্ক্রিপ্ট ... হুম...বস বলেন তো কেমন প্লট চান?<br />
পরিচালক : মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বা সে সময়কার বা দেশ স্বাধীন পরবর্তী যুদ্ধের প্রভাব ... যেটা ভালো মনে করেন।<br />
নাট্যকার : বস ৩/৪ দিন টাইম দ্যান।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
৩/৪ দিন পর ...<br />
<br />
নাট্যকার : বস। জটিল একটা স্ক্রিপ্ট 'চিন্তা করসি'। আপনে ফিদা হয়া যাইবেন শুনলে।<br />
পরিচালক : বলেন।<br />
নাট্যকার : ১৯৭১ এর এপ্রিলের প্রথম দিকে। ঢাকায় তখন মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা ফাইট শুরু কইরা দিসে।<br />
পরিচালক : ঢাকায় এপ্রিলে গেরিলা ফাইট শুরু হয়া গেছে!<br />
নাট্যকার
: জ্বি ভাই। তবে ওইটা আমাদের প্লট না। আমগো প্লট হইলো উত্তরবঙ্গের 'অমুক'
জেলার 'তমুক' গ্রাম নিয়া। একদিন খবর আসলো পাকবাহিনি ট্যাংক নিয়া গ্রামে
আসতেসে।<br />
পরিচালক : কিন্তু আমি যতোদূর জানি যে ৭১ এর এপ্রিলে 'অমুক' জেলার 'তমুক' গ্রামে ট্যাংক যায় নাই।<br />
নাট্যকার : তাতো জানি না ভাই। এটা আমি 'চিন্তা কইরা' বাইর করসি।<br />
পরিচালক : বাহ। তারপর, মূল ঘটনাটা কী?<br />
নাট্যকার
: প্লট একদমই অন্যরকম। ঢাকায় গেরিলা ফাইট শুরু, লোকজন পলায়া গ্রামে
আসতেসে, গ্রামের হুজুর শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান হইসে, স্কুলমাস্টার
তরুণদের যুদ্ধে যাবার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেসে, মাস্টারের কথা শুইনা বাতেন তার
বউরে বলে, 'শোনো জুলেখা, দ্যাশ আমারে ডাকতেসে, আমি যুদ্ধে যাইতাসি। পেটের
সন্তান পোলা হইলে নাম রাখবা জয় আর মাইয়া হইলে ময়না। দোয়া কর যেন দ্যাশ
স্বাধীন কইরা ফিরতে পারি।' ওদিকে পাকবাহিনি ট্যাংক নিয়া গ্রামে ঢুইকাই
প্রথমে স্কুলমাস্টাররে ব্রাশ ফায়ার করে। এরপর হুজুরের বাসায় বিশ্রাম নেয়
.... তখন ...<br />
পরিচালক : থামেন থামেন, এগুলা সবকিছু আপনের স্ক্রিপ্টে থাকবে?<br />
নাট্যকার
: এগুলা একটাও আমার স্ক্রিপ্টে থাকবে না বস। বললাম না আপনেরে, আমি যেইটা
'চিন্তা কইরা' বাইর করসি সেটা পুরা অন্যরকম। মুক্তিযুদ্ধের নাটক মানে তো
এতোক্ষণ যেগুলা বললাম সবাই সেগুলাই করে। আমরা এগুলা দেখাব না ভাই।<br />
পরিচালক : তাহলে আপনার কী গল্প সেটাই বলেন। 'গ্রামে ট্যাংক আসতেসে' এটা আপনার স্ক্রিপ্টে আছে বুঝতে পারছি।<br />
নাট্যকার : আমি আর কোনো ভণিতা না করেই বলে ফেলতেসি ভাই। আপনে মনোযোগ দিয়া শুনেন।<br />
পরিচালক : জ্বি আপনি বলেন।<br />
নাট্যকার : গ্রামে ট্যাংক আসতেসে। মধ্যরাতের নিভৃতে। গ্রামেরই এক ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আমাদের নায়িকা অষ্টাদশী মালিহা।<br />
পরিচালক : মালিহা! বেশি মডার্ণ হয়ে গেল না?<br />
নাট্যকার
: একটু মডার্ণ টাচ না রাখলে প্রবলেম আছে ইউ নো ... আপনি শুনতে থাকেন। আমরা
পরে চেঞ্জটেঞ্জ করে নিব। তারপর মালিহা ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় ট্যাংকের
মৃদুশব্দ শুনছে। সে বুঝতে পারে না কীসের শব্দ। শোয়া থেকে সে উঠে বসে।
তারপর ধীরে ধীরে মালিহা দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। চাঁদের আলোতে তার অসহ্য
সুন্দর রূপটা ধরা পড়ে। হেব্বি গ্ল্যামারাস লাগছে মালিহাকে।<br />
পরিচালক : গ্রামের মেয়ে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠেছে...তাকে গ্ল্যামারাস লাগতে হবে?<br />
নাট্যকার
: ভাই আপনি পুরাটা শুনেন। ওকে আমি তাড়াতাড়ি বলে দিই। মালিহা যখন দেখে
দূরে গাড়ির মতো কী কী যেন দেখা যায় সে তখন তার বাবাকে ডাকে। বাবা তো বুঝে
ফেলে পাক আর্মি গ্রামে আসতেসে। সে তখন চিতকার না করে আস্তে আস্তে গ্রামের
সবাইকে খবর দিয়ে দেয়। সবাই বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়ে। শুধু বয়স্করা
রয়ে যায় বাড়িতে। এদিকে ট্যাংক এগিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু ভোরের দিকে আর
ট্যাংকের শব্দ শোনা যায় না। এদিকে গ্রাম থেকে একটু দূরে বৃদ্ধ দাদিকে
নিয়ে থাকত আমাদের নায়ক রুহুল, একজন মুক্তিযোদ্ধা।<br />
পরিচালক : রুহুল নামতো মডার্ণ হলো না তো।<br />
নাট্যকার
: হে হে বস, এগুলাই তো মজা। অবশ্য আমি প্রথমে রাহুল রাখতে চেয়েছিলাম, পরে
'চিন্তা করলাম' মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মডার্ণ কিসিমের হয় এমন শুনি নাই। তাই
রুহুল-ই রেখে দিসি। রুহুল ক্ষেতে যাওয়ার সময় দেখে দুইটা ইয়া বড় বড়
ট্যাংক তাদের গ্রামে ঢোকার পথে যে নালা আছে সেখানে আধডোবা হয়ে আছে।<br />
পরিচালক : মানে কী? ট্যাংক নালায় আটকে গেছে? ওয়াও ...<br />
নাট্যকার
: এইতো ভাই। মজা পাইতেছেন না এখন? আমি যখন লেখার সময় এইটা 'চিন্তা
করসিলাম' তখনই বুঝতে পারছিলাম আপনি পছন্দ করবেন। এরপর শুনেন ... রুহুলও
বুঝছে এরা পাক বাহিনি। আর এরা যে আটকায়া গেছে সেটাও বুঝতে পারসে। সে
গ্রামের সবাইরে খবর দেয়। যারা পাটক্ষেতে, ল্যাট্রিনে বিভিন্ন স্থানে
লুকায়া ছিল সবাই বের হয়ে আসে। এদিকে গ্রামবাসি কথায় কথায় জানতে পারে
মালিহাই প্রথম ট্যাংক দেখে। গ্রামের সবাই তারে থ্যাংকস দেয়। রুহুল একটু
একটু পছন্দ করে মালিহারে। সেও আড়চোখে তাকায়। বাট বস, আমরা এসব দিকে বেশি
যাব না। কারণ এটা সিরিয়াস স্ক্রিপ্ট তো। যাই হোক, গ্রামের সবাই বুঝতে
পারছে না ট্যাংক নষ্ট হয়া গেছে না অন্য কিছু হইসে।<br />
পরিচালক : আসলে কী হইসে?<br />
নাট্যকার
: বস ট্যাংক নষ্ট হইয়া গেসে। আর চলতাসে না। পাক বাহিনি নালায় ট্যাংকের
মধ্যে আটকায়া গেসে। এরা এমনিতে পানিরে ভয় পায়। এখন ট্যাংক ছাইড়া নামতেও
পারতেসে না। আপনি সিচুয়েশনটা 'চিন্তা করতে' পারেন? পুরাই ফানি।<br />
পরিচালক : আপনি কমেডি লিখসেন?<br />
নাট্যকার
: না বস টুইস্ট রাখছি। স্ক্রিপ্ট তো আসলে সিরিয়াস। তো পাকআর্মি আটাকায়
গেলে কী হবে এদের হাতে তো অস্ত্র আছে। তাই গ্রামবাসী ভয়ে তাদের কাছে
যাইতেসে না। এভাবে দুইদিন যায়। গ্রামবাসী লুকায়া লুকায়া ট্যাংক দেখে।
দেখে আর্মিরা ট্যাংকের ছাদে বইসা থাকে। এরপর যে ঘটনা ঘটে সেটা হইলো মালিহা
একদিন ভুলে হাঁটতে হাঁটতে ভোরের দিকে নালার কাছাকাছি চলে যায়। তখন ছাদে
বসে থাকা এক পাকআর্মি অস্ত্র তাক করে মালিহার দিকে। মালিহা হতভম্ব হয়ে
যায়। অস্ত্রের ইশারায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো সে নালা ভেঙে ট্যাংকের কাছে চলে
যায়। পাকিআর্মি তারে বন্দি করে। এদিকে গ্রামবাসী জানতে পারে মালিহার
বোকামি। এখন মেয়েটারে কীভাবে উদ্ধার করবে। সবাই মিলে শলাপরামর্শ করে, কেউ
পরামর্শ দেয় আগুনের মশাল ছুইড়া মারবে, কেউ বলে নালার মধ্যে সাপ ছাইড়া
দিতে, কিন্তু কোনো পরামর্শই মানা হয় না। বস আপনে এ জায়গায় টেনশনটা নিয়া
খেলবেন।<br />
পরিচালক : আচ্ছা তারপর।<br />
নাট্যকার : মালিহার কারণে রুহুলের
মন খারাপ থাকে। সে আর্মিদের চোখ এড়ায়া একটা গাছের আড়ালে বইসা থাকে আর
ট্যাংকের দিকে তাকায়া থাকে। হঠাৎ সে দেখে এক পাকি আর্মি ট্যাংকের ছাদে উঠে
'কোই হ্যায়' 'কোই হ্যায়' বলে চিৎকার করে। উর্দুতে বলতে থাকে, আমরা
তোমাদের কিছুই করব না। তোমরা কেউ আমাদের কিছু খাবার দেও। আর খাবার দিলে
আমরা মেয়েটাকে ছেড়ে দিব। রুহুল এটা গ্রামবাসীরে জানায়। ওইদিন দুপুরে
গ্রামবাসী মিটিংয়ে বসে। সিদ্ধান্ত হয় তাদের খাবার দেয়া হবে। কেউ রাজি
হয় না ট্যাংকে যেতে, তখন আমাদের রুহুল রাজি হয়। গ্রামের মা-ঝিরা মিলে
মুর্গী, ছাগল জবাই দিয়ে রান্না করা হয়। রুহুল তার বৃদ্ধা দাদির মায়া
ছেড়ে মাথায় বড় একটা বাক্সে খাবার দাবার প্লেটগ্লাস নিয়ে নালার মধ্যে
নেমে পড়ে। কাছাকাছি যেতেই দুজন পাকআর্মি তার মাথা থেকে বাক্সটা নিয়ে
নেয়। এরপর খট করে রুহুলের দিকে অস্ত্র তাক করে। রুহুল একদৃষ্টিতে তাকিয়ে
থাকে। গুলি করবে পাকআর্মি? উফ্, সিকোয়েন্সটা 'চিন্তা করতে'ই আমার লোম
খাড়া হয়ে যাচ্ছে। যাহোক, রুহুল ভয়ে ভয়ে উর্দুতে বলে, আমি কি মালিহার
সঙ্গে দেখা করতে পারি?<br />
পরিচালক : আচ্ছা এতো ডিটেইলস তো আমি পরে পড়ে নিব। শর্টকাটে বলেন।<br />
নাট্যকার
: এরপর রুহুলকে ট্যাংকের ভিতরে নেয়া হয়। ওরা বাক্স খুলেই খাবার দাবার
বের করতে শুরু করে। গপাগপ খেতে থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সবাই বমি করতে
শুরু করে কারণ খাবারে বিষ ছিল। গ্রামবাসীও সেটা জানত না। রুহুল নিজেই সেটা
মিশিয়ে দেয়। এটা ফ্ল্যাশবাকে দেখিয়ে দিব যে নালায় নামার আগে সে বাক্সটা
মাটিতে নামিয়ে রাখে। তখনই সে বিষ মিশায়। কারণ রুহুলরে মুক্তিযোদ্ধা
হিসেবে প্রোট্রেট করতে গেলে এরকম সাহসী কিছু করাতে হবে। সো সবাই মারা গেলে
সে মালিহাকে নিয়ে ট্যাংক থেকে বেরিয়ে আসে। ছাদে উঠতেই দেখে এক পাক আর্মি।
রুহুল আর মালিহাকে দেখেই সে অস্ত্র তাক করে। কিন্তু রুহুল চালাকি করে বসে
গিয়ে তারে লাথি মারে। সে অস্ত্র ফেলে নালাতে পড়ে যায়। সে অস্ত্র তুলে
নিয়ে রুহুল জোরে চিৎকার করে উঠে - জয় বাংলা।<br />
পরিচালক : আপনার কাহিনি শেষ?<br />
নাট্যকার
: হা হা হা। শেষ হইয়াও হইলো না শ্যাষ। এতোক্ষণ যে গল্প শুনলেন এটা আসলে
পুরোটাই ফ্ল্যাশব্যাকে ছিল। কাহিনির এ পর্যায়ে এসে আমরা জানতে পারি যে
এতোক্ষণ আমরা রুহুলের মুখেই গল্পটা শুনি। কারণ কী জানেন?<br />
পরিচালক : আরোও কী কী কারণ?<br />
নাট্যকার
: কারণ গ্রামবাসী। মালিহা যে ২দিন ট্যাংকে ছিল আপনি কি মনে করেন পাকআর্মি
তারে ধর্ষণ করে নাই? আমাদের ইতিহাসে লেখা আছে ২/৪ লক্ষ মা-বোন ধর্ষণের
শিকার হইসে। তাই আমি 'চিন্তা করসি' এখানে মালিহা সেই মহান বীরাঙ্গনাদের
রিপ্রেজেন্ট করবে। বাট দ্য স্যাড পার্ট ইজ সেই মালিহাকে গ্রামবাসী পরে
ধীক্কার জানায়। কিন্তু আমাদের রুহুল, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল, পিছপা হয়নি। সে
মালিহাকে নিজের বউ করে ঘরে নেয়। যেটা আমরা নাটকের শেষে জানতে পারি যখন
পুরা ফ্লাশব্যাক শেষে রুহুলের কাছে ফিরি। বস কেমন লাগল?<br />
পরিচালক : ভালো।
আমার পছন্দ হয়েছে। আসলেই আনকমন। এরকমও যে ঘটেছে ৭১ এ আমার জানা ছিল না।
আমি এখনই 'অমুক' জেলার 'তমুক' গ্রামে খোঁজ লাগাচ্ছি। বেটার হয় ওখানেই
শ্যুটিং করলে। আর ওখানে ওইসময়কার লোকজনের সঙ্গে কথা বলব, দেখি তারাও এ
ঘটনায় আর কোনো ইনপুট দিতে পারে কিনা।<br />
নাট্যকার : বস এসব কী বলেন। এটা তো সত্যি ঘটনা না। আমি 'চিন্তা কইরা' বাইর করসি।<br />
পরিচালক : 'চিন্তা কইরা' বের করসেন?<br />
নাট্যকার
: হ্যা ভাই। নাইলে আনকমন কিছু করাটাই তো টাফ। আপনে দেখেন না
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যতো নির্মাণ হইসে সবই একইরকম। নতুন কিছু দিতে হইলে বস
'অন্যরকম চিন্তা' করতে হবে।<br />
পরিচালক : আপনি কয়দিনে এ স্ক্রিপ্ট লিখছেন?<br />
নাট্যকার : এটা লিখতে আমার বেশি টাইম লাগে নাই। জাস্ট স্টাডি করতেই বেশি টাইম চলে গেছে।<br />
পরিচালক : কী স্টাডি করছেন?<br />
নাট্যকার
: ওয়েল। আমি প্রচুর মুভি দেখি। তো আপনে বলার পর আমি যুদ্ধের ছবি বেশি
বেশি দেখা শুরু করলাম। আমেরিকা-ভিয়েতনাম, বসনিয়া-সার্বিয়া, দুই কোরিয়া,
চীন-জাপান যুদ্ধ, আর আমাদের পাক-ইণ্ডিয়া যুদ্ধের ছবি তো আছেই। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের উপরও প্রচুর ছবি দেখছি। এসব দেখেই আপনে মনে করেন যে এই
স্ক্রিপ্টের আইডিয়াটা 'চিন্তা করতে' পারসি।<br />
পরিচালক : আপনারে একটা
অনুরোধ করি। আসছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে আমি
একটা নাটক বানাব। আপনি আমারে স্ক্রিপ্ট দিবেন। আরেকটা অনুরোধ হইলে এই
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আপনি কষ্ট কইরা 'চিন্তা' কইরেন না কোনোকিছু। একটু
রেস্ট নেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু 'চিন্তা' আপনে কইরেন না।<br />
<br />
*** *** *** *** *** *** *** *** *** ***<br />
<br />
অফটপিক:<br />
<br />
আমি
সবসময়ই একটা কথা বিশ্বাস করি আর বলে আসছি যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি নির্মাণ
করতে হলে আমাদের অতি কষ্ট করে 'কল্পনা করে' কোনো কাহিনি বানানোর দরকার
নাই। ৭১ এর ন'মাস কিংবা তারও আগে থেকে দেশ স্বাধীন করার ইচ্ছা ও তা
বাস্তবায়নে এ ভূখণ্ডের মানুষ যা করেছে তাতে অনেক 'সত্যি ঘটনা' পাওয়া যাবে।
কল্পনা করে ছবি বানাতে গিয়ে 'মেহেরজান' টাইপ বিষ ঢুকে যাচ্ছে, আরও কয়েক
প্রজন্ম পরে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিগুলোর মনগড়া কাহিনি সে প্রজন্মদের বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে।<br /><br />
মুক্তিযুদ্ধ - রাতের বেলায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা নয়, যুদ্ধ করা -
আরামের কাজ নয়, যুদ্ধে পরিবার পরিজন হারানো - খুশির সংবাদ নয়, যুদ্ধের
কারণে দেশান্তর হওয়া - ডিবি লটারি জেতা নয়। এতো এতো সত্যি ঘটনা ছড়িয়ে আছে
যে কষ্ট করে কল্পনা করার দরকার হয় না। 'সত্যি কাহিনি' নিয়ে ছবি বানান।<br /><br /> আর ছবিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির মুখের উর্দু সংলাপে সাবটাইটেল ব্যবহার করুন।<br />
<br />
সামনে ডিসেম্বর মাস আসছে। মুক্তিযুদ্ধের মনগড়া কাহিনি নিয়ে নাটক/ ছবি
বানানোর হিড়িক পড়ে যাবে তাই এ আগাম সতর্কবাণী কিংবা অনুরোধ, জানিয়ে রাখলাম।</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-45594516276429022002013-03-23T11:59:00.000+00:002015-01-06T08:25:36.962+00:00এলেবেলে জীবনের খাতায় আরো একটি আফসোস ...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো আফসোস থাকে৷বেঁচে থাকতে থাকতে কোনো এক পর্যায়ে এসে সেইসব আফসোসের কিছু কিছু কেউ কাটিয়ে উঠতে পারেন, কেউ নির্ভতে পুষে যান৷ কারো ছোটবেলায় স্ট্যাম্পের খাতা পুষ্ট ছিল না বলে আফসোস করেন, কেউ আফসোস করেন যদি সাহস করে মেয়েটিকে ভালোবাসার কথা বলে ফেলা যেত - আমি আফসোস করি স্কুললাইফে আমার যদি একটা বাইসাইকেল থাকত৷<br />
<a name='more'></a><br />
আমার আফসোস করার আরো কারণ আছে৷ ভালো নাটক-সিনেমা না বানাতে পারার আফসোসটি প্রধান৷এছাড়াও অন্যান্য আফসোসগুলোর কিছু মিটিয়ে ফেলতে পারি কিন্তু সেটা জোর করেই করা হবে; এখন বাইসাইকেল হাজারটা কিনলেও মনে সুখ আসবে না৷ আবার কিছু কিছু আফসোস সারাজীবন থেকে যাবে৷চাইলেও মুছে ফেলা যাবে না৷ সেই লগ্ন, সেই ক্ষণ, সেই সময়, যাই বলি না কেন ফিরে আসবে না৷ আমার সর্বশেষ আফসোসটির নাম 'ওয়াকিং ফর জাস্টিস৷'<br />
<br />
ফজলুল কবির তুহিন মূলত অভিনেতা৷হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় 'হিমু' চরিত্রে প্রথম রূপদানকারী হচ্ছেন তিনি৷ যারা জানেন না, তাদেরও বলে রাখি, বাস্তবজীবনে তুহিন ভাই আসলেই একজন হিমু৷ চরমভাবে অবৈষয়িক, অসাংসারিক একটি মানুষ যে কী পরিমাণ স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে পারেন সেটা তার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে না মিশলে বোঝানো যাবে না৷ প্রচণ্ড আড্ডাবাজ এ মানুষটির ভেতরে 'হিমু'-র সকলগুণই প্রকটভাবে রয়েছে৷ হয়তো সে কারণেই হমায়ুন আহমেদ তাকে বেছে নিয়েছিলেন৷ হিমু খ্যাত তুহিনের অনেক স্বপ্ন, অনেক প্ল্যান কখনো আলোর মুখ দেখেনি, অনেকে শুনে আড়ালে হেসেছে, কিন্তু তাতে 'তুহিমুন' (এ নামটি আমি তাকে দিলাম) এর স্বপ্নবাজি কমেনি৷হুমায়ুনের হিমু সারা শহর হেঁটে চষে বেড়ায়, আমাদের তুহিমুন স্বপ্নবাজি করতে করতে দাঁড়িয়ে গেলে পায়চারি শুরু করেন, বসে থাকলে এদিক সেদিক দোলেন৷তারপর গান ধরে বসেন, পুরাই অস্থির ...<br />
<br />
<table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="float: left; margin-right: 1em; text-align: left;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9g_xT9CsnDLUIMRXaTnkxXy7gAF5Je-rLUK2r8EAgDNxdxc-f0YA8UsrzbawueXBCxJxMghEBu2SyaTUGQgWyhtAUCvbukjbNWVw1u-uCcPYS8CjxqKPNGonBIoWg2x0zRjB7UmJcZFsP/s1600/Himu_01.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; margin-bottom: 1em; margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9g_xT9CsnDLUIMRXaTnkxXy7gAF5Je-rLUK2r8EAgDNxdxc-f0YA8UsrzbawueXBCxJxMghEBu2SyaTUGQgWyhtAUCvbukjbNWVw1u-uCcPYS8CjxqKPNGonBIoWg2x0zRjB7UmJcZFsP/s400/Himu_01.jpg" height="280" width="400" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">হুমায়ুন আহমেদের আলোচিত চরিত্র 'হিমু'-র প্রথম রূপদানকারী অভিনেতা ফজলুল তুহিন</td></tr>
</tbody></table>
<br />
১৯ তারিখ বিকেলে ফোন করে তুহিন ভাই জানালেন, তারা ম্যানচেস্টার থেকে লণ্ডন পর্যন্ত হেঁটে আসবে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে৷ সেসাথে বৃটেনে অবস্থানকারী যেসব যুদ্ধাপরাধী রয়েছে, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বৃটিশ সরকারের কাছে একটি আর্জিও তারা পেশ করবেন৷তুহিন ভাই জিজ্ঞেস করলেন, কামরুল যাবা নাকি?<br />
<br />
গ্রামের মানুষজনদের কাছে পানি চাইলে সাথে মুড়ি-বাতাসা মেলে৷ গেরস্থ কখনো শুধু পানি খেতে দেয় না পথচারিদের৷ বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য ৪ বন্ধু মিলে মাওয়া ঘাটের আশেপাশের গ্রামগুলোতে ঢু মেরেছিলাম৷ আসার সময় কারো পকেটে পয়সা ছিল না, মাওয়া ঘাট থেকে হেঁটে এসেছি ধলেশ্বরী ঘাট পর্যন্ত৷ জনমত জরিপের কাজে গ্রামাঞ্চলে সকাল-সন্ধ্যা হেঁটে বেড়িয়েছি৷ কলেজে পয়সা বাঁচানোর জন্য পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে মতিঝিল কলোনি কিংবা পয়সা না থাকার জন্য গ্রুপ থিয়েটারে যেতে মতিঝিল কলোনি থেকে কার্জন হল ক্যাফে পর্যন্ত হেঁটেছি নিয়মিত৷দাঁড়িয়ে থেকে রিক্সা ঠিক করতাম না, গন্তব্যের দিকে হাঁটতে হাঁটতে রিক্সা পেলে উঠে যেতাম৷পীরজঙ্গী মাজার থেকে মালিবাগ এভাবে হাঁটা হয়ে যেত মাসের অনেকদিন৷লণ্ডন শহরে অনেকগুলো 'পুরো রাত' শুধুই হেঁটেছি৷কেওকারাডাং চড়েছি, পুরো সেন্টমার্টিনের চারিপাশ হেঁটেছি, আমার হাঁটার অভ্যাস আছ৷ কিন্তু আমি তুহিন ভাইকে বললাম, নারে ভাই, যেতে পারব না৷<br />
<br />
আমি যেতে পারিনি আমার কর্মস্থলের ব্যস্ততার কারণে, আমি যেতে পারিনি আমার সাংসারিক দায়বদ্ধতা থেকে, আমি যেতে পারিনি আমার আগের এলেবেলে জীবনের মতো আর সাহসী নই বলে, আমি যেতে পারিনি আমার বর্তমান এলেবেলে জীবনে 'ধুর বাল' বলে রিস্ক নিতে ভয় পাই বলে৷ আমি যেতে পারিনি কারণ আমি হিমু নই বলে৷<br />
<br />
সেখান থেকেই আফসোসের শুরু৷<br />
<br />
অথচ 'ওয়াকিং ফর জাস্টিস' অভিযাত্রী দলে রয়েছেন একজন ষাটোর্ধ্ব তরুণ আমিনুল হক বাদশা৷ সারারাত আড্ডা মেরেও যার ক্লান্তি আসে না৷ মাঝরাতের আড্ডায় যদি প্রস্তাব আসে- চলেন যাই ব্রাইটন বীচে; সর্বপ্রথম উঠে দাঁড়ান বাদশা ভাই৷জিজ্ঞেস করেন, এ জ্যাকেটে ঠান্ডা মানবে তো৷ চলো বাইরাই৷অভিযাত্রী দলে আরো আছেন মঞ্জুলিকা জামালী৷সদা হাস্যোজ্জ্বল, গান কবিতায় ভরপুর আরেক প্রিয় মানুষ৷তাই এ পদযাত্রায় তার নাম দেখে অবাক হইনি৷অভিযাত্রী দলের এ কয়েকজনকেই আমি ভালোভাবে চিনি৷আর যাকে খুব অল্প করে চিনি, লণ্ডনে আসার পরপরই যার সঙ্গে তুহিন ভাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি হলেন সাজ্জাদুল বা সাজ্জাদ৷'ওয়াকিং ফর জাস্টিস' এর মূল উদ্যোক্তা৷<br />
<br />
বৃটেনে বসবাসকারী আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে৷ তারা না হতে পারছে পুরোপুরি বৃটিশ, না হতে পারছে পুরোপুরি বাংলাদেশী৷মানুষ যদি নিজস্ব জাতিগত কালচার হারিয়ে ফেলে তখন সে তার ধর্মীয় কালচারকে আকড়ে ধরে৷ এরই শিকার হয়েছে বৃটেনে বড় হওয়া আমাদের প্রজন্ম৷আর ধর্মকে হাতিয়ার করে এদের বেপথে নিচ্ছে কিছু সাংগঠনিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা৷অথচ এর মাঝে সাজ্জাদ যেন পদ্মফুল৷ মাত্র ৮ বছর বয়সে বাংলাদেশ ছেড়ে এসে বৃটেনে বড় হওয়া এ ছেলেটির ক্রাইসিস এখন একটাই - যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি৷<br />
<br />
<table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="float: right; margin-left: 1em; text-align: right;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc5h1ooLqybq0DbDsVhZwjwqbCmFfq4pit1YimQWPOwtkYRycbF-PDGVYz-fWMFI2scSNrFvFnsqvUizttgTmWJssUBEIo8YvhaPalKrA088-gVzzM8xtITrrRMeAcVK229y3HXlERwv-6/s1600/Himu_03.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; margin-bottom: 1em; margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc5h1ooLqybq0DbDsVhZwjwqbCmFfq4pit1YimQWPOwtkYRycbF-PDGVYz-fWMFI2scSNrFvFnsqvUizttgTmWJssUBEIo8YvhaPalKrA088-gVzzM8xtITrrRMeAcVK229y3HXlERwv-6/s400/Himu_03.jpg" height="300" width="400" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">অভিযাত্রীদের কয়েকজন</td></tr>
</tbody></table>
<br />
লন্ডনে আপনার আশেপাশে কিছু বাংলাদেশী মানুষজন পাবেন যারা ছুপা ছাগু, জামাত-শিবির করে থাকে৷অথচ জিজ্ঞেস করলে উত্তরে না বলবে৷ এতোই প্রবল এদের হীনমন্যতা৷ তাদের পার্টির উত্তরসূরীর অসততা, বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে এরা পুরাই ওয়াকিবহাল৷ ৫ জন রাজাকারের নাম জিজ্ঞেস করলে উত্তর না দিয়ে আপনার সামনে বাংলাদেশের ফৌজদারি সমস্যাগুলো এনে ম্যাতকার করবে, ত্যানা প্যাঁচাবে৷এদের খপ্পরে পড়ে ধর্মের অপব্যাখ্যার বটিকা খাওয়া বৃটেনে বড় হওয়া বর্তমান প্রজন্ম তাই বাংলাদেশে স্বাধীনতার চেতনাটুকু ধারণ করতে পারছে না৷পাশ্চাত্যের মতো একটি বিজ্ঞানসম্মত দেশে বাস করে এরা বিশ্বাস করতে পছন্দ করে চাঁদে সাঈদীকে দেখা যেতেও পারে৷<br />
<br />
অথচ সাজ্জাদও এদেশে বড় হওয়া ছেলে৷ একজন নাট্যকর্মী৷ বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে সোচ্চার একজন তরুণ৷ কিছু পাওয়ার আশা না করে নিজ অব্স্থান থেকেই জানাচ্ছে তার দাবি৷ সহযাত্রীদের নিয়ে শুরু করেছে দীর্ঘ ৩০০ মাইল পদযাত্রা৷এদেশের প্রতিটি বৃটিশ-বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্ম যদি সাজ্জাদের মতো ভাবত তাহলে ৭১ পূর্বসূরিদের চেয়েও বড় গণজাগরণ তৈরি হতো৷<br />
<br />
সাজ্জাদ ও তার বন্ধুরা চাচ্ছে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি যেসব যুদ্ধাপরাধী লণ্ডনে আশ্রয় নিয়েছে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বৃটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ৷ এ লক্ষ্যেই তাদের অভিনব পদযাত্রা 'ওয়াকিং ফর জাস্টিস'৷ইউকের ওল্ডহ্যামে তৈরি হওয়া প্রথম শহীদ মিনার থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে লণ্ডনের রিজেন্টস পার্কে গণজাগরণ ইউকে আয়োজিত সমাবেশে৷গত ২০ মার্চ শুরু হয়েছে এ পদযাত্রা, শেষ হবে ২৬ মার্চ৷ ওইদিন দুপুর ২.৩০ মিনিটে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ১০ ডাউনিং স্ট্রীটে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি পেশ করা হবে৷ইতিমধ্যে এ পদযাত্রার ৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে৷ দলটি বর্তমানে বার্মিংহাম রয়েছে৷<br />
<br />
<table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="float: left; margin-right: 1em; text-align: left;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqMQD9lvOeqkbg1mOVMfTF09oljAHOYYG8AwZzDR6xkfd6R06r2AHFKLpn71cRcV3xfIbXEn6_po7LFr7K4VLk8OJD6glfsRfWmkUJ1yycsqvjp6gx8VxA-vD1x1UOhsQiZrrMGK6J-Vgj/s1600/Himu_02.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; margin-bottom: 1em; margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqMQD9lvOeqkbg1mOVMfTF09oljAHOYYG8AwZzDR6xkfd6R06r2AHFKLpn71cRcV3xfIbXEn6_po7LFr7K4VLk8OJD6glfsRfWmkUJ1yycsqvjp6gx8VxA-vD1x1UOhsQiZrrMGK6J-Vgj/s400/Himu_02.jpg" height="300" width="400" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">তুষারপাত অগ্রাহ্য করে হেঁটে চলছে অভিযাত্রী দল৷</td></tr>
</tbody></table>
<br />
এ কয়দিনে তারা ক্রমাগত হেঁটেছেন প্রবল ঠাণ্ডা, তুষারপাত অগ্রাহ্য করে৷বিভিন্ন শহরের অলিগলি, সুরু-বড় রাস্তা-মটরওয়ে পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন পরের শহরে, রাতে ঘুমিয়েই পরের দিন হাঁটতে শুরু করেছেন পরবর্তী গন্তব্যে৷পত্রিকা-ফোন মারফত এদের খোঁজখবর রাখি৷ বিভিন্ন শহরে বেশ সাড়া পড়েছে, অনেকেই মাঝপথে তাদের সাথী হচ্ছেন, আর এদেশীয়রা আগ্রহভরে জানতে চাইলে তারা জানাচ্ছেন তাদের দাবির কথা৷ শোনাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা৷<br />
<br />
আমার আফসোস বেড়েই যায়৷এদের সাহসে অভিভূত হয়ে যাই৷<br />
<br />
আগামী ২৬ মার্চ রিজেন্টস পার্কে গণজাগরণ ইউকের সমাবেশ হবে৷ সেখানে আসবে 'ওয়াকিং ফর জাস্টিস' এর অভিযাত্রীরা৷সাজ্জাদ আমাদের কাছে একটি আর্জি জানিয়েছেন, <b>তারা চায় তাদের প্রতি ১ কিলোমিটার হাঁটার পরিবর্তে আমরা যেন ১০ জন সেদিন সমাবেশে উপস্থিত থাকি৷</b><br />
<br />
জীবনের বিভিন্ন বেলার আফসোসগুলো প্রায়ই ভাবায়৷ ইস, উস, আহ, উহ করি, কিন্তু আফসোসগুলো মিটিয়ে ফেলার আর কোনো উপায় খুঁজে পাই না৷ এবার একটি ছোট সুযোগ এসেছে৷ ওয়াকিং ফর জাস্টিসে অংশ নিতে না পারার আফসোসকে বড় করতে দিব না৷ আমি যাব সমাবেশে৷ অভিযাত্রীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলব, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷<br />
<br />
**** ****<br />
ছবি কৃতজ্ঞতা <a href="http://www.britbangla24.com/index.php" target="_blank">britbangla24.com</a></div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-18473934887623480152013-01-05T23:05:00.000+00:002016-08-12T07:54:41.671+01:00'বাঙালি' / 'বাংলাদেশী' <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<h5 class="uiStreamMessage" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}">
<span style="font-size: small; font-weight: normal;"></span></h5>
<h5 class="uiStreamMessage" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}">
<span style="font-size: small; font-weight: normal;">'বাঙালি' আপনার জাতিগত পরিচয়, আর 'বাংলাদেশী' আপনার ভৌগলিক পরিচয়। পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই এক ভৌগল<span class="text_exposed_show">িক
সীমারেখায় বিভিন্ন জাতির মানুষ বসবাস করে। পাশের দেশ ইণ্ডিয়ায় নানা জাতি
যেমন, বাঙালি, তামিল, মারাঠি ইত্যাদি রয়েছে, কিন্তু তারা ভৌগলিকভাবে
ভারতীয়। বাংলাদেশের কথা ধরা যাক। <a name='more'></a>পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমা, মগ,
মুরং সহ বিভিন্ন জাতি বাস করে, তারা বাঙালি না। বাট ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশী।
আবার মধ্যপ্রাচ্যের কথা ধরুন, জাতিগতভাবে বেশিরভাগই আরব কিন্তু ভৌগলিকভাবে
কেউ ইরানি, ইরাকি, কুয়েতি, সৌদীআরবীয়, মিশরীয় ইত্যাদি। এক জাত (আরব) হয়ে
যদি ভিন্ন ভৌগলিক সীমারেখায় (ইরাক, ইরান, সৌদি ইত্যাদি) বাস করা যায় তবে
বাঙালি জাতি কেন ইণ্ডিয়া আর বাংলাদেশে বাস করতে পারবে না? সো বাঙালি বললে
আপনার নিজেকে পশ্চিমবঙ্গীয় ভাবার দরকার নেই। এটা ভুল প্রচার করে ছাগুরা। <br /> <br />
'বাঙালি' হওয়াটা আপনার জিন, আপনার বাবা ছিলেন, দাদা ছিলেন, তারও বাবা-দাদা
বাঙালি ছিলেন। এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছু বাঙালি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ,
ত্রিপুরায় থেকে গেছে, কিছু বাঙালি দেশ স্বাধীন করে বাংলাদেশে আছেন। তাই বলে
রাজনৈতিক ভাগাভাগিতে আপনি আপনার 'বাঙালি' পরিচয় নিয়ে কুণ্ঠীত হবেন কেন?
পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা নিজেদের বাঙালি বলে দেখে আপনি আপনার বাঙালি পরিচয়
দিবেন না? এটা তো চোরের উপর রাগ করে মাটিতে বসে ভাত খাওয়ার মতো অবস্থা।<br /> <br />
এবার বলুন তো, আপনার কোনো আত্মীয় যদি আমেরিকা বা বৃটেনের পাসপোর্ট নিয়ে
নাগরিক হয়ে নিয়মিত বসবাস শুরু করে, তবে তার জাতিগত পরিচয় 'বাঙালি' (আপনার
মতে বাংলাদেশী) থেকে চেঞ্চ হয়ে 'আমেরিকান' বা 'ইংরেজ' হয়ে যাবে? হবে না।
তিনি বড়জোর 'আমেরিকান' বা 'ব্রিটিশ' হবে ভৌগলিক অর্থে। কিন্তু তিনি
'বাঙালি'ই থাকবেন জাতিগতভাবে।</span></span><span style="font-size: small; font-weight: normal;"> </span></h5>
<h5 class="uiStreamMessage" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}">
<span style="font-size: small; font-weight: normal;">যারা
নিজেদের 'বাংলাদেশী' পরিচয় দিতে বেশি ভালোবাসেন তারা কি জানেন আপনার এ
'বাংলাদেশী' পরিচয় চেঞ্চ হয়ে যেতে পারে? ঠিক যেমনটা চেঞ্চ হয়েছিল আপনার
বাবার। আপনার বাবা 'পাকিস্তানি' থেকে 'বাংলাদেশী' হয়েছেন। তার এই ভৌগলিক
পরিচয় চেঞ্চ হলেও কিন্তু তিনি সবসময়ই 'বাঙালি' থেকেছেন। উদাহরণস্বরূপ,
বার্মা যদি আজকে বাংলাদেশ দখল করে ফেলে তাহলে আমরা ভৌগলিক অর্থে সবাই
'বাংলাদেশী' থেকে 'বার্মিজ' হয়ে যাব। কিন্তু আমাদের 'বাঙালি' পরিচয় বদলাবে
না। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন 'বাঙালি' পরিচয়টা সবার আগে এবং সবচেয়ে
গর্বের</span></h5>
<h5 class="uiStreamMessage" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}">
<span style="font-size: small; font-weight: normal;"><span class="text_exposed_show"> </span></span></h5>
<h5 class="uiStreamMessage" data-ft="{"type":1,"tn":"K"}">
<span style="font-size: small; font-weight: normal;"><span class="text_exposed_show">এক কথায় আমরা,<br /> জাতি = বাঙালি (মাতৃভাষা বাংলা)<br /> জাতীয়তা (ভৌগলিক অর্থে) বা নাগরিক = বাংলাদেশী (যে কোনো ভাষাভাষী)<br /> ধর্ম = যার যার তার তার।</span></span></h5>
</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-10886211322587467402011-07-30T16:55:00.004+01:002011-07-30T16:57:40.892+01:00তারিয়ে তারিয়ে মৃত্যু ...<div class="content clearfix">
আহ! আজ বয়সটা ৭৫ এ পা রাখলো। পচাত্তর
বছর পূর্বে এ পৃথিবীতে এসেছিলাম। কতো কিছু দেখলাম, কতো বিশ্বাস হারালাম,
কতো কিছু জানছি এখনো। ৭৫ বছর বয়সেও জানার শেষ নেই।<br />
<br />
আমার পরিচিত সবাই মরে গেছে। আমার বন্ধুরা সবাই মরে গেছে। আমি বেঁচে আছি।
বেঁচে থাকা-র সুখ পাচ্ছি। আর কতো বছর বাঁচবো আমি? ২৫ বছর বয়স থেকে বলতাম,
আমি ৮০ বছর বাঁচবো। সে িহসেবে আর মাত্র ৫ বছর বািক আছে আমার। আরো ৫ বছর
বেঁচে থাকবো আমি।<br />
<a name='more'></a><br />
৫ বছর পর আমার মৃত্যুটা কেমন হবে? হুট করে মরে যাবো না ধীরে ধীরে?
বন্ধুদের বেশিরভাগই হুট করে মরে গেছে। কেউ ঘুমের মধ্যে, কেউ হঠাৎ হার্ট
এ্যাটাকে। সবাই বলে, এমন হুট করেই মরে যাওয়াটাই ভালো। পৃথিবীর মায়া
কাটানো কঠিন। হুট করে মরে গেলে সবারই সুবিধা।<br />
<br />
আমি হুট করে মরে যেতে চাই না। ধীরে ধীরে মরতে চাই। আমি মৃত্যুটা উপভোগ করতে চাই তারিয়ে তারিয়ে।<br />
<br />
আজকে এই ৭৫ বছর বয়সেই আমার মৃত্যু হোক। তবে মৃত্যুর আগে আমার পুরো
জীবনটা রিওয়াইণ্ড করে দেখতে চাই। দেখা শেষ হলে ঠিক ৫ বছর পর আমার সম্পূর্ণ
মৃত্যু ঘটুক। ৮০ বছর বয়সে আমার পূর্ণমৃত্যু ঘটুক। আমি ভেবে দেখেছি ৭৫
থেকে ৮০ এই ৫ বছরে আমার পুরো জীবন রিওয়াইণ্ড করে দেখা সম্ভব।<br />
<br />
না, পুরোনো জীবনের কোনো কিছুই নতুন করে সাজাতে চাই না। শুধু দেখতে চাই
ফিরে ফিরে। প্রিটেস্ট পরীক্ষায় দুই সাবজেক্টে ফেল করেছিলাম, জীবন
িরওয়াইণ্ড করে সেই সাবজেক্টে পাশ করতে চাই না। শুধু দেখতে চাই আবার ফেল
করা ...<br />
<br />
আমার কাছে স্মৃিত আনন্দময়। আমি কোন রাস্তায় হেঁটে েগছি, গ্রামে কোন
গাছের তলায় ঘুমিয়েছি, প্রিয় মানুষদের সাথে আমার সখ্যতা, সব দেখতে চাই
আবার। আমার ফেলে আসা জীবনটাকে আমি খুব ভালোবাসি।<br />
<br />
এভাবে দেখতে দেখতে আমার ৫ বছর কেটে যাবে। আমি পূর্ণ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বো।<br />
<br />
আমার যাপিত জীবন হবে দুটি। একটি ৭৫ বছরের। আরেকটি ৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ ৭৫ বছরের জীবন।</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com7tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-53337675951832750032011-05-23T11:38:00.002+01:002011-06-04T19:15:48.874+01:00ইয়াহু ... ম্যান সিটি ...<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLSSmyVhNQj-fmbZzSsZ3Nr_-cTYZaWLjwb8MrujR-zKVVJWGnOzTCk54eois_6A042lXOBR1VnpdX9gOL02DIiv3nMpWskdZll0avMkUVB_VnZ94-BM31qmxjl6PUcPdHLEaPKIREOKLD/s1600/manc.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLSSmyVhNQj-fmbZzSsZ3Nr_-cTYZaWLjwb8MrujR-zKVVJWGnOzTCk54eois_6A042lXOBR1VnpdX9gOL02DIiv3nMpWskdZll0avMkUVB_VnZ94-BM31qmxjl6PUcPdHLEaPKIREOKLD/s1600/manc.jpg" /></a></div>আজ রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শেষ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। ম্যানচেস্টার সিটি এবার দারুণ সাফল্যের সঙ্গে সিজন শেষ করলো। দেখা যাক তারা কী কী পেলো?<br />
<a name='more'></a>১। ৩৬ বছর পর এই প্রথম ম্যানসিটি কোনো কাপ জয়ের স্বাদ পেলো। এফ.এ কাপ।<br />
২। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ৩য় স্থান অধিকার করেছে। সিজনের শুরুতে আশা করেছিলাম ২য় হবে। হতোও, কিন্তু চেলসির সঙ্গে পয়েন্ট সমান হওয়ায় গোল ডিফারেন্সে ম্যানসিটির ৩য় হতে হয়।<br />
৩। ৩য় স্থান অধিকার করায় আগামী সিজনে ইউরোপের এলিট ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লীগে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। <br />
৪। ম্যানসিটির গোলরক্ষক, ইংলিশ ন্যাশনাল টিমের নাম্বার ১ গোলরক্ষক জো হার্ট ৩৮ টি<br />
খেলার মধ্যে ১৭টি খেলায় ক্লিনশিট (কোনো গোল না খাওয়া) থাকায় গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার পেয়েছেন।<br />
৫। ম্যানসিটি তালিসমান কার্লোস তেভেজ প্রিমিয়ার লীগে মোট ২১ টি গোল করে যৌথভাবে ম্যানইউ-র বারবাতোভের সঙ্গে গোল্ডেন বুট পুরষ্কার পাচ্ছেন।<br />
<br />
অথচ এ ম্যানসিটি নিয়ে কতোই না সমালোচনা। আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপের শেখ মনসুর এ ক্লাবটি কেনার পর থেকে টাকা ছড়াতে শুরু করেন। গুজব ছিলো মেসিকে নাকি ব্লাঙ্ক চেক সেধেছিলো। মেসির পর কাকা। সাড়া দিয়েছিলো রবিনহো। ২০০৮-০৯ সিজনে সেই সময়ে বৃটিশ রেকর্ড ৩২.৫ মিলিয়ন অর্থব্যয়ে তাকে কেনা হয়। পুরো সিজন মোটামুটি কেটে গেলে পরের সিজনে ম্যানসিটি তেভেজকে কিনে নেয়। এরপর আর পিছে ফিরতে হয়নি ম্যানসিটিকে। ২০০৯-১০ সিজনে লীগে ১০ নম্বর পজিশন থেকে ৫ নম্বরে উন্নীত হয়। শেষ খেলায় টটেনহামের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয় না। উয়েফা কাপে অংশ নেয় ম্যানসিটি।<br />
<br />
এরপর আরো টাকা ছড়াতে শুরু করে ম্যানসিটি। যাকেই পছন্দ হয়েছে অর্থের বিনিময়ে তাকেই কিনতে চেয়েছে ম্যানসিটি। ম্যানেজার পরিবর্তন হয়ে আসে ইটালির রবার্তো মানচিনি। তিনি জেকো, তোরে, মিলনার, মারিও, কোলারব, বোয়েতাংসহ বেশকিছু প্লেয়ার কেনেন, খরচ করেন মিলিয়ন পাউণ্ড। ম্যানসিটি হয়ে যায় বিশ্বের ধনী ফুটবল ক্লাব। গত ৩ বছরে খরচ করেছে ৩০০ মিলিয়ন পাউণ্ড। গুজব উঠেছে ৮০ মিলিয়ন দিয়ে কেনা পর্তুগালের রোনাল্ডোকে ১৫০ মিলিয়ন দিয়ে বেচার জন্য আলোচনা চলছে ম্যানসিটির সঙ্গে রিয়ালের। অবশ্য ম্যানসিটি এ গুজব অস্বীকার করেছে।<br />
<br />
এতোসব কথা বলার কারণ হলো আমি ম্যানচেস্টার সিটি সাপোর্টার। কাড়ি কাড়ি অর্থ যখন খরচ করা হচ্ছে তখন ফুটবল পণ্ডিতরা নাক সিটকাচ্ছিলেন। ছ্যা ছ্যা ম্যানসিটির টাকা আছে তো কী হয়েছে? টাকা দিয়ে কি সব হয়? এইসব পণ্ডিতদের শরীর চুলকাচ্ছিলো ম্যানসিটির মালিক একজন আরব শেখ বলে। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ যে কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে এই সিজনে কাকা আর রোনাল্ডোকে কিনে নিলো (যৌথভাবে ১৪০ মিলিয়ন, বাকিগুলোর হিসাব দরকার নাই,), চেলসির জাগরণ যে আব্রাহোমোভিচ টাকা উড়িয়ে পেলেন, এসব যেন উদাহরণ না।<br />
<br />
এইসব পণ্ডিতদের আমি তখন একটাই কথা বলেছিলাম, ভাই একটু সবুর করেন। ম্যানসিটির মালিক আরব শেখ টাকা উড়ানোর পর লীগে ক্লাবের পজিশন ১০ থেকে ৫ হয়েছে। বর্তমান সিজনে ভালো শুরু করেছে। সো ক্লাব পজিটিভলি এগোচ্ছে। যেসব প্লেয়ার কেনা হলো তারা কেউই একসঙ্গে খেলেননি (পুরোটিম প্রায় নতুনই) কোনোদিন। একটু সবুর করুন। যদি অর্থ ব্যয় করে সাফল্য যদি না পায় তাহলেই বলা যেতে পারে, অর্থ দিয়ে কিছু হয় না।<br />
<br />
আমার যদি ক্ষমতা থাকে মেসিরে কেনার, আমি কেন কিনবো না? কোনো প্লেয়ারের দাম বাজারে ২০ মিলিয়ন হলো, আর আমি যদি ভাবি তাকে দরকার, কেউ কিনে নেওয়ার আগেই ৩০ মিলিয়ন দিয়ে কিনে ফেলি, তাহলে দোষটা কই? সেই প্লেয়ারকে দিয়ে যদি সাফল্য আনতে পারি তাহলে তো আমার টাকার বিনিয়োগ ভালোদিকেই গেলো। <br />
<br />
ফুটবল পণ্ডিতরা সিজন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। পণ্ডিতি করেই গেছেন। যার উপযুক্ত জবাব এই সিজনে ম্যানসিটি দিয়েছে। ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর এবারই সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে। অবশ্যই টাকা খরচ করার পর। তবে ভুললে চলবে না এই অর্থ ব্যয়ের পেছনে মেধা ও পরিশ্রম দুটোই ছিলো।<br />
<br />
প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমাদের NOISY NEIGHBOUR বলে থাকে। আমরা তাতে মাইণ্ড খাই না। এই সিজনে তো অল্প NOISE করেছি, নেক্সট সিজনে NOISE আরো হবে। দেখতে , থাকেন ... পণ্ডিতেরা ...অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-4036647813213135962010-09-15T15:19:00.002+01:002015-01-06T08:27:20.432+00:00সারাংশ ০১<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
রিয়েলিটি আর রোমান্টিসিজম পাশাপাশি চালিয়ে নেওয়া অনেক জটিল ব্যাপার। সংসারে তেল-নুন-পেঁয়াজের হিসেব ঢুকে গেলে ভালোবাসা উড়ে যায় - এমন প্রচলিত প্রবাদের পাশাপাশি এটাও সত্য তেল-নুনটার দরকার আছে।<br />
<a name='more'></a><br />
তাকানো যাক, অনিন্দ্য আর আভার সংসারের দিকে। কিছুদিন পরেই বিয়ের এক বছর পূর্তি হবে।<br />
<br />
অনিন্দ্য - বাস্তববাদী একটি তরুণ। অফিসে যন্ত্রের মতো কাজ করে। তবে বাস্তববাদী হলেও তার মধ্যে রোমান্টিকতা একদমই কম নয়। ঠিক প্রয়োজনের মুহূর্তেই সে রোমান্টিক - ১০০%।<br />
<br />
অপরদিকে আভা - সারাক্ষণই বনলতা সেন কিংবা হৈমন্তী সেজে বসে আছে। স্বামীর সোহাগী হয়ে জীবন কাটাতে চায়। প্রিয়-র চোখে দুনিয়া দেখতে কিংবা সারারাত জোছনা খেয়ে থাকতে চায় - কী দরকার কোমর বেঁধে রান্না করা, হাত মাখিয়ে ভাত খাওয়া।<br />
<br />
<br />
অফিসের প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত অনিন্দ্য রাতে ঘরে ফিরে খাবার পায় না। প্রেমময়ী আভা যে সারাদিন তার কথা ভাবতে ভাবতে দিন পার করেছে। রান্না করার ফুরসত কই? এবারের শীতে অনিন্দ্যকে একটি সোয়েটার বুনে দিতে হবে। কিন্তু ... কিন্তু ... কোন রঙে যে তাকে মানায় ...<br />
<br />
খিদের জ্বালায় অনিন্দ্য মাঝরাতে লুকিয়ে দুই পিস বিস্কিট খুঁজেপেতে খেয়ে নেয়। আভা তখন ঘুমিয়ে, হয়তো অনিন্দ্যকেই স্বপ্ন দেখছে।<br />
<br />
স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকা আভা মাঝে মাঝে জেগে উঠে কিন্তু। এই তো ক’দিন আগেই মাঝরাতে হুট করে জেগে উঠে জানাল, সে অনিন্দ্যর পা থেকে মোজার গন্ধ পাচ্ছে। তারও ক’দিন আগে বুয়ার সঙ্গে একচোট হয়ে গেল সোফায় ধুলো লেগে থাকা নিয়ে। অতিরিক্ত পরিষ্কার থাকার আভার এই বাতিকে অনিন্দ্য মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে যায়।<br />
<br />
এছাড়াও অনিন্দ্যর অফিসের যাওয়ার সময় মানিব্যাগ লুকিয়ে রাখা, চশমার কাঁচে রঙিন কাগজ সেঁটে রাখা, উপযুক্ত আদর না পাওয়া পর্যন্ত টাই ধরে ঝুলে থাকা - এসব খুনসুটি সারাক্ষণ লেগেই আছে।<br />
<br />
অনিন্দ্য ভাবে, আভাকে স্বপ্নের রোমান্টিক ভুবন থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা তার অনুপস্থিতিতে তো আভা বাস্তবজীবনে হোঁচট খাবে। কিন্তু হায়! হোঁচট খেয়ে গেল অনিন্দ্য নিজেই। গতকাল অফিসে প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল। আজ অফিসে গিয়েই জানতে পারল বস গম্ভীর হয়ে আছেন। <br />
<br />
চাকরি হারায় অনিন্দ্য। আভা ঘটনা জানতে পেরে চিৎকার করে উঠে, আমরা এখন খাব কী? থাকব কোথায়? অনিন্দ্য চমকায় আভার এমন করে বাস্তবে ফিরে আসায়। মৃদুস্বরে জানায়, গাছতলায় থাকা যায়, জোছনা খেয়ে থাকা যায়।<br />
<br />
বাস্তব বড়ই রূঢ়। ফ্ল্যাট ছেড়ে আভার সংসার নেমে আসে কমন টয়লেটে, শেয়ার্ড কিচেনে। চাকরি খুঁজতে অনিন্দ্য বেরিয়ে যায় সকালে। আভাই তাকে ঠেলেঠুলে পাঠিয়ে দেয় চশমা, মানিব্যাগ এগিয়ে। পাশের ভাড়াটিয়ার সঙ্গে চিৎকার হইহুল্লোড় করে রান্না করে। কমন টয়লেটের জ্বালায় মোজার গন্ধ দূরে পালায়।<br />
<br />
দিন গড়ালে, রাত পোহালে প্রথম বিবাহবার্ষিকী আসে। অনিন্দ্য রেস্টুরেন্টে খেতে চায়, আভা চায় ঘরেই ভালোমন্দ কিছু খেয়ে পয়সা বাঁচাতে। অনিন্দ্যর জয় হয়, বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা গাড়িতে চড়ে রেস্টুরেন্টে যায় তারা। সেখান থেকে যায় সেই বন্ধুর ফ্ল্যাটে। আভা আফসোস করে, ইস এরকম একটা ফ্ল্যাটে যদি থাকতে পারতাম।<br />
<br />
অনিন্দ্য পকেট থেকে চাবি বের করে আভার হাতে তুলে দেয়। প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে এই ফ্ল্যাটটি সে আভাকে গিফট করে। তার চাকরি যায়নি। প্রজেক্ট সাকসেস হওয়ায় বস তাকে মোটা বোনাস সহ হলিডে দেয়। তখনি সে চিন্তা করে এই হলিডেতে আভাকে বাস্তবে ঘুরিয়ে আনবে।<br />
<br />
আভা সব শুনে অনিন্দ্যর বুকে কিল মারে। অনিন্দ্য মৃদুস্বরে জানতে চায়, আমাদের জোছনা খাওয়ার কী হবে। আভা মুখ তুলে বলে, খাব তো। তবে ভরপেট হয়ে, ডেজার্ট হিসেবে।</div>
অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com7tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-65639430713234519632010-07-24T16:23:00.006+01:002011-06-04T19:17:13.558+01:00আষাঢ়ের গপসপ - আপনার মাউসের ক্লিকের অপেক্ষায় ...<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Asharer%20Gopshop_thumb.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="253" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Asharer%20Gopshop_thumb.jpg" width="320" /></a>অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিলো একটি ইবুক করবো পুরো নিজ দায়িত্বে। এজন্য ‘প্রথম চাকরির প্রথম দিন’ শিরোনামে একটি বিষয়ও নির্বাচন করি। তবে ব্লগারদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সেযাত্রায় কোনো ইবুক প্রকাশ করতে পারিনি। এদিকে বর্ষাও আসি আসি করছিলো, আমি পড়ছিলাম সুকুমার - খট করে ‘আষাঢ়ের গপসপ’ নামে একটি ইবুক করার আইডিয়া মাথায় জাগে।<br />
<a name='more'></a><br />
এবারের ডাকে ব্লগাররা অনেকেই সাড়া দেন। তারা লেখা পাঠান। যদিও অনেক লেখাতেই আষাঢ়ে গল্পের মূলসুর মার খেলেও ইবুক প্রকাশের খাতিরে সবার লেখাই আমি গ্রহণ করি। তাই সম্পাদক বলে বাড়তি কোনো কাজ আমাকে করতে হয়নি। যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি বানান শুদ্ধ রাখার জন্য।<br />
<br />
আমারব্লগ.কম এ নিয়মিতভাবে ইবুক প্রকাশ হয়। যদিও আমার তীব্র সন্দেহ রয়েছে ওইসব ইবুকগুলো ব্লগাররা আদৌ পড়েন কিনা। পুরোনো লেখা নতুন মোড়কে দিলেই সেটা পড়ার আগ্রহ জাগাবে এমনটা আমি ভাবি না। এজন্য বিষয়ভিত্তিক ইবুক প্রকাশের ক্ষেত্রে আমার ঝোঁক বেশি। এছাড়াও আমি বিশ্বাস করি ইবুক হতে হবে সুন্দর-নজরকাড়া। শাদামাটা টাইপের ইবুক আমার উল্টাতে মন চায় না।<br />
<br />
‘আষাঢ়ের গপসপ’ ইবুকের জন্য অনেক কষ্ট করে প্রচ্ছদ এবং ইলাস্ট্রেশন করে দিয়েছেন কার্টুনিস্ট আরিফ এবং পুরো ইবুকটি ডিজাইন করেছেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মিশু। তাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ইবুকে ব্যবহৃত কৌতুকগুলো নেওয়া হয়েছে ব্লগার বেলের কাঁটার ব্লগ থেকে। তাকেও ধন্যবাদ। লেখাগুলো ইউনিকোড থেকে বিজয়ে রূপান্তরিত করতে সচলায়তনের মুর্শেদের লেখনী পরিবর্তক ব্যবহার করা হয়েছে। ধন্যবাদ মুর্শেদ। সবশেষে ব্লগারদের কাছেও কৃতজ্ঞ থাকছি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও তারা লেখা পাঠিয়েছেন বলে।<br />
<br />
ইবুক প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণ বিশ্বকাপ ফুটবল। এজন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করছি সবাই ইবুকটি পড়বেন।<br />
<br />
<a href="http://www.e-bangladesh.org/wp-content/uploads/2010/07/Asharer-Gopshop.pdf">আষাঢ়ের গপসপ ডাউনলোড করুন। </a><br />
<br />
যে কোনো সমালোচনা সরাসরি প্রত্যাশা করছি। ইবুক পছন্দ হলে ফেসবুক সহ সব জায়গায় ছড়িয়ে দিন।অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-12226556697441992752010-03-26T17:57:00.001+00:002010-05-16T15:41:19.985+01:00Durex বৃটিশ সেক্স সার্ভে ২০১০১২,০০০ জনের উপর অনলাইন এ জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৃটিশ ট্যাবলয়েড <a href="http://www.thesun.co.uk/sol/homepage/features/2907985/Britains-bedroom-secrets-laid-bare-in-sex-survey.html">দ্য সান</a> পত্রিকায়। জরিপের চুম্বক অংশগুলো হচ্ছে -<br />
<ul><li>৩২.৫ শতাংশ বৃটিশ জনগণের মোট সেক্সুয়াল পার্টনার হলো ২-৫ জন যেখানে ১০০ এর উপর সেক্স পার্টনার ছিলো ১.৭ শতাংশ জনগণের।</li>
<li>নিয়মিত পর্ণো দেখে থাকেন ৮৫.২ শতাংশ বৃটিশ জনগণ এবং ৪৫.১ শতাংশ জনগণ ফোন সেক্স ভালোবাসেন।</li>
<li>৬৫ শতাংশ বৃটিশ জনগণ তাদের পার্টনারের সঙ্গে সেক্সুয়াল প্রতারণা করবেন না বলে জানিয়েছেন। <a name='more'></a></li>
<li>১ মিলিয়ন পাউণ্ড পেলে বৃটিশ জনগণের ২৯.৭ শতাংশ যে কারো সঙ্গে সেক্স করতে সম্মত জানিয়েছেন। ৫.৪ শতাংশ জানিয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিটের বিনিময়ে তারা সেক্স করবেন।</li>
<li>কনডম সাথে রাখার দায়িত্ব নারী-পুরুষ দুইজনেরই দায়িত্ব বলে মনে করেন ৮৩ শতাংশ বৃটিশ জনগণ।</li>
<li>২২ শতাংশ বৃটিশ জনগণ কনডম ব্যবহার করেন না, ৩৬ শতাংশ সবসময়ই করেন এবং ৪২ শতাংশ মাঝে মাঝে কনডম ব্যবহার করেন।</li>
<li>১৪.৫ শতাং বৃটিশ জনগণ স্বীকার করেন বর্তমান পার্টনারের সঙ্গে সেক্স করার সময় তারা তাদের প্রাক্তন পার্টনারের কথা চিন্তা করেন।</li>
<li>৬৭.২ শতাংশ জনগণ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করেন যেখানে ৫৩.২ শতাংশ ভাইব্রেটর ব্যবহার করেন।</li>
<li>২৭ শতাংশ জনগণ তাদের কুমারীত্ব বিসর্জন দিয়েছেন ১৬ বছরের চেয়ে কম বয়সে।</li>
</ul>এবার জরিপের পুরো চিত্রটি নীচের ছবিগুলোর সাথে জেনে নিন -<br />
<br />
<img alt="" height="284" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/01.JPG" width="400" /><br />
<img alt="" height="263" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/02.JPG" width="357" /><br />
<img alt="" height="265" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/03.JPG" width="355" /><br />
<img alt="" height="309" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/04.JPG" width="400" /><br />
<img alt="" height="586" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/05.JPG" width="393" /><br />
<img alt="" height="586" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/06.JPG" width="381" /><br />
<img alt="" height="400" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/07.JPG" width="393" /><br />
<img alt="" height="585" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/08.JPG" width="357" /><br />
<img alt="" height="397" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/09.JPG" width="400" /><br />
<img alt="" height="400" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/10.JPG" width="400" />অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-80109405705328165302010-02-18T17:02:00.008+00:002010-05-16T15:46:26.983+01:00কীভাবে লিখবেন 'মুভি রিভিউ'<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Viva%20Japata.jpg" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" height="320" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Viva%20Japata.jpg" width="228" /></a>মুভি রিভিউ লেখাটা বেশ কঠিন বলে জানি। এজন্যে কখনোই এ বিষয়ে চেষ্টা করিনি। <a href="http://aloukik.amarblog.com/posts/36263">মাত্র একবারই এপথে পা মাড়িয়েছিলাম।</a> সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্লগে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিসহ বিভিন্ন মুভির রিভিউ পড়ে ভাবলাম মুভি রিভিউ কীভাবে লেখে? রিভিউতে কী কী থাকা উচিত? রিভিউতে কি ছবির বিষয়বস্তু বলে দেব? এতে ছবির দেখার আগ্রহ দর্শক/পাঠকদের কমে যাবে কিনা? ছবি ভালো না লাগলে কতোটুকু সমালোচনা করব? <br />
<a name='more'></a>সমালোচকরা চিত্রনির্মাতা বা পরিচালকদের পরিচিতও হয়ে থাকেন। সমালোচনা লেখার সময় এ পরিচিতির বিষয়টি কতোটুকু বিব্রত করে? ছবির পাত্রপাত্রী যদি সমালোচকের পছন্দ না হয় তবে কতোটুকু নির্মোহ থাকা যায়? ছবির ট্যাগিং করে দেব - ট্র্যাজেডি, কমেডি, সামাজিক, আর্টফিল্ম (!) ইত্যাদি নামে? ছবির রিভিউ লেখার সময় ইতিহাস সম্পর্কে কতোটুকু জানতে হবে? <br />
<br />
এরকম নানা হাবিজাবি অনেক কিছুই মুভি রিভিউ লিখতে গিয়ে আমাকে ভাবিয়েছে। ফেসবুকে টোকা, মেসেজ, ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের একজন প্রতিভাবান নাট্যপরিচালক/ ডিজিটাল সিনেমা নির্মাতাকে অনুরোধ করেছিলাম এ বিষয়ে একটি লেখা দিতে। ইচ্ছে ছিল আমারফিল্ম.কম এর উদ্বোধনী পাতায় তার লেখাটি থাকবে। তিনি আমার কোনো মাধ্যমেরই জবাব দেননি। তাই আমি নিজেই গুগল স্যারকে গুঁতিয়ে চেষ্টা করলাম - কীভাবে মুভি রিভিউ লিখতে হয়।<br />
<br />
<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Don%20Juan%20Demarko.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="260" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Don%20Juan%20Demarko.jpg" width="180" /></a><span style="font-size: large;"><b>যে ছবির রিভিউ লিখবেন, প্রথমেই জেনে নিন ছবিটি সম্পর্কে</b></span><br />
রিভিউ লেখার জন্য প্রথমেই একটি ছবিকে বেছে নিতে হবে। হতে পারে ছবিটি আপনি দেখে নিয়েছেন অথবা পত্রপত্রিকায় প্রচার, নিজের আগ্রহ অথবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক ছবিটি আপনি দেখবেন বলে ঠিক করেছেন। এবার জানতে শুরু করুন ছবিটি সম্পর্কে। এ 'জানা' বলতে বোঝানো হচ্ছে ছবিটি নির্মাণের পেছনের কথা। এছাড়াও আর যেসব বিষয়গুলো জানা দরকার হতে পারে, <br />
= ঠিক কী উদ্দেশ্যে এর প্রযোজক/ পরিচালক ছবিটি নির্মাণে উৎসাহী হলেন।<br />
= ছবির পাত্রপাত্রী কারা এবং কেন তারা নির্বাচিত হলেন ছবিটিতে অভিনয়ের জন্যও সেটাও যতোদূর সম্ভব জেনে নেওয়া ভালো।<br />
= ছবির পুরো টিম এর আগে কোনো ছবি বানিয়েছিল কীনা এবং সেই ছবির সাফল্য/ ব্যর্থতা কেমন ছিল।<br />
= ছবিটি কি ইতিহাসনির্ভর অথবা কোনো জনপ্রিয় বই থেকে অনুপ্রাণিত<br />
= পূর্বে নির্মিত কোনো ছবির সিক্যুয়েল কিনা<br />
উপরের বিষয়গুলো নিয়ে একটু জানাশোনা থাকলে ছবির রিভিউর কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><b>একটিমাত্র বাক্যে ছবিটির সমালোচনা করা যায়?</b></span><br />
সমালোচনার নানা ঢং আছে। আপনার দেখা ছবিটিকে আপনি 'ভালো', 'সুন্দর', '৫ এর ভেতর ৩ কিংবা ৪', 'ঠিকাছে' নানাভাবে রেটিং করতে পারেন। এগুলো মূলত দর্শকরা করে থাকেন। কিন্তু আপনি যখন সমালোচনা লিখবেন তখন আরো একটু বিস্তারিতভাবে এগোতে হবে। প্রথমে একটি বাক্যে ছবিটির সমালোচনা করুন। উদাহরণ হিসেবে কোনো কমেডি ছবির ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, <i>হাস্যরসাত্মক ছবিটিতে খুবই স্থূল কিছু বিষয় ব্যবহার করা হয়েছে যা বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে।</i> অথবা কোনো হরর ছবির ক্ষেত্রে বলতে পারেন, ছবিটির শেষ পর্যন্ত ভয়ের শিহরণ চালু ছিল এবং একেবারে শেষে বোঝা গেল কি ঘটেছে।<br />
<br />
তার মানে রিভিউ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমেই একটি বাক্যে ছবিটির সমালোচনা শুরু করে দেওয়া যায়। এরপরে আপনার এই ভাবনার পেছনের কারণগুলো বলতে শুরু করবেন।<br />
<br />
<b><span style="font-size: large;">মূল সমালোচনার শুরুটা করুন দারুণভাবে</span></b><br />
কোনো ছবি সম্পর্কে সমালোচনা লিখতে গিয়ে উপরের উল্লেখিত দুইটি প্যারার পরেই শুরু হয়ে যায় মূল পর্ব। এখন দরকার পাঠককে ধরে রাখা। যার জন্য এখানে পাঠককে আরো আগ্রহী করে তোলার জন্য দরকার চিত্তাকর্ষক বুনন, লেখনী। এক্ষেত্রে শুরু করতে পারেন ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবা সমালোচিত কোনো সংলাপকে কেন্দ্র করে। বর্ণনা করুন ওই সংলাপটি কেন ছবির মূল আকর্ষণ ছিল বা ছবিতে ওই সংলাপের আবেদন কী ছিল। পাত্রপাত্রীরা সংলাপ আওড়ালেন কেমন।<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><b>এবার সংক্ষেপে শোনা যাক ছবির কাহিনি</b></span><br />
এ পর্বে ছবির কাহিনি সম্পর্কে বলা যেতে পারে। কাহিনির বর্ণনা হওয়া উচিত সংক্ষেপ। পুরোপুরি বলে দিলে ছবির মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে পাঠক যেন উৎসাহী হয়ে ছবিটি দেখতে যায় সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়টি একটু রিস্কি। কেননা আপনার সমালোচনা কিংবা ছবির কাহিনিসংক্ষেপ পড়ে পাঠক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি পয়সা খরচ করে ছবিটি দেখবেন কিনা। তবে পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে সমালোচনা ছেড়ে আপনি ছবির মার্কেটিং করতে বসে গেলেন কিনা। হ্যা কখনোই ছবির শেষটুকু বলে ফেলবেন না। সেটা রূপালী পর্দায় দেখার জন্য ছেড়ে দিন দর্শকদের জন্য।<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><b>এবার বলে দিন ছবি সম্পর্কে আপনার ভাবনা</b></span><br />
এতোক্ষণ ছবিটি সম্পর্কে যেসব টুকটাক মন্তব্য করেছিলেন এ পর্যায়ে এসে সেগুলো বিস্তারিতভাবে বলতে শুরু করুন। ছবির পাত্রপাত্রী কেমন অভিনয় করলেন, লেখক/ চিত্রনাট্যকার কতোটুকু সফল হয়েছেন, পরিচালক ছবির সকল ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কাজটি কেমন করলেন, কোনো মেসেজ কি দিতে পারলেন, ছবির টার্গেট অডিয়েন্স কারা, আপনার চেনাজানা কারো ছবি সম্পর্কে ভাবনা ইত্যাদি লিখতে থাকুন এ স্থানে। ছবির বিশেষ কোনো দৃশ্য সম্পর্কে আপনার একান্ত ভাবনাও এখানে লিখতে পারেন।<br />
<br />
মনে রাখবেন সাধারণ দর্শকরা ছবির কারিগরি দিক সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। তাই কারিগরি দিক সম্পর্কে বিশদ লিখে তাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাবেন না। কারিগরি দিক সম্পর্কে হালকাভাবে বলে গেলেই হবে।<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><b>ভারি করে তুলবেন না যেন আপনার লেখাটি</b></span><br />
কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে সমালোচনা ভারি করে তুলবেন না। হৃদয়গ্রাহী, প্রাঞ্জল, ঝরঝরে ভাষায় সহজ করে লিখুন। মনে রাখতে হবে সকল শ্রেণির পাঠকদের জন্যই আপনার সমালোচনা। লেখায় মজা আনার জন্য কৌতুক, উপমার ব্যবহার করতে পারেন।<br />
<br />
<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/The%20Dreamers.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="320" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/The%20Dreamers.jpg" width="215" /></a><span style="font-size: large;"><b>সৎ থাকুন, নির্মোহ থাকুন</b></span><br />
ছবির পরিচালক থেকে শুরু করে পাত্রপাত্রী পুরো টিমের অনেকেই আপনার পছন্দের কেউ নাও হতে পারেন। তাই বলে সমালোচনার নামে তাদের উপর একহাত দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটা বুমেরাং হয়ে আপনার কাছেই ফিরে আসতে পারে। ছবির ট্যাগিং সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। কমেডি ছবি হলে তাতে কেন ট্র্যাজেডি দেখানো হলো না সে আক্ষেপ করবেন না। ফ্যান্টাসী মুভি হলে তাতে বাস্তবের ছোঁয়া কেন নাই তা নিয়ে তর্ক জুড়ে দেবেন না। ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে যতোটুকু নির্মোহ নিরপেক্ষ থাকা যায় ততোই মানসম্পন্ন হবে একটি ছবির সমালোচনা।<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><b>পরিশিষ্ট</b></span><br />
এই পোস্টটি ইন্টারনেট থেকে চোথা মেরে এবং এতে নিজের কিছুর ভাবনা মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরো লেখাটি পড়ার পর আমার মনে হয়েছে এই ফরম্যাটের বাইরে গিয়েও ছবির সমালোচনা লেখা যায়। আর এই ফরম্যাটই যদি 'নিশ্চিত অনুসরণীয়' হতো তাহলে পৃথিবীর সব সমালোচনা একই টাইপের হয়ে যায়। সুতরাং যারা 'মুভি রিভিউ' বা 'চিত্রসমালোচনা' লিখতে চান তারা তাদের ইচ্ছেমতোই লিখুক।<br />
<br />
<b>পছন্দের কয়েকটি লেখার লিংক দিলাম। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।</b><br />
<br />
<a href="http://himalay777.amarblog.com/posts/43623">চলচ্চিত্র চালচিত্র: :মনপুরা’তে মন পুড়লো কি? -হিমালয়-</a><br />
<a href="http://arts.bdnews24.com/?p=2672">‘অশ্লীলতা’-বিরোধী প্রপাগান্ডা ও ‘সুস্থ’ চলচ্চিত্রের যুগে ঢাকাই সিনেমা - মোহাম্মদ আজম</a><br />
<a href="http://arts.bdnews24.com/?p=2371">আর্ট, রিয়ালিটি আর ডিজিটালের চক্করে বাংলা সিনেমা - রাজীব আহমেদ</a><br />
<a href="http://arts.bdnews24.com/?p=2085">নতুন সিনেমা: নির্মাণ ও প্রদর্শন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা - নূরুল আলম আতিক</a><br />
<a href="http://www.nirmaaan.com/blog/farzana-boby/5840">থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার : ‘সে’ — নারী, পুরুষের হাওয়াই মিঠাই - ফারজানা ববি</a><br />
<br />
<i>= ছবি কৃতজ্ঞতা : গুগল স্যার =</i>অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-46587687559471323512010-02-05T18:18:00.007+00:002010-05-16T15:51:05.774+01:00এখন আমিই ‘জয়িতা’ - বলেছেন অভিনেত্রী তিশা। হায়! তিশাদের কেন আমরা ‘পূরবী’ সাজাই না!?<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Gorvo.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="320" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/Gorvo.jpg" width="212" /></a>পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাসিকদের লেখা নিয়ে বাংলাদেশে প্রায় সিনেমা/ নাটক নির্মাণ হয়। এসব উপন্যাস আমাদের অনেকেরই পড়া। জনপ্রিয়তার নিরিখে এগুলোর অবস্থান প্রায় আকাশচুম্বি। আর এটারই সুযোগ নিচ্ছে বাংলাদেশের নির্মাতারা। পরিচিত জনপ্রিয় উপন্যাস আর নষ্টালজিয়াকে সুযোগ করে ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধিই আসল উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে নির্মাতাদের কাছে 'কমিটমেন্ট' বলে কোনো শব্দের স্থান নেই। <a href="http://aloukik.amarblog.com/posts/25877">এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই আমার আপত্তি ছিল।<a name='more'></a></a><br />
<br />
<a href="http://glitz.bdnews24.com/details.php?catry=8&showns=765">বিডিনিউজে একটি সংবাদ পড়লাম।</a> সেখানে জানা গেল, সমরেশ মজুমদারের 'গর্ভধারিণী' উপন্যাস নিয়ে ধারাবাহিক নির্মাণ হচ্ছে চ্যানেল ওয়ান এর জন্য। এ উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র 'জয়িতা' হবেন অভিনেত্রী তিশা। তিনি জানিয়েছেন, <i>এমন চরিত্রে অভিনয় করা আনন্দের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জেরও। এ কারণে জয়িতার অভ্যেস মতো তিনি ধূমপান শুরু করেছেন নিয়মিতভাবে। কারণ যে কোনো চরিত্র করার আগে তিনি চরিত্রকে নিজের করে নেন। তাই এখন থেকে তিনিই জয়িতা।</i><br />
<br />
তো তিশা চরিত্রটিকে কীভাবে নিজের করে নেবেন? ও আচ্ছা গর্ভধারিণীর জয়িতা তো বাংলায় কথা বলে, তিশাও তাই। কিন্তু চরিত্র নিজের মতো করে নিতে এ সহজ সমীকরণই যথেষ্ট? জয়িতার ওই সময়ের পারিপার্শ্বিকতাকে ধরবেন কী করে তিশা? তারা তো একই সমাজ ব্যবস্থার নন। জয়িতা যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছেন তিশা কি সেটা অনুভব করতে পারেন?<br />
<br />
আসলে অভিনেত্রী/ অভিনেতাদের কিছু করার নেই। এসব ক্ষেত্রে নির্মাতারাই দায়ী। জনপ্রিয় উপন্যাস নিয়ে সিনেমা/ নাটক বানানোর লোভ নির্মাতাদের মাঝে থাকেই। এমনটা আমারও রয়েছে। গর্ভধারিণী পড়ার পর আমার মনে হয়েছে এটি নিয়ে সিনেমা/ নাটক বানানো যেতেই পারে। কিন্তু তাই বলে আমি স্বপ্নেও চিন্তা করি না বাংলাদেশে সেটি বানানোর। কারণ ভুলেভালেই হোক আমার পড়া ছিল শাহরিয়ার কবীরের 'ওদের জানিয়ে দাও'। এটা নিয়ে আমার একটি ছোট স্বপ্নও আছে। আমার বিশ্বাস গর্ভধারিণীর আগেই 'ওদের জানিয়ে দাও' প্রকাশ পেয়েছে। নিশ্চিত হতে ফেসবুকে টোকা দিলাম কুলদা রায়কে। জানা গেল ৭৪ এ ধারাবাহিকভাবে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশ পেয়েছে শাহরিয়ার কবীরের 'ওদের জানিয়ে দাও।' গর্ভধারিণীর প্রকাশকাল সম্পর্কে তিনি আমাকে পরে জানাবেন বলেছেন।<br />
<br />
এ দুটো উপন্যাসের মধ্যে মিল হচ্ছে এক জায়গাতেই। গর্ভধারিণীতে দেখা যায় ৩ ছেলে আর ১ মেয়ের সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্খা এবং পরবর্তীতে শ্রেণিশত্রু খতমের পথে নেমে পড়া। ওদের জানিয়ে দাও-তেও দেখা যায় পূরবী, দীপু, জাফর আর রাজুরও একই স্বপ্ন।<br />
<br />
*** *** ***<br />
<br />
তাহলে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমরা সিনেমা/ নাটকের জন্য কোন উপন্যাসকে বেছে নেব? কুলদা রায় জানালেন - শাহরিয়ার কবীরের উপন্যাসটি ইমম্যাচিরউড মনে হলেও নির্মাণের জন্য দেশের কাহিনিই বেছে নেওয়া উচিত। এ উপন্যাসে একটি গোপন পার্টির কর্মকাহিনি প্রকাশ পেয়েছে। একটু তরল হলেও ওই সময়ের রাজনীতি বোঝার জন্য (১৯৭৪ পর্যন্ত) উপন্যাসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। আর শাহরিয়ার কবীর ছাড়াও মাহমুদুল হকরাও এসব বাম আন্দোলন ও তরুণদের ওই সময়ের স্বপ্ন নিয়ে লিখেছেন।<br />
<br />
গর্ভধারিণীর ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি একটি বানানো কাহিনি। সমরেশ মজুমদার ওখানে হলিউডি স্টাইলে একজন মহিলাকে দেবী পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। অন্যরা সেখানে তল পায় না। কিন্তু 'ওদের জানিয়ে দাও' উপন্যাসে পূরবী কিন্তু সবটাই নয়। সে অন্যতম চরিত্র। দেবী পর্যায়ে নেওয়া হয়নি। আর সবচেয়ে বড় কথা পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের রচনাভঙ্গি, রচনাভূগোল আমাদের মতো করে নয়।<br />
<br />
কুলদা রায় সমাপ্তি টানেন এই বলে যে, মুগ্ধপাঠকের কাছে গর্ভধারিণী একটি জনপ্রিয় উপন্যাস হতে পারে কিন্তু প্রকৃত পাঠকের কাছে বিরক্তিকর। এর চেয়ে ওদের জানিয়ে দাও উপন্যাস হিসাবে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং বাস্তব।<br />
<br />
একজন সুলেখক, সাহিত্যিক হিসেবে দুটো উপন্যাসের বিষয়ে কুলদা রায়ের মতামত আমি এভাবেই জেনে নিই।<br />
<br />
*** *** ***<br />
<br />
হতাশা এখানেই। পরিশ্রম করার ইচ্ছে নেই। উপন্যাস লেখা আছে, একটু কাটছাট করে চিত্রনাট্য তৈরি করে নেমে পড়ো নির্মাণে। টেলিভিশন কর্তারা বসে আছেন রাক্ষস স্ক্রীণকে খাবার সরবারহ করতে। কিছু একটা হলেই হয়। আর এভাবেই নিজের কমিটমেন্টকে দূরে ঠেলে বিদেশী জিনিস নিয়ে ফালাফালি বাড়ছে।<br />
<br />
তিশারা জানেও না, জয়িতা থেকে পূরবী শক্তিশালী। ওদের স্বপ্নও অনেক জোরালো। পূরবীর সাথে তিশার সামাজিক পরিবেশ বেশি মেলে। জয়িতা সেজে যে সংলাপ তিনি আওড়াবেন পূরবী সেজে সেটা আওড়ালে আরো বাস্তবসম্মত হয়।<br />
<br />
নির্মাতাদের টনক নড়বে না। কারণ মিডিয়া শুধু কমিটমেন্ট না, ব্যবসার জায়গাও। তবে কি টিভি কর্তৃপক্ষ? হুম। আপাতত তারা যদি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় তবে নির্মাতাদের সৃজনশীলতা আমাদের দেশের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যয় হতে পারে।<br />
<br />
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে আছেন। না জানি কাউকে 'পূর্ব পশ্চিম' গিলিয়ে দিয়ে যায়।<br />
<br />
মোদ্দা কথা - পরবর্তী ৩ বছরের জন্য সকল ভারতীয় চ্যানেল এবং বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট না থাকলে পশ্চিবঙ্গের লেখকদের উপন্যাস নিয়ে আর কোনো নির্মাণ নয়।অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-86791666041828493972010-01-20T16:22:00.007+00:002010-05-16T15:53:05.116+01:00একটি কথা শুনো বলি, মিছে কথা নয়। চোখের আড়াল হইলেও সে, হৃদয় জুড়ে রয়।<a href="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/4260_80729464647_716889647_1630027_6002003_n.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" height="320" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/4260_80729464647_716889647_1630027_6002003_n.jpg" width="142" /></a>আমি কখনো কবিতা লিখি নাই তেমন করে। তাই পোস্টের শিরোনামটিও আমার নয়। মানুষ বলে সে নাকি মৃত্যুর কথা আগেভাগেই টের পায়। কী জানি .... পোস্টের শিরোনামটি আমার বন্ধু, কলিগ <a href="http://rajib.amarblog.com/">রাজীব দেব মান্নার</a>।<br />
<br />
আজ লণ্ডন সময় ভোর ৩.৩০ মিনিটে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। মাত্র ৫ বছর তার সঙ্গে কাটিয়েছি তাতেই যতোটা আপন হয়ে উঠেছিলেন তাতে বুঝি তার <a href="http://www.sachalayatan.com/hasan_murshed/29844">বন্ধুদের মানসিক অবস্থা।</a><br />
<br />
চরম হাসিখুশি, সারাক্ষণ দুষ্টুমিতে মেতে থাকা প্রাণোচ্ছল এই তরুণ ছিলেন বিলেতের বাংলাদেশী টেলিভিশন 'চ্যানেল এস' এর হেড অফ প্রোগ্রামস। সিলেট রেডিওর সংবাদপাঠক থেকে শুরু করে থিয়েটারের চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত সবই করতেন সৃষ্টিশীল এই মানুষটি। লণ্ডনেও চালু করেছিলেন থিয়েটার চর্চা।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
অত্যধিক সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকেও অনবরত চেষ্টা করে গেছেন চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মান বৃদ্ধিতে। ক্যান্টিনের আড্ডা মাতিয়ে রাখতেন। ভালো চা বানাতে পারতেন বলে তার কাছেই আব্দার করতাম চা খেতে। বুকে ব্যথা হতো বলে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিলেন আর তাতেই কতো ঠ্যাস মেরে কথা শোনাতাম তাকে। যদি বুঝতাম এভাবে ছেড়ে যাবেন আমাদের ....<br />
<br />
লিখতে পারছি না। আজ আমারব্লগে <a href="http://rajib.amarblog.com/">রাজীবের ব্লগ</a> পড়তে গিয়ে চোখ ভিজে উঠছে। বার বারই আওড়াচ্ছি তার কবিতার চরণ<br />
<br />
<b>একটি কথা শুনো বলি,<br />
মিছে কথা নয়।<br />
চোখের আড়াল হইলেও সে,<br />
হৃদয় জুড়ে রয়।</b><br />
<br />
রাজীব আপনি আমাদের হৃদয় জুড়ে থাকবেন সবসময়।<br />
<br />
<img alt="" height="403" src="http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/9/untitled.bmp" width="200" />অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-36734953658844248712009-12-20T15:43:00.005+00:002010-05-16T15:54:40.557+01:00সুশান্ত, শাফায়েত অঞ্জন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ...সুশান্ত দাস গুপ্তের সঙ্গে পরিচয় সচলে থাকার সময়। তার ছাত্রজীবনের ক্যাডার লাইফ সংক্রান্ত একটি পোস্টে আমার তীর্যক মন্তব্যের সূত্র ধরে পরিচয়। পরবর্তীতে সামুতে ছাগু তাড়ানোর আন্দোলনে সহযাত্রি হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। লণ্ডনে থাকার সুবাদে সে পরিচয় দেখাসাক্ষাতে নতুন রূপ নেয়। তবে অনেকবার তার বাসায় খাওয়ার নিমন্ত্রণ পেলেও ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি। বৌদির সঙ্গে পরিচয় হয়নি, তার কন্যাদের আদরও করা হয়নি। থাকেনও আমার আবাসস্থল থেকে বেশ দূরে।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
সহজসরল মানুষটি পেটে কথা রাখতে পারেন না। এজন্য তাকে ব্লগসহ বাস্তবজীবনে বিব্রত মুহূর্তগুলো সামলাতে হচ্ছে। তবে এগুলো নিয়ে তার খুব একটা সমস্যা নাই মনে হয়। আশেপাশের আমরাই শুধু বিরক্ত হই। গত সেমিস্টারে লণ্ডনে যখন বাংলাদেশী ছাত্রদের ঢল নামল তখন তার বাসাসহ পুরো অফিসটাই হয়ে গেল মেসবাড়ি। কাকে কখন কোথায় চাকরি পাইয়ে দিতে হবে, কাকে কখন অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে হবে এসব কাজেই এই পরোপকারী সুশান্ত ব্যস্ত থাকতেই পছন্দ করেন।<br />
<br />
নিজেকে তিনি 'পলিটিক্স করা ছেলে' ভাবলেও আমার বিশ্বাস তাকে এ বিষয়ে আরও অনেক শিখতে হবে বলে আমার মনে হয়। সরলতা দিয়ে পলিটিক্স হয় না।<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
শাফায়েত অঞ্জন পড়ালেখায় আমার এক বছরের ছোট হলেও পাড়াতো সুবাদে ইয়ার দোস্ত ছিল। এসএসসির পর থেকেই ওর সঙ্গে পরিচয়। আমাদের নাস্তিকতার শুরুটা একসঙ্গে। শাহজাহানপুরের রেললাইনের পাতে বসে আমরা আল্লাহ-খোদা, সৃষ্টিকর্তা, মানবজীবন এসব নিয়ে অনেক কপচাতাম। আমার ব্র্যাণ্ড বাংলা ফাইভ আর অঞ্জনের ব্র্যাণ্ড গোল্ডলীফ দুটোই বেশ টানা হতো। অঞ্জন ভালো লিখতে পারলেও আড়ষ্টতা ছিল সেগুলো প্রকাশের। ওদিকে আমি যাযাদিতে আমার প্রথম লেখা ছাপা হওয়ার পর মতিঝিল থেকে হেঁটে শাহজাহানপুর গিয়েছিলাম ওকেই লেখাটি প্রথম পড়ানোর জন্য।<br />
<br />
আমি একটি লিটল ম্যাগাজিন বের করতাম 'অরণ্য' নামে। মাত্র ৩টি সংখ্যা বের হয়েছিল। শাফায়েত অঞ্জন ছিল আমার সাথে। লিটল ম্যাগাজিনের জন্য বিজ্ঞাপন লাগে। আর সেটার পুরো দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। বেশ কয়েকটি যোগাড় করার পরও সবচেয়ে দামি স্পেস (ম্যাগাজিনের শেষ কাভার) খালি রয়ে গেল। গেলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শওকত ভাইয়ের কাছে। এদিকে কলোনির কিছু রংবাজ দোস্ত (জিগরি দোস্তও বটে) দাবি করে বসল শেষ পৃষ্ঠাটি তাদের দিয়ে দিতে হবে। বিজ্ঞাপন তারা যোগাড় করবে কিন্তু পুরো পয়সা তাদের দিয়ে দিতে হবে। মজার কথা হলো এই বিজ্ঞাপন যোগাড় করার জন্য তারাও গেল শওকত ভাইয়ের কাছে। এদিকে আম্মার আওয়ামী রাজনীতির সুবিধার কারণে শওকত ভাইয়ের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। আমার জেদ চেপে গেল। জিগরী রংবাজ দোস্তদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষে যেতে ইচ্ছে করল না। কিন্তু চুপি চুপি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম ম্যাগাজিনের শেষ পৃষ্ঠা আমি খালিই রাখব। শওকত ভাইকে বললাম আপনার কাছে ওইসব বন্ধুরা বিজ্ঞাপন চাইতে এলে আপনি না করবেন না, বিজ্ঞাপনও আমাকে দিতে হবে না। আমার ইচ্ছে ছিল এরই ফাঁকে আমি ম্যাগাজিন ছাপিয়ে ফেলব। এই পুরো কাজের সঙ্গে শাফায়েত অঞ্জন আমার সঙ্গে ছিল। কী একটি কারণে (মনে নেই এখন) অঞ্জনের সঙ্গে আমার ঝগড়া লেগে গেল। ম্যাগাজিন প্রকাশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল অঞ্জন। আর প্রতিশোধ নিতে ওইসব রংবাজ বন্ধুদের বলে দিল যে আমি শওকত ভাইকে মানা করেছি তাদের বিজ্ঞাপন না দিতে। ওইসব বন্ধুরা খেপে গেল, সিদ্ধান্ত নিল আমাকে মারবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে পড়ে বড় হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা আমাকে মারতে পারল না। ওইসব রংবাজ বন্ধুদের মূল হোতা আবুল কাশেম (আমরা কাশু বলে ডাকতাম) সৌদি আরব চলে যায়। আমার বিয়ের সময় বাংলাদেশে ছিল তখন। বিয়েতে এটেণ্ড করতে সিলেট থেকে রাতের ট্রেনে ঢাকায় চলে এসেছিল।<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
আমার ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার খুব শখ ছিল। সেটি হয়নি প্রস্তুতির কারণে। আমি বিভিন্ন সংগঠন, গ্রুপ থিয়েটার, ছোটখাট চাকরি এসবে জড়িয়ে গেলাম ভালোমতো। এরমধ্যে একটি ছিল জরিপের কাজ। এর কারণে আমি বাংলাদেশের প্রচুর জেলায় ঘুরেছি। আর এই জরিপের কারণে আমার সঙ্গে পরিচয় হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সাল ১৯৯৬। এর আগে আমি কখনই জাহাঙ্গীরনগর যাইনি। আমার সঙ্গে পরিচয় ছিল ইউসুফ হাসান অর্ক (এখন নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষক), ইউরেকা (তৎকালীন জাহাঙ্গীরনগর ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট)। আর এদের মাধ্যমে পরিচয় হলো মনন (পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট)সহ আরো অনেকের সঙ্গে। এদের সঙ্গে মাঝে মাঝে প্রায়ই আল বেরুনি এক্সটেনশন হলে রাত কাটাতাম। ডেমক্রেসিওয়াচের মাধ্যমে পরিচয় হয় বাংলার আরিফ, গভর্ণমেন্ট এন্ড পলিটিক্সের শাকিল, সৌরভ, কুতুবের (দারুণ পড়ুয়া, এখন বোধহয় বাংলা একাডেমীর রিসার্চার) সঙ্গে। এদের কারণে কামালউদ্দিন হলেও রাতে থেকেছি। সকালে উঠে ব্রেড এন্ড কলা দিয়ে দারুণ নাস্তাও করতাম। পরিচয় হয় মাহবুব আজীজের (যাযাদিতে একসঙ্গে ট্রেনিং করেছিলাম, সাল ১৯৯৮, শেষ পর্যন্ত জানতাম সমকালে আছেন) সঙ্গে। একবার সাইকেল চালিয়ে শান্তিনগর থেকে জাহাঙ্গীরনগর গিয়েছিলাম। পা ব্যথা করছিল দেখে রাতে থেকে গেলাম ওইখানে। সারারাত মাহবুব আজীজ, তার বউ আল্পনার সঙ্গে ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়িয়েছিলাম।<br />
<br />
জরিপের কারণে পরিচয় হয় ফজিলাতুন্নেসা হলের নিপু, রুমী সহ আরো অনেকের সঙ্গে। তাদের নিয়ে ঢাকার বাইরে জরিপে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু অভিনেতা মিলনের বউ লুসি পড়ত নাটক বিভাগে। সে কারণে লুসির অনেক বান্ধবির সঙ্গেও পরিচয় হয়। আমার দ্বিতীয় নাটক নির্মাণের সময়ও নাটক বিভাগের অনেক জুনিয়র ছেলে প্রচণ্ড হেল্প করে আমাকে।<br />
<br />
তাই আমিও যেন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র। ১ টাকা দিয়ে অফিস ছুটির পর কলাবাগান থেকে বাসে চড়ে চলে যেতাম জাহাঙ্গীরনগরে। বাসের মামারাও জানতেন আমিও ছাত্র। কখনই ৩ টাকা চাইতেন না। ডেইরিতে আড্ডা, প্রান্তিকে চা খাওয়া, লাভলেনে ঘোরাফেরা, ট্রান্সপোর্টে বাসের জন্য অপেক্ষা, নীপুকে নিয়ে রিকশায় বিশমাইল ঘুরতে যাওয়া, রাতের গভীরে সুইমিংপুলের ধারে বসে থাকা, প্রীতিলতার সামনের খালাদের কাছে দুপুরের ভাত খাওয়া, কবীর চত্ত্বরে, ক্যাফেটেরিয়ায়, অডিটোরিয়ামের চিপায়, টিএসসিতে নাটকের মহড়া সহ দারুণ সব স্মৃতি আমাকে ভুলিয়ে দেয় ঢাকা ইউনির ছাত্র না হওয়ার দুঃখ। ওসমানী উদ্যান থেকে বাসে চড়ে ভার্সিটি যেতে হবে বলে তড়িঘড়ি করে অফিস শেষ হওয়ার আগেই ছুটতাম। অনেকেই জানত আমি জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র। আমিও হ্যা না কিছু বলতাম না।<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
সম্ভবত একবছর ড্রপ দিয়ে আমার বন্ধু শাফায়েত অঞ্জনও জাহাঙ্গীরনগর ভর্তি হলো। এবং সে আমূল পাল্টে গেল। মিষ্টির দোকানের বন্ধুরা তিন তাস খেলতে পছন্দ করে। দুরিফিস, টুয়েন্টিনাইন খেলে দুপুর পার করে দেয়। ক্ষিধে পেলে মনসুরের হোটেল থেকে পুরি খায়। পকেটে টাকা থাকলে ফকিরাপুলের পূর্ণিমা হোটেলে ভাত খায়। চা সিগারেট চলে টংয়ের দোকানের বাকিতে। পড়াশোনাসহ চাকরি বাকরি কোনো কিছুতেই হিল্লে করে উঠতে পারেনি তারা তখনও। দুপুরে যখন ঢাকা ইউনির বাসটা পীরজঙ্গি মাজারে এসে থামে, কোন কোন সুন্দর মেয়ে নেমে আসে উদাস দুপুরে মিষ্টির দোকানে বসে আমরা তা দেখতাম। তখন অঞ্জনও থাকত আমাদের সঙ্গে।<br />
<br />
জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হওয়ার পর অঞ্জন একেবারেই মিষ্টির দোকানের আড্ডায় আসা ছেড়ে দিল। বোধহয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বন্ধু জুটেছে। অতি স্বাভাবিক ব্যাপার, তার মধ্যে ফেডারেশনে পলিটিক্স করাও শুরু করেছে, কোত্থেকে যেন চাউর হয়ে যায় সিনিয়র কোনো আপুর সঙ্গে একটু খুটখুটও শুরু হয়েছে। এরই মাঝে ফাঁকেফুঁকে মিষ্টির দোকানে আসত অঞ্জন। মিষ্টির দোকানের বন্ধুরা তখন অঞ্জনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প শুনতে চাইত। আর আমি জানতে চাইতাম আমার পরিচিত জায়গাগুলোতে অঞ্জন কী কী করে। অঞ্জন আমাকে বলত কিছু কিছু কিন্তু বাকি বন্ধুদের কিছুই বলত না। কারণ তারা শুধু জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের কথা জানতে চাইত। তারা নাকি খালি ঝোপঝাড়ে প্রেম করে বেড়ায়, অনেকেই নাকি রতিক্রীয়ার কাজটি সারে সেখানে।<br />
<br />
বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত নচ্ছাড় এইসব বন্ধুদের গালি দিয়ে বসল অঞ্জন - আনকালচারড। আরও বলল, তোরা তো অশিক্ষিত। তোরা কেউ ভার্সিটিতে পড়িস? ছোট থেকে বড় হওয়া এইসব বন্ধুদের সঙ্গে ল্যাওড়া ঘাটাঘাটি করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে যাওয়া অঞ্জন মিষ্টির দোকানে আড্ডা মারা ছেড়েই দিল। 'আঁতেল' বলে আগে থেকেই বন্ধুমহলে পরিচিত অঞ্জনের এই আড্ডা ছেড়ে দেওয়ায় বন্ধুরা খেপে গিয়ে বলল - হ হ। আমরা তো অশিক্ষিত। ভাসসিটি যাইতাম ফারি না। তাই কিছুও বুঝি না।<br />
<br />
আমি অঞ্জনকে সাপোর্ট দিলাম। ঠিকই তো। কারও নিজের প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে খারাপ কথা বললে সে সইবে কেন? বন্ধুদের অভিযুক্ত করলাম। ভার্সিটির মেয়েদের সম্পর্কে এমন ভাবিস কেন? পাশাপাশি অঞ্জনকেও একটু দুষলাম। বন্ধুরা বলেছে বলেই কি তাদের ছেড়ে যেতে হবে? তুই কেন ফাইট দিলি না। অশিক্ষিত আনকালচারড বলে সরে গেলেই হবে?<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
কিন্তু আজকাল অনেক শিক্ষিত সাহিত্যিক জাহাঙ্গীরনগরকে 'জাহাঙ্গীরজঙ্গল' বলছে। আমি নিজে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র নই। কিন্তু যখন 'জাহাঙ্গীরজঙ্গল' শুনি আমার মন খারাপ হয়। প্রচণ্ডরকম মন খারাপ হয়। এর প্রত্যুত্তরে কোনো গালি আসে না এমনই মন খারাপ থাকে। সুন্দর কিছু সময় কাটাতে পেরে আমি জাহাঙ্গীরনগরের কাছে কৃতজ্ঞ। সেই কৃতজ্ঞতায় আমার মন খারাপ হয় জাহাঙ্গীরনগর নামের বিকৃতি শুনে।<br />
<br />
শাফায়েত অঞ্জন - শুনেছি তুই এখন কোনো এডফার্মে আছিস। সচলে কয়েকটি কবিতাও লিখেছিলি। সেখানে তোর জাহাঙ্গীরনগরকে 'জাহাঙ্গীরজঙ্গল' বলা হচ্ছে। তোর জাহাঙ্গীরনগরের অনেক বন্ধুও সেখানে আছেন। তাদের কারো কোনো প্রতিবাদ দেখিনি।<br />
<br />
তুই কি প্রতিবাদ করবি? যেমনটা করেছিলি তোর বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে। আমি জানি ক্ষোভ জিনিসটা তোর শরীরে মারাত্মক। তাই আশা রাখি তুই এর প্রতিবাদ করবি।অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-12045754757684759502009-12-12T19:05:00.003+00:002010-05-16T15:55:36.320+01:00হাজী মোহাম্মদ তালহামাত্র দুইদিন আগে মোহাম্মদ তালহা হজ্জ্ব করে ফিরলেন। হ্জ্জ্ব শেষে নামের প্রথমে হাজী টাইটেল লাগানো নিয়ম কিনা জানি না তবে অনেকেই এমন করেন বলেন মোহাম্মদ তালহাকে আমি হাজী মোহাম্মদ তালহা ভাবতেই পারি। হজ্জ্ব শেষে লণ্ডনে ফিরে আসার পর তার দৈনন্দিন সকালবেলা একটু অন্যরকমভাবে কাটছে। এখন তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ডিভিডি ছেড়ে পবিত্র মক্কা মদীনার ছবি দেখেন এবং আরবীতে বয়ান শোনেন। আরবী তার জানা না থাকলেও সেটি সমস্যা হচ্ছে না।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
সাধারণত হ্জ্জ্ব থেকে ফিরে এসে অনেকেরই এমন ধর্মপ্রীতি বেড়ে যায়। শুনেছি বাংলাদেশের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন হ্জ্জ্ব করে এসে চলচ্চিত্রে অভিনয় করাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে হাজী মোহাম্মদ তালহার বিষয়টি একটু অন্য খাতের। কারণ তার ধর্মপ্রীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছেন তার বাবা-মা। বাবা-মার মুখের উপর তিনি কথা বলতে পারেন না।<br />
<br />
হাজী মোহাম্মদ তালহার বয়স মাত্র তিন বছর। মুখে তার আরবী কেন, ঠিকমতো বাংলা ইংরেজি কোনো ভাষাই ফুটেনি।<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
সম্প্রতি লণ্ডনে হজ্জ্বযাত্রীদের টাকা মেরে দেওয়া থেকে শুরু করে ট্রাভেল এজেন্টদের হজ্জ্বযাত্রীদের প্রতি অঙ্গীকার করা প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করা সহ অনেক অনিয়ম দেখা গেছে। ফলে এবারের হজ্জ্বযাত্রীরা সংশয়ে ছিলেন তাদের হজ্জ্বযাত্রা নির্বিঘ্ন এবং সফল হবে কিনা। এসব বিষয়ে তালহার বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে নিশ্চিত করেন তার এজেন্ট এক্ষেত্রে খুবই অভিজ্ঞ এবং নিজে স্ত্রী পুত্র সহ এই তিনজনের জন্য সাড়ে দশহাজার পাউণ্ড খরচ করে উন্নতমানের হজ্জ্ব প্যাকেজ কিনেছেন। <br />
<br />
হজ্জ্বের দিন ঘনিয়ে এলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কোন এয়ারলাইন্সে যাচ্ছেন। তিনি জানালেন সৌদি এয়ারলাইন্স। জিজ্ঞেস করলাম টিকিট পেয়েছেন। তিনি একটু চিন্তিত হয়ে বললেন, এখনও পাইনি। তবে পেয়ে যাব। এই টিকেট পাওয়াটাই একটু সমস্যা হয়ে যায়। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি তাহলে অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে ট্রাই করছেন না কেন? নাকি সৌদি ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্স সৌদি যায় না? তিনি বললেন, বৃটিশ এয়ারওয়েজও যায়। তবে হজ্জ্বে যাচ্ছি বুঝলেনই তো। হালাল খাবার, এয়ারহস্টেসরা পর্দাআদব করে। আমি মনে মনে ভাবলাম, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এতো বেপর্দা নারীদের পেরিয়ে হালাল সৌদি এয়ারলাইন্সে তিনি ঠিকমতো উঠতে পারবেন তো?<br />
<br />
বাই দ্য ওয়ে তিনি কিন্তু বিমানসহ ইণ্ডিয়ান এয়ারলাইন্সেও বাংলাদেশে হলিডে করতে যান।<br />
<br />
০০০ ০০০ ০০০<br />
<br />
ফিরে আসি তালহা প্রসঙ্গে। হজ্জ্বে যাওয়ার পূর্বে প্রতিদিন সকালে তালহার কাজ ছিল ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে টিভির সামনে কার্টুন দেখা। লণ্ডনের আমার দেখা সব কিডসদের প্রিয় চ্যানেল <a href="http://www.bbc.co.uk/cbeebies/">এই চ্যানেলটি</a>। যারা কমপিউটার চালাতে শিখে গেছে তারা স্কুল থেকে ফিরেই <a href="http://www.bbc.co.uk/cbeebies/games/">এই সাইটে</a> বসে যায় গেম খেলতে। এই চ্যানেল আর সাইটটি দেখে আমার আফসোস বেড়ে যেত বাংলাদেশের শিশুদের জন্য। এমন ক্রিয়েটিভ একটি চ্যানেল কেন বাংলাদেশে নেই।<br />
<br />
কিন্তু তালহার এখন এই চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই। তার মা স্কুলে চলে যান। ফেরেন দুপুর ৩টায়। ততক্ষণ পর্যন্ত তালহাকে দেখেশুনে রাখেন তারা সদ্য হজ্জ্ব ফেরত বাবা। এবারের হজ্জ্বে গিয়ে তিনি অনেক ডিভিডি কিনে এনেছেন যেখানে মক্কা, মদীনা, হ্জ্জ্ব, শয়তানকে পাথর মারা সহ নানাবিধ জিনিস আছে। তিনি সকালবেলা এগুলো বসে বসে দেখেন, পাশে তালহাকেও এগুলো গিলতে হয়। বাবা টয়লেটে গেলেও তালহা এগুলোও দেখে। রিমোট টিপে চ্যানেল বদলানো এখনো হাজী মোহাম্মদ তালহা শিখেননি।<br />
<br />
তিন বছর বয়সী যে শিশুর একটি রঙিন কাগজ দেখে কীভাবে সেটা দিয়ে ফুল বানাবে তা ভাবার দরকার ছিল, সে আজকে তার বোধগম্য নয় এমন একটি ভাষা বাধ্য হয়ে শুনছে। অবশ্য তালহা বুদ্ধিমান আছে। একটু দেরি হলেও সে ঠিকই শিখে ফেলবে। হজ্জ্ব থেকে ফেরার পরদিন আমাকে দেখে সে বলে উঠল - নবজী নবজী।<br />
<br />
হাজী মোহাম্মদ তালহার জন্য রইল আমার শুভকামনা।অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-19222924013463390402009-10-21T17:13:00.001+01:002010-05-16T15:56:48.907+01:00আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝছি না …যেন টোকা দিলেই কিংবা ফুঁ দিলেই চোখ থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়বে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে, দেয়ালে হেলান দিয়ে মোবাইলে কথা বলছিল মেয়েটি। পরণে নীল জিন্স আর কালো সোয়েটার। দেখেই বোঝা যাচ্ছে লন্ডনে নতুন এসেছে। মুখটা মলিন হয়ে আছে।<br />
<br />
দৃশ্যটি আমি দেখি লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে বাঙালি মালিকানাধীন একটি কলেজে। পরিচিত এক ছোটভাইয়ের এ্যাডমিশন সংক্রান্ত কাজে ওই কলেজে গিয়েছিলাম। লন্ডনে আমি দ্বিতীয়বার এরকম কোনো কলেজে গেলাম। ২ বছর আগে আরেকটি ভিসা কলেজে গিয়েছিলাম আরেকজনের সঙ্গে। তিনি ৪৫০ পাউন্ডের বিনিময়ে সারা বছরের উপস্থিতির হার ও পরীক্ষার রেজাল্ট ঠিকঠাক করে নিয়েছিলেন পরবর্তী ভিসা রিনিউয়ের জন্য।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
হোয়াইটচ্যাপেলের ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে আমার পরিচিত একজন আছেন। মেয়েটার কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানালেন মেয়েটাকে কলেজের এনরোলমেন্ট পেপার দেয়া হচ্ছে না। কারণ মেয়েটি বাংলাদেশে যে এজেন্টকে টাকা দিয়ে এসেছে সে এজেন্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে টাকাটা বুঝিয়ে দেয়নি। আমি আরো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করে যা জানতে পারলাম তা হলো -<br />
<br />
কলেজটির বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন মূল এজেন্ট রয়েছে। ধরা যাক এরকম একটি এজেন্টের নাম হলো 'ক'। এই এজেন্ট বাংলাদেশে থেকে লন্ডনের ওই কলেজের জন্য শিক্ষার্থী যোগাড় করে, টাকাপয়সা (পাউন্ডের সমপরিমাণ) নিয়ে কলেজে পাঠিয়ে অফার লেটার আনায়। এরপর শিক্ষার্থীরা ওই অফার লেটার নিয়ে ভিসার জন্য হাইকমিশনে ধর্ণা দেয়। কাজের পরিধি বাড়ানোর জন্য 'ক' এজেন্ট কিছু 'খ' 'গ' 'ঘ' সাবএজেন্ট নিয়োগ করে। ওই মেয়েটি এরকমই এক সাবএজেন্টের মাধ্যমে (ধরা যাক এজেন্ট 'গ') লন্ডনের ওই কলেজের অফার লেটার নিয়ে ভিসা পেয়ে লন্ডনে আসে। লন্ডনে এসে সে জানতে পারে তার এজেন্ট (মেয়েটি জানত না এজেন্টের মধ্যেই এতো বিভাজন) কলেজ কর্তৃপক্ষকে পুরো টাকা বুঝিয়ে দেয়নি।<br />
<br />
এখন আমি আমার কলেজীয় পরিচিতকে জিজ্ঞাসা করলাম এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের করণীয় কি? তিনি কাঁধ ঝাঁকিয়ে জানালেন কিছুই করার নাই। ওই মেয়েটির বাকি ৬০০ পাউন্ড না পাওয়া পর্যন্ত (অথচ মেয়েটির মতে এজেন্ট যা চেয়েছে সে তাই দিয়েছে) কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো এনরোলমেন্ট পেপার দিতে পারবে না। এর মানে হলো মেয়েটি কোনো ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবে না। NI নাম্বার পাবে না। আইডি কার্ড পাবে না। সর্বোপরি মেয়েটি স্টুডেন্ট ভিসায় এসেও ক্লাস করতে পারবে না।<br />
<br />
কিন্তু এসব এজেন্ট-কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যেও অনেক ভেজাল রয়ে গেছে। পুরো বিষয় জেনে আমার কাছে কয়েকটি প্রশ্ন জেগেছে। যেমন - <br />
<br />
১। 'গ' হতে পারে সাব এজেন্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে নিশ্চয়ই এজেন্ট 'ক' কে দিয়েছে। এজেন্ট 'ক' তো পুরো টাকা না পেয়ে কলেজ থেকে অফার লেটার আনতে চাইবে না। তাহলে 'ক' এজেন্ট ওই ৬০০ পাউন্ড মেরে দিয়েছে। এখন 'গ' এজেন্টের উপর দোষ চাপাচ্ছে। পুরো ব্যাপারটি দুপক্ষেরই সম্মতিতে ঘটছে?<br />
২। ধরা যাক মেয়েটি আসলেই ৬০০ পাউন্ড কম দিয়েছে। এক্ষেত্রে এজেন্ট 'গ' বিষয়টি এজেন্ট 'ক' কে জানাবে। এজেন্ট 'ক' হয়তো সুযোগ করে দিতে পারে মেয়েটিকে লন্ডনে গিয়ে বাকি টাকা পরিশোধ করতে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি।<br />
৩। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে তারা বিষয়টির কিছুই করতে পারবে না। তাহলে প্রশ্ন আসে কোন আইন অনুযায়ী একজন এজেন্ট, সাব এজেন্ট নিয়োগ করতে পারে? যদিও করেও - দায়ভার তো মূল এজেন্ট এবং কলেজেরই থাকার কথা।<br />
<br />
কলেজীয় পরিচিতজন বললেন মেয়েটি সাবএজেন্টের মাধ্যমে এসেছেন এবং তারা ওই সাবএজেন্টকে চিনেন না। মেয়েটিকে বলা হয়েছে ওই সাবএজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূল এজেন্টের কাছে ৬০০ পাউন্ড জমা দিতে। ওদিকে মেয়েটির ভাষ্যমতে ৬০০ পাউন্ড অর্থাৎ এজেন্টের চাহিদামাফিক পুরো টাকাই দেয়া হয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন মূল এজেন্ট 'ক' কে চাপ দিচ্ছে না 'গ' এজেন্টকে টাকাটার হিসাব দিতে? কলেজীয় ভাইজান তখন নিরুত্তর থাকলেন।<br />
<br />
এদিকে ছোটভাইয়ের কাজ শেষ হয়ে এসেছে। আমি আবার বারান্দায় বের হয়ে দেখি মেয়েটি তখনো ফোনে কথা বলছে। নতুন যারা আসছে তারা সবাই প্রি-পেইড মোবাইল সিম ব্যবহার করছে। এতোক্ষণ ধরে কথা বলতে গিয়ে মেয়েটির অনেক পাউন্ড খসে যাচ্ছে। মেয়েটির মুখ অন্ধকার। অপরপ্রান্তের কাউকে যেন বারবার করে অনুরোধ করছে, ভাইয়া আমি তো পুরো টাকাই দিয়ে এসেছি। এখন কি করব বুঝছি না। আরো ৬০০ পাউন্ড দিতে হলে তো আমি চলতে পারব না।<br />
<br />
হায়! মেয়েটির কাছে হয়তো ১০০০ পাউন্ডই আছে। এ সমস্যার যদি কোনো সুরাহা না হয় তাহলে ৬০০ পাউন্ড দিয়ে দিলে আর থাকবে ৪০০ পাউন্ড। একমাসের খরচ, টেনেটুনে দুই মাস। তারপর ... ?<br />
<br />
*** *** ***<br />
<br />
এবার আসা যাক আমার পরিচিত ছোটভাইয়ের বিষয় নিয়ে। ট্যুরিজম এন্ড হোটেল ম্যানেজেমেন্টে পড়তে এসেছে দুই বছরের ডিপ্লোমায়। এ বিষয়ে ভর্তি হতে প্রথম বছরের কোর্স ফি হিসেবে তাকে বাংলাদেশ থেকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৩৪০০ পাউন্ড। ভিসা মিলেছে পৌণে তিন বছরের। কলেজের প্রথম দিনে তাকে একটি ইংলিশ টেস্ট দিতে হয়। রেজাল্টে দেখা গেল তার ইংলিশ মোটামুটি ভালো এবং সে লেভেল-৪ (লেভেল-১ থেকে শুরু হয়েছে) ক্যাটাগরিতে পড়েছে। তারপরও ট্যুরিজম এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্টের মতো কড়া বিষয়ে পড়তে হলে আরো চোস্ত ইংরেজি জানতে হবে। এবং এজন্য তাকে জুন ২০১০ অর্থাৎ পরবর্তী ৯ মাসের জন্য ইংলিশ কোর্স করতে হচ্ছে। বাকি ৩ মাস ভ্যাকেশন। বাংলাদেশে পরিশোধ করা ওই ৩৪০০ পাউন্ড তার এসব ইংরেজি শিখতেই খরচ হয়ে যাবে। প্রথম বছর শেষ, টাকাও শেষ। চোস্ত ইংরেজি শেখার পর সে তার আকাঙ্খিত বিষয়ে পড়তে গেলে আবারও পরবর্তী বছরের ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে। অথচ তাকে নাকি এই ইংরেজি শেখার বিষয়ে বাংলাদেশের এজেন্ট কিছুই বলেনি। সে জানত লন্ডনে গিয়েই কলেজের প্রথম ক্লাসের দিন থেকে ট্যুরিজম এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট শিখতে শুরু করবে। কলেজীয় পরিচিতজন শ্রাগ করে জানালেন, এটাই নিয়ম। তবে তিনি আশার বাণী শোনালেন যে ইংরেজি শেখার পর পরবর্তী বছরের জন্য ভর্তি ফি কম রাখা হবে, এই যেমন ধরেন ২৪০০-২৬০০ পাউন্ড ...<br />
<br />
এবার ইংলিশ শেখানোর বুজরুকিটা শোনেন। আমি একজনকে খুঁজে পেলাম যার ইংলিশ টেস্ট খারাপ হয়েছে এবং লেভেল-১ ক্যাটাগরিতে পড়েছে। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম তারও কোর্স এন্ডিং ডেট হলো জুন ২০১০। অর্থাৎ আমার ছোটভাই লেভেল-৪ হয়েও একই সময় ধরে লেভেল-১ ক্যাটাগরির সঙ্গে একই সময় পর্যন্ত পড়াশোনা করে ইংলিশ চোস্ত করবেন। অথচ লেভেল-৪ এর যদি ৯ মাস লাগে তাহলে লেভেল-১ ক্যাটাগরির ছাত্রদের ইংলিশ চোস্তকরণে কমপক্ষে ১২ মাস লাগার কথা। একটু খোঁজখবর করে দেখা গেল লেভেল টেভেল সব ভুয়া। ইংলিশ শেখানোর কথা বলে সবার প্রথম বছরের কোর্স ফি মেরে দেয়া হচ্ছে। কলেজীয় পরিচিতজন আবারও জানালেন, এটাই নিয়ম। হোম অফিস থেকে লোকজন এসে নাকি খবরদারি করে যায়। ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশী এজেন্টরা কেন এ বিষয়টা খোলাসা করেন না?<br />
<br />
*** *** <br />
<br />
কলেজ থেকে বের হওয়ার পরও বারবার ওই মেয়েটির মুখ মনে পড়ছে। 'ভাইয়া আমি এখন কি করব কিছুই বুঝছি না' বার বার কানে বাজছে। মেয়েটির এই আর্তি বুঝিয়ে দেয় মেয়েটি ওরকম কোনো স্বচ্ছল ফ্যামিলির নয়। এই অতিরিক্ত ৬০০ পাউন্ড তার জন্য বিশাল। হয়তো সে ঋণ করে এসেছে, নতুবা বাবার জমানো সবকটা টাকায় কিনেছে স্টুডেন্ট ভিসা। এখন ...?<br />
<br />
লন্ডনের বাংলাদেশী মেয়েদের নিয়ে হঠাৎ করেই চালু হওয়া জোর গুজবে এ মেয়েটি নিশ্চয়ই সামিল হবে না এটাই কামনা করি।<br />
<br />
*** ***<br />
<br />
<b>কি করা যেতে পারে এসব ক্ষেত্রে?</b><br />
<br />
বাংলাদেশের এজেন্টদের কাছ থেকে ছাত্ররা কলেজ সম্পর্কে যেমনটা শুনে এসেছেন, লন্ডনে এসে তেমনটা যদি না মেলে তাহলে চাইলেই হোম অফিসের কাছে কমপ্লেন করা যেতে পারে। বিভিন্ন প্রমাণ সাপেক্ষে কলেজটির অনৈতিকতা যদি ধরা পড়ে তবে সেক্ষেত্রে হোম অফিস উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কলেজের লাইসেন্স বাতিল সহ। এরইমধ্যে বাংলাদেশী মালিকানাধীন কয়েকটি কলেজ হোম অফিসের থ্রেটের মুখে ব্লাকলিস্টেড অবস্থায় রয়েছে। উপরের কলেজটিও এর বাইরে নয়।<br />
<br />
<b>কিন্তু শিক্ষার্থীরা অসহায় ...</b><br />
<br />
কারণ হলো কলেজ যদি পছন্দ না হয় আপনি তা পরিবর্তন করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে -<br />
১। পুরোনো কলেজের (যেখানে ভর্তি হয়ে এসেছেন) ছাড়পত্র লাগবে<br />
২। নতুন কলেজের (যেখানে ভর্তি হতে চাইছেন) মনোনয়ন লাগবে<br />
৩। এবং <b>নতুন কলেজের প্রথম বছরের কোর্স ফি সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে যেখানে পুরোনো কলেজে পরিশোধকৃত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।</b><br />
<br />
৩ নম্বর পয়েন্টে সবাই আটকে যাচ্ছে। এছাড়াও, কোথায় যাবেন? সবই তো ভিসা কলেজ। আর নতুন এসে সবকিছু বুঝে এরকম হ্যাপা কেউই সামলাতে চায় না। তাই নিরবে সবাই মেনে নিচ্ছে।<br />
<br />
*** ***<br />
<br />
আজ সকালে সদ্য আসা (৩ দিন হয়) ৩ জনকে সময় দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ১০.৩০ মিনিটে আসতে। তারা এসেছে ১১.৪৫ মিনিটে। আজকেই প্রথম তারা লন্ডনের রাস্তায় বের হলো। এর মাঝে শুধু একদিন কলেজে গিয়েছিল। পথ হারিয়ে চিনে আসতে তাই এতো সময় লেগেছে। এয়ারপোর্ট থেকে তাদের রিসিভ করেছে যে ব্যক্তি, তিনি তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬০ পাউন্ড করে নিয়েছে। কথা ছিল, বাসা ঠিক করে দেয়া থেকে কলেজে নিয়ে এনরোলমেন্ট করিয়ে, ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিয়ে, NI নাম্বারের জন্য এপয়ন্টমেন্ট নিয়ে পারলে ছোটখাট জব খুঁজে দিবে। বাসাটাই শুধু ঠিক করে দিয়েছে, এরপরে লাপাত্তা।<br />
<br />
তাদেরকে দোকানে নিয়ে বিরিয়াণী খাওয়ালাম। প্রথম না-না করছিল কিন্তু খেতে বসে বোঝা গেল এই বিরিয়াণীর কল্যাণে সন্ধ্যা, হতে পারে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত তাদের চলে যাবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমার আফসোস বাড়ল। এরা বাংলাদেশে কখনোই ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। কমপিউটার চালায়নি। বায়োডাটা কিংবা সিভি কিভাবে লিখতে হয় জানে না। এরা Elephant Castle উচ্চারণ করছে 'এলিফ্যান্ট ক্যাস্টল'। এদের মধ্যে একজন হিন্দু। Lamb বিরিয়ানী জানার পরও সে বলছে, ভাই আমি তো হিন্দু, গরু কিভাবে খাই?<br />
<br />
*** ***<br />
<br />
'আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝছি না ...' শুধু ওই মেয়েটির হাহাকার নয়। অনেক ছেলেরও আর্তি এটা। বুঝে না বুঝে, যোগ্যতা কিংবা অযোগ্যতায় যারাই লন্ডনে এসেছে তাদের জন্য আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার নেই। পরিচিত সবাইকে জবের জন্য বলা রাখছি। কারো কাছ থেকে কোনো আশা নেই। রেস্টুরেন্টের মালিকরা সিলেটি। তাদের আত্মীয়রাও আসছে। রেস্টুরেন্টের জবগুলো তাই তাদের জন্য থেকে যাচ্ছে। এ সংকটে অনেকেই কোনোভাবে হয়তো টিকে যাবে। যারা পারবে না তাদের জন্য খারাপ লাগছে, তাদের ফ্যামিলির জন্য খারাপ লাগছে।<br />
<br />
'আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝছি না' ... এই হাহাকার আমারও ...অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-88688099145602380812009-10-19T15:43:00.003+01:002010-05-16T15:57:15.764+01:00কথোপকথন ০১- কি ব্যাপার আপনার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল নাকি? পাচ্ছিলাম না ..<br />
- হুম। আমি মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখি।<br />
- কেন? জরুরি কোনো ফোন হলে তো মিস করবেন।<br />
- মোবাইল রিংটোন আমার ভালো লাগে না। বিরক্তি লাগে।<br />
- কিন্তু আপনার প্রিয়জন যদি কখনো বিপদে পড়ে ফোন করে, তাহলে তো সাহায্য করতে পারবেন না। তখন?<br />
<a name='more'></a><br />
- এরকম এখনো ঘটেনি।<br />
- আচ্ছা আপনি মোবাইল ব্যবহার করেন কেন?<br />
- ওমা আজকালকার দিনে কি মোবাইল ছাড়া চলা যায়?<br />
- আপনাকে ফোন করে তো পাওয়া যায় না। মোবাইল ছাড়াই তো আপনার চলছে।<br />
- তা কেন হবে? আপনি কি আমাকে মোবাইলে পান না?<br />
- দুয়েকবার ছাড়া প্রায়ই পাই। কিন্তু অন্যেরা বলে আপনাকে সহজে পাওয়া যায় না মোবাইলে।<br />
- হুম, সাইলেন্ট করে রাখি তো। পরে সেটা অফ করতে ভুলে যাই। তাছাড়া মোবাইল আরেক রুমে রেখে অন্য রুমে থাকলে, ফোন এলে বুঝি না।<br />
- এর নাম তো 'মোবাইল', তাই না? ল্যান্ড ফোনের মতো করে ভাবলে কি হয়। মোবাইল হতে হবে চলমান, আপনে যেখানেই যাবেন মোবাইল সঙ্গে থাকতে হবে।<br />
- তা ঠিক। কিন্তু আমি ভুলে যাই। মাঝে মাঝে টপআপ করতেও ভুলে যাই।<br />
- তার মানে হলো মোবাইলের প্রয়োজনীয়তা আপনি অনুভব করেন না। এক কাজ করবেন? মোবাইল ছেড়ে দিন। আর ব্যবহার করবেন না।<br />
- সেটা হবে না। অনেকেই আমাকে খুঁজে পাবে না। আমার অফিসেও সমস্যা হবে।<br />
- তাহলে মোবাইল ফোনটাকে 'মোবাইল' হিসেবে চিন্তা করে সবসময় সাথে রাখুন। সাইলেন্ট করে রাখবেন না। সবসময় টপআপ করে রাখবেন। মনে রাখবেন বিপদে পড়ে কেউ ফোন করলে আপনার 'মোবাইল সাইলেন্ট' থাকার কারণে তাকে কোনো সাহায্য করতে পারবেন না। প্রবাদ আছে, দুধ দেয়া গরুর লাথি খাওয়ায় ভালো। মোবাইলের রিংটোনের কারণে আপনার বিরক্তি ঘটবে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। কিন্তু শান্ত থাকবেন ওটা ভেবে যে অনেক জরুরি কাজ, প্রিয়জন এদের কাছাকাছি থাকা যায় মোবাইলের কারণে। ঠিক আছে?<br />
- না ঠিক নাই। আমি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারব না। আমি অন্যরকম ...অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-65203222491830328952009-10-05T23:20:00.004+01:002010-05-16T15:57:39.654+01:00লন্ডনের নতুন আসা শিক্ষার্থীরা ... (ভিডিও)যারা ব্লগে, পত্রিকায় (ইংরেজি বিশেষ করে) বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দুর্দশা নিয়ে লিখছেন তাদের অনুরোধ করছি এসব বিষয় যেন কোনোভাবেই হোম অফিস কিংবা কোনো সরকারি কর্মকর্তাদের নজরে না আসে। কাগজকলমে শিক্ষার্থীরা 'অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল' এ অঙ্গীকার করেই এসেছেন। আমাদের সচেতনতা সৃষ্টির মূল কথাটি হলো - <b>যদি ৬/৮ মাস নিজ খরচে চলতে পারেন তবেই শিক্ষার্থী হয়ে লন্ডনে আসুন।<a name='more'></a></b><br />
<br />
শোনা যাচ্ছে এসব প্রতিবেদনকে আশ্রয় করে হোম অফিসের 'ফেও' ছাত্রদের পিছু লাগবে। কিছু অসৎ কলেজ (নানা দেশী) এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। রিসেশন কাটানোর প্রাথমিক ধাক্কা এসব স্টুডেন্টদের পয়সা দিয়ে সামলানো যাচ্ছে। কিন্তু অধিক শিক্ষার্থীর কারণে জনসংখ্যার হার লাঘব করতে 'ভিসা রিনিউ' রিফিউজ করা শুরু হয়েছে। আমার পরিচিত ২ জনের ভিসা রিফিউজ হয়েছে। মনে রাখবেন, এখন ভিসা পাওয়া যতো সহজ, ভিসা রিনিউ ততো কঠিন। যারা ১/২ বছরের ভিসা নিয়ে এসেছেন আগামী ২০১২ অলিম্পিকের আগে ভিসা রিফিউজের মাধ্যমে দেশে ব্যাক করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে পারে হোম অফিস।<br />
<br />
শুধু বাংলাদেশী নয় আফ্রিকান দেশ সহ উপমহাদেশের সকল দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এসেছে। তাই সবাইকে রাস্তায় সাবধানে চলতে ফিরতে অনুরোধ করছি। আফ্রিকান ছেলেপেলেরা গায়েগতরে শক্তিশালী, গভীর রাতে রাস্তায় আপনাকে হাইজ্যাক করে শেষ সম্বলটুকুও ছিনিয়ে নিতে পারে। এখন ফ্রডের পাল্লায় পড়তে পারেন, বিশেষত পাকি এবং তামিলদের থেকে সাবধান। কিছুদিন আগেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক বৃটিশ পাকি ১৯ জন বাংলাদেশীদের সোজা ইউকে বর্ডার এজেন্সীর ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। এদের মধ্যে মাত্র ১ জন মুক্তি পেয়েছে।<br />
<br />
যদি চাকরিও পানও তারপরও ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করবেন না যেন। কর্মস্থলে 'রেইড' দেয়া চালু আছে। রাতের লন্ডন <:-P দেখার জন্য অযথাই সেন্ট্রাল লন্ডন ঘুরে বেড়াবেন না। বৃটিশ গভর্ণমেন্টের 'স্টপ এন্ড সার্চ' পলিসি আপনাকে খামোখাই হয়রানিতে ফেলবে। আপনার 'ওয়েস্টার কার্ড' ঠিকমতো মেইনটেইন করবেন। এ ওয়েস্টার কার্ডের লগ দেখে যাচাই করতে পারে আপনি কলেজে ঠিকমতো গিয়েছেন কিনা। ধরা যাক আপনার কলেজ হোয়াইটচ্যাপেলে, আপনি থাকেন লেইটোনস্টোন। সপ্তাহে তিনদিন আপনার ওয়েস্টারে হোয়াইটচ্যাপেল-লেইটোনস্টোন (ক্লাসের সময়সূচি মিলিয়ে) লগ যেন থাকে সেটা ঠিক রাখবেন।<br />
<br />
আবারো বলছি - <b>যদি ৬/৮ মাস নিজ খরচে চলতে পারেন তবেই শিক্ষার্থী হয়ে লন্ডনে আসুন।</b><br />
<br />
<i><a href="http://www.facebook.com/video/video.php?v=1267435845659&saved">ভিডিওর লিংক ফেসবুকে দেয়া আছে।</a> সবার অনুমতিতে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে বলে ভিডিওটি ব্লার করে দেয়া হলো না। </i><br />
<br />
*** ***<br />
<br />
<object height="300" width="400"><param name="allowfullscreen" value="true" /><param name="allowscriptaccess" value="always" /><param name="movie" value="http://www.facebook.com/v/1267435845659" /><embed src="http://www.facebook.com/v/1267435845659" type="application/x-shockwave-flash" allowscriptaccess="always" allowfullscreen="true" width="400" height="300"></embed></object>অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3794658015974004107.post-89437666764052587472009-10-03T17:12:00.004+01:002010-05-16T15:58:41.402+01:00একটা সিনেমা বানাতে চাই - ০৩<b>নতুন, যাদের ফিল্মমেকিং সম্পর্কে আগ্রহ আছে তাদের জন্যই এ ধারাবাহিক পোস্ট। পুরোনো, যারা ইতিমধ্যেই ফিল্ম কিংবা ভিডিও মিডিয়ায় কাজ করছেন তাদের জন্য এ পোস্টে কিছুই নেই। তবে নতুনদের উদ্দেশ্যে যে কোনো পরামর্শ তারা দিতে পারেন।</b><br />
<br />
<a href="http://aloukik.amarblog.com/posts/86643">একটা সিনেমা বানাতে চাই - ০১</a> ~~ <a href="http://aloukik.amarblog.com/posts/86720">একটা সিনেমা বানাতে চাই - ০২<a name='more'></a></a><br />
<br />
*** *** ***<br />
<br />
একটি ফিল্ম তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ধাপগুলো হচ্ছে - <br />
<br />
১. প্রি-প্রডাকশন (পূর্ব প্রস্তুতি)<br />
২. প্রডাকশন (নির্মাণ সময়)<br />
৩. পোস্ট-প্রডাকশন (নির্মাণ পরবর্তী সময়)<br />
<br />
আপনার একটি গল্প আছে এবং ফিল্ম বানানোর জন্য টাকাপয়সাও আছে। তাহলে এবার দেখা যাক কোন ধাপে কি কি কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।<br />
<br />
<b>প্রি-প্রডাকশন</b><br />
এ ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ পরিকল্পনা কিংবা সিদ্ধান্ত এ ধাপেই নিতে হয়। যার প্রি-প্রডাকশন যতো শক্তিশালী হয়, তার প্রডাকশন ততো ভালো হয় এবং তার ফলে পোস্ট প্রডাকশনে প্রচুর সময় বেঁচে যায়। এজন্য খেয়াল করবেন বড় বড় হিট কিংবা বিখ্যাত মুভিগুলোর প্রি-প্রডাকশনে সময় বেশি ব্যয় হয়। পত্রপত্রিকাতেও ফিল্মের প্রি-প্রডাকশনের খবরগুলোও বেশি ছাপা হয়। বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে সত্যজিতের ১ বছর আগেই গাছ রোপণ, টাইটানিক নিয়ে গবেষণা, কারিনা কাপুর কিংবা হালের রাণী মুখার্জির সাইজ জিরো হওয়া, টিচার রেখে ক্যাটরিনার হিন্দি ভাষা শেখা - এসবই প্রি-প্রডাকশনের অন্তর্ভুক্ত। যাহোক, নিচের ক্রমগুলো দেখলেই বোঝা যাবে প্রি-প্রডাকশনের কাজ কি।<br />
<br />
১. স্ক্রিপ্ট লেখা ও গবেষণা<br />
২. কলাকুশলী নির্বাচন<br />
৩. কলাকুশলীদের সঙ্গে মিটিং<br />
৪. প্রডাকশন ক্রু নির্বাচন (বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মূলত ক্যামেরাম্যান, এডিটর, এ্যানিমেটর)<br />
৫. মিউজিক ডিরেক্টর নির্বাচন ও মিটিং<br />
৬. লোকেশন পরিদর্শন ও নির্বাচন<br />
৭. শুটিং শিডিউল<br />
৮. স্ক্রিপ্ট কারেকশন<br />
৯. কস্টিউম এন্ড প্রপস ম্যানেজমেন্ট<br />
১০. ক্রুদের সঙ্গে মিটিং<br />
১১. যাতায়াত, খাওয়া, থাকা ম্যানেজমেন্ট<br />
<br />
মূলত এ কয়টা কাজ। তবে সেট নির্মাণ ছাড়াও পাত্রপাত্রীদের চরিত্রের প্রয়োজনে বিশেষ কোনো ট্রেনিং প্রি-প্রডাকশনের আওতায় পড়ে।<br />
<br />
<b>প্রডাকশন</b><br />
প্রি-প্রডাকশনের প্ল্যান অনুযায়ী প্রতিদিন শুটিং কিংবা ফিল্মিং করে যাওয়াটাই প্রডাকশন ধাপের মূল কাজ। প্রি-প্রডাকশনে জড়ো হওয়া সকল নির্মাণশিল্পী, কলাকুশলী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এসময় পালন করে যান। প্রডাকশন টিমে যারা যারা কাজ করেন তাদের লিস্ট দেয়া হলো নিচে (বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে, স্টান্টম্যানদের বাদ দিয়ে)<br />
<br />
১. পরিচালক<br />
২. ক্যামেরাম্যান<br />
৩. লাইট ক্রু<br />
৪. প্রডাকশন ম্যানেজার<br />
৫. মেকাপম্যান<br />
৬. স্পেশাল ক্রু (ট্রলি, জিবআর্ম, ক্রেণ, রেইনমেশিন, ব্লোয়ারমেশিন ইত্যাদি)<br />
৭. এস্টিট্যান্টস (পরিচালনা, চিত্রগ্রহণ, প্রডাকশন, মেকাপ ইত্যাদি)<br />
৮. কলাকুশলী<br />
<br />
প্রি প্রডাকশনের শুটিং শিডিউল অনুযায়ীই এসময় কাজ চলতে থাকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী মাঝে মাঝে কিছু সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে। প্রতিদিনের নির্ধারিত শুটিং শেষে ছোট একটা মিটিং হয়ে থাকে পরবর্তী দিনের শিডিউল নিয়ে।<br />
<br />
<b>পোস্ট প্রডাকশন</b><br />
প্রি-প্রডাকশনের প্ল্যানিং অনুযায়ী প্রডাকশনের কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় পোস্ট প্রডাকশন। ধারণা করতে পারছেন এ সময়টার মূল কাজ 'সম্পাদনা'। প্রি-প্রডাকশন শক্তিশালী হলে, প্রডাকশনের সময় সকল কাজ সুষ্ঠুমতে সম্পন্ন হলে পোস্ট প্রডাকশন দারুণ গতিময় হয়। যাহোক পোস্ট প্রডাকশনের কাজগুলো হলো -<br />
<br />
১. সম্পাদনা<br />
২. প্যাচওয়ার্ক (রি-শুটিং ইত্যাদি)<br />
৩. নেপথ্য কণ্ঠ কিংবা ডাবিং<br />
৪. এনিমেশন (টাইটেল কিংবা স্পেশাল কোনো এফেক্টের জন্য)<br />
৫. মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে মিটিং ও আবহ তৈরি<br />
৬. কালার কারেকশন<br />
৭. মাস্টার (সম্প্রচারের উপযোগী) তৈরি করা।<br />
<br />
মোটামুটি এ হলো একটি ফিল্ম কিংবা নাটক নির্মাণের তিনটি ধাপ। বড় পর্দার (১৬ মিলি, ৩৫ মিলি, ৭০ মিলি) জন্য এ ধাপগুলোর কোনো কোনোটিতে কাজের ধরণ ও ক্রুদের পরিবর্তন হয়। তবে ডিজিটাল ফিল্মমেকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়গুলো মোটামুটি উল্লেখ করেছি (ভুল হলে মনে করিয়ে দিয়েন)। আবারও বলছি নির্মাণে প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হলো প্রি-প্রডাকশন। সবচেয়ে জোর দেয়া হয় ওই ধাপটির উপরই। আগামী পর্বগুলোতে প্রত্যেকটি ধাপের কাজগুলো সম্পর্কে আলাদা আলাদ পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।<br />
<br />
আপাতত এটুকুই। আমারফিল্ম.কম এ আপনার ফিল্ম দেখার প্রত্যাশায় রইলাম।অলৌকিক হাসানhttp://www.blogger.com/profile/16939855662391355915noreply@blogger.com0