Friday 27 June 2008

সেন্টমার্টিনের একাংশে ন্যুড বিচ তৈরি করা হোক

বাংলাদেশে বহুত সমুদ্র সৈকত আছে। কক্সবাজাররে বড়ভাই ধরলে টেকনাফ, ইনানী, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন সহ আরো ছোটখাট বিচ রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল পুরোটাই বিচ হিসেবে ধইরা লওন যায়। এসবের কিছু কিছুতে এখনো লোকজন যায় নাই। পরিচিত বিচগুলোর মধ্যে কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ বেশি জনপ্রিয়। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত এবং সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপ হিসেবে খ্যাত।
কিন্তু এসব বিচগুলোতে বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা কম। পর্যটন কর্পরেশনের মতো একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখাতে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানোর প্রচেষ্টায়। অথচ বর্হিবিশ্বে এই দ্বীপ/বিচগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানে না। এসব জায়গায় সুযোগ সুবিধাও নাই পর্যটকদের লাইগা। সুযোগসুবিধা বলতে আমরা বুঝছি একগাদা হোটেল বানানি যেখানে অতি উচ্চমূল্যে খাবার বেচা হয়। এইবার সেন্টমার্টিন গিয়া বিলা খাইয়া গেছি। এত্তো মানুষ, সারাক্ষণ চারপাশে কিলবিল করতাছে। ঢাকা আসার পথে কক্সবাজারে ঘন্টা দুয়েকের জন্য নাইমা দেখলাম সেই উচু উচু হোটেল।



খারাপ লাগলেও হাচা কতা হইল পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত দেখার কোনো খায়েশ বিদেশীগো নাই। দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত দিয়া কি বাল ফালানি যায় হেইডা নিয়া হেরা মাতা ঘামায় না। তাই তারা গোয়া চইলা যায়। প্রবাল দ্বীপে যদি পানির তলে স্কুবা ডাইভিং কইরা প্রবাল হাতান না যায় তাইলে প্রবাল দ্বীপেই বা যাইব ক্যান? একজন বিদেশি কক্সবাজারে গিয়া কি করব? রাস্তায় হাঁটতে গেলে পাবলিক মাইয়াগো দুধের দিকে চাইয়া থাহে। বিকিনি পইরা গোসল করন যায় না। কোনো ওয়াটার রাইড নাই। সারা শরীর ঢাইকা গোসল যদি করেও তাইলে সন্ধ্যার পর কি করব? বার্মিজ মার্কেট গিয়া পুতি, গামছা আর উপটান কিনব মুখে মাখার লাইগা? এত্তো এত্তো টাকা লইয়া যদি আসেই বা তাইলে জুয়া খেইলা সেই টাকা এদেশে রাইখা যাওনের মতো ক্যাসিনো কই? রাত্রেবেলায় ক্যাম্পফায়ার করনের খায়েশ জাগলে নির্ঘাত হেগোরে ছুরিকাঘাতে জীবন দিয়া যাইতে হইব এই দেশে। পানির কাছে আইসা পানির মইদ্যে থাকনের কোনো সুযোগ নাই। সিগারেটের পুটকি, পেলাশটিক, ছাগলের লাদি কি নাই বিচের মইদ্যে। শান্তিতে হাটনও তো যায় না। দেশি লোকেরাই মজা পায় না তো বিদেশিরা মুততে আইব বাংলাদেশের সীবিচে?
অথচ মালদ্বীপের দিকে তাকালে আমরা কি দেখি? সমুদ্রবেষ্টিত দেশটির আয়ের প্রধান উৎস সামুদ্রিক মৎস। এরপরেই রয়েছে পর্যটন। সমুদ্রকে কেন্দ্র করে নানান আয়েজন করে রেখেছে দেশটি। বিশ্বসুন্দরি প্রতিযোগিতাও হয়েছিল সেইদেশে। নিচের ছবিগুলা দেখুন। মালদ্বীপ সম্পর্কে আর কিছু বলতে হবে না। মালদ্বীপের উদাহরণ টানলাম কারণ এটা একটি মুসলিম দেশ। দেখুন আর নিজের দেশের বিচগুলার কথা ভাইবা আফসোস করুন।









বাংলাদেশের কিন্তু সৌন্দর্য্যের অভাব নেই। শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলকে মাথায় রেখে প্ল্যান করলে দেশ বৈদেশিক মুদ্রায় ভেসে যেত। শুধু সেন্টমার্টিন দিয়েই তো কোটি কোটি ডলার ইনকাম করা সম্ভব। নিচের ছবিটা দেখুন।

মনে হচ্ছে না এটা সেন্টমার্টিন আর অদূরের ওইটা ছেড়াদ্বীপ? হুমম, কিন্তু এটা হচ্ছে মালদ্বীপের ছোট দুইটি দ্বীপ। অথচ দেখেন সেন্টমার্টিনের সঙ্গে কি চমৎকার মিল। আসেন এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে আপনি দ্বীপটি সাজান। কোথায় কি কি হবে সেটা বসিয়ে দিন। আমি কি কি চাই সেটা জানিয়ে দিচ্ছি।
প্রবেশ ফি : এই প্রস্তাবে আপনারা নাখোশ হইতে পারেন। কিন্তু আমার সাফ কথা হইল সেন্টমার্টিন ঢুকতে পয়সা লাগব। বাঙালিরে বহুত ফ্রি দেয়া হইছে, তাই জায়গায় জায়গায় হাইগা রাখছে। সব বন্ধ। তবে এই প্রবেশ ফি বাংলাদেশের যেখানে সেখানে দেয়ার সুযোগ থাকবে। পোস্টঅফিসগুলোতে অথবা নির্ধারিত দুয়েকটি সরকারি ব্যাংকে প্রবেশ ফি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার প্ল্যান করতে পারেন। তবে ফরমে উল্লেখিত নির্ধারিত তারিখের পর আপনি সেন্টমার্টিনে গেলে ঢুকতে দেয়া হবে না। সেক্ষেত্রে ঘাটে কিংবা সেন্টমার্টিনে প্রবেশমুখে পুনরায় প্রবেশ ফি দিয়ে অনুমতি আদায় করতে পারেন।
পরিবহন ব্যবস্থা : সেন্টমার্টিন পরথম গেছিলাম ট্রলারে কইরা। দ্বীপের অনেকদূরে ট্রলার থামাইয়া দিছিল। ছোট ডিংগি নৌকা কইরা পাড়ে গেছি। ট্রলারে যাইতে ভয় লাগছিল তয় মজা বহুত পাইছি। এ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য এই ব্যবস্থা আবার চালু করতে হবে। কিপ্টা পর্যটকরা কম পয়সায় এইটায় চইড়া সেন্টমার্টিন যাইব। এছাড়া যারা দিনে দিনে দ্বীপে আসা-যাওয়া করতে চান তাদের জন্য ট্রলারগুলো প্রতিঘন্টায় রওনা দেবে। অন্যান্য পরিবহনগুলার মধ্যে ইয়ট এবং ছোট দুইপাখার উভচর প্লেন থাকবে। পরিবহন ফি একটু এক্সপেন্সিভ হবে। পুরো সেন্টমার্টিনে কোনো পরিবহন থাকবে না। শুধু দ্বীপ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ছোট ট্যুরিস্ট বাস দ্বীপের চারপাশের রাস্তা দিয়ে সময় মেপে চলাফেরা করবে। যারা হোটেল বুক করবেন আগে থেকে তাদের জেটি থেকে ছোট গাড়িতে রিসিভ করা হবে এবং বিদায়ের দিন জেটিতে দিয়ে আসা হবে। ট্যুরিস্টরা যদি হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন সেক্ষেত্র ফোন করে ছোট গাড়ি (যেগুলো ঘাস, বেলাভূমি, রাস্তাসহ সবজায়গায় চলতে পারে) ডেকে আনতে পারেন। সেক্ষেত্রে ছোট ফি দিতে হবে। এছাড়া পুরো দ্বীপজুড়ে পরিকল্পনামাফিক সাইকেল লেন/ হাঁটাপথ থাকবে। ট্যুরিস্টরা সাইকেল ভাড়া করে চলাফেরা করতে পারেন।
হোটেল : উন্নতমানের একটি ৫/৭ স্টার ৮ তলা হোটেল থাকবে। এর ফ্রন্ট থাকবে সমুদ্রের দিকে। সেখানে সুইমিং পুল থাকবে। ছাদের উপরে হোটেলের নিজস্ব হেলিপ্যাড থাকবে। এটা বিশ্বের চেইন হোটেলগুলোর কোনো একটি ব্রাঞ্চ হলে সুবিধা হয়। তাহলে সেন্টমার্টিনের বিপণন ওইসব হোটেলগুলোর ওয়েবসাইটে অটোম্যাটিকালি হয়ে যাবে।
কটেজ/ ডরমেটরি/ এ্যাপার্টমেন্ট/ রিসোর্ট : সারা সেন্টমার্টিন জুড়ে তীর থেকে সাঁকো হয়ে সমুদ্রের মাঝে অসংখ্য কটেজ থাকবে। ডিজাইনটা অনেকটা অক্টোপাসের মতো হবে। এছাড়াও বিচের কোনো একজায়গায় নারিকেল গাছগুলোর নিচে কুড়েঘর টাইপ বেশ অনেকগুলো কটেজ থাকবে। কটেজগুলোর ডিজাইন নানারকম হবে। কিছু কিছু কটেজ থাকবে যেটা শুধু মাত্র ঘন্টা হিসেবে (উর্ধ্বে ৩ ঘন্টা নিম্নে ১ ঘন্টা) ভাড়ায় যাবে। একটা ডরমেটরি থাকবে কিপ্টা পর্যটকদের জন্য। দ্বীপের দুটি স্থানে ৪ তলা বিশিষ্ট এ্যাপার্টমেন্ট থাকবে যেখানে একতলা বিশিষ্ট স্টুডিও এ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এগুলো তুলনামুলকভাবে কটেজ/ হোটেলের চাইতে শস্তা কিন্তু ডরমেটরির চাইতে ব্যয়বহুল হবে। যারা দীর্ঘমেয়াদীভাবে দ্বীপে অবস্থান করতে চায় তাদের জন্য। রিসার্চার বা সাহিত্যিক টাইপের লোকজনের জন্য স্টুডিও এ্যাপার্টমেন্ট থাকার জায়গা হিসেবে ভালো হবে।
বার-রেস্টুরেন্ট- ক্যাসিনো : একটি বড় এবং মাঝারি সাইজের ২টি সহ মোট ৩টি ক্যসিনো থাকবে। ৩টি ক্যাসিনো থাকার কারণ হইল জুয়ায় হেরে গেলে লাক চেঞ্জ করার জন্য পর্যটকরা অন্য কোনো ক্যাসিনো খুঁজতে পারে (আমি যেমন তিনতাসে বেশি হেরে গেলে জায়গা চেঞ্জ করি)। দ্বীপের নানা জায়গায় ওপেন বার/ ক্লোজড বার থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের খাবারের স্বাদ নেয়ার জন্য নানান টাইপের রেস্টুরেন্ট থাকবে। বাঙালি চটকদার খাবার থাকার জন্য ছোট ছোট বুথ থাকতে পারে সারা দ্বীপ জুড়ে।
সিনেমা হল/ মুক্তমঞ্চ : একটি সিনেপ্লেক্স থাকবে যেখানে ২টি সিনেমা হল থাকবে। মুক্তমঞ্চে নানান ধরনের পার্ফমেন্স হবে। কনসার্টই প্রাধান্য পাবে বেশি।
এমিউজমেন্ট পার্ক/ রাইড : নানান ধরনের গেমস এবং রাইড থাকতে হবে। এছাড়াও ওয়াটার রাইড সহ স্কুবা ডাইভিংয়ের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আকাশে উড়াল দেয়ার মতো কিসব খেলা বিদেশী টিভিতে দেখি তার সবগুলোই বিদ্যমান হতে হবে। বিচজুড়ে চড়ে বেড়ানোর জন্য ছোট ছোট গাড়ি থাকবে। মাঝারি মানের একটা গলফ মাঠ হবে।
ন্যুড বিচ : এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং থাকতেই হবে সেন্টমার্টিনে। পুরো ন্যুড না হয়ে টপলেস হতে পারে। যতোদুর জানি দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের বিচ নেই। তাই প্রথম সুযোগটা বাংলাদেশকেই নিতে হবে। ন্যুড বিচের পাশে একটি সনা/ ম্যাসেজ পার্লার তৈরি করা যায়। সেখানে বাষ্পীয় গোসল সহ হাবিজাবি সব গোসলই করা যাবে। ন্যুডবিচকে চোখের আড়াল করার জন্য এর চারপাশ দিয়ে ঝাউগাছ দিয়ে দেয়াল তৈরি করতে হবে। শুধু সেন্টমার্টিনে প্রবেশে সময় ইয়ট/ট্রলার থেকে ন্যুডবিচটি হালকা দেখা যেতে পারে। এটা অনেকটা সিনেমার ট্রেলার দেখানো, যারা সিনেমা দেখতে চাইবেন তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে ন্যুডবিচে যাবেন।
নাইট আউট/ ক্যাম্পফায়ার : বিচের নির্ধারিত ৩/৪ জায়গায় নাইট আউট করা যাবে। কেউ তাবু খাটিয়ে কিংবা আগুন জ্বালিয়ে ক্যাম্পফায়ার করতে চাইলে তাদের জন্য এ সুবিধা রইল।
হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় এবং অথর্ব হলেও পর্যটন কর্পরেশনের সহায়তায় সেন্টমার্টিনে হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিউট খোলা যেতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী এতে ডিপ্লোমা কিংবা গ্রাজুয়েশন করতে পারে ট্যুরিজমের নানা বিষয়ে। পযর্টনের কর্পরেশনের বর্তমানে পরিচালিত কোর্সগুলো আন্তর্জাতিক মানে এখানে পড়ানো হবে। ভবিষ্যতে বিদেশি ম্যানেজমেন্ট মুখাপেক্ষী হয়ে যেন না হয়ে থাকতে হয় তারজন্য দক্ষ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। কারণ সেন্টমার্টিনের দেখাদেখি দেশের অন্যান্য বিচগুলোতেও উন্নতির ছোঁয়া লাগবে। যেহেতু আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন ৬ মাস রিস্কি তাই মূল কোর্সটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবনে পড়ানো হবে। কোর্সের প্র্যাকটিকাল পার্টের জন্য ছাত্রছাত্রিরা এখানে আসবে। বিভিন্ন রিসোর্ট কিংবা হোটেল, তারা ইন্টার্নি করবে। ফিজিতে এরকম কোর্স চালু আছে। আমার বড়ভাই করেছিল।
বাংলাদেশি বাজার : গ্রামের বাজারের মতো করে তাবু খাটিয়ে হ্যাজাক লাইট দিয়ে একটি ছোট বাজার থাকবে যেখানে দেশীয় তাঁত, হ্যান্ডক্রাফট সহ বাংলাদেশি পণ্যের বাজার থাকবে। সরাসরি নির্মাতাদের কাছ থেকে পণ্যগুলো কেনা হবে। নো চান্স ফর গ্রামীন, আড়ং কিংবা বুনন। বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো বাংলাদেশি যাবতীয় জিনিস সেখানে মজুদ থাকবে।
আবহাওয়া অফিস/ বিদ্যুৎকেন্দ্র : স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আধুনিক সুযোগসম্পন্ন একটি আবহাওয়া অফিস এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত অফিস থাকতে হবে।
সেন্টমার্টিনের যে জায়গাটায় বর্তমানে জেটি আছে সেটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। কারণ জেটির ওই জায়গাটাসহ কর্ণারটিতেই একমাত্র গোসল করা সুবিধা রয়েছে কারণ এখানটাতে পাথর কম। ন্যুডবিচের জায়গাটা হবে এখানেই। কিন্তু জেটি পরিবর্তন করে বর্তমানে যেখানে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে সেখানটাতে হতে হবে। ন্যুডবিচ যেহেতু একটি সংরক্ষিত জায়গা হবে তাই যারা ইয়টে কিংবা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে যাবে তারা যেন একঝলক ন্যুডবিচ সম্পর্কে ধারণা পায় সেজন্যই জেটিটি সরিয়ে নিতে হবে। কটেজগুলো হবে ছেড়াদ্বীপে। সীমানা পেরিয়ে নামে যে কটেজটি রয়েছে সেখানে হতে পারে মূল হোটেলটি। গলফ কোর্সটি হবে একেবারে দ্বীপের বুকে যেন বার্ডসআই ভিউটা সুন্দর আসে। সেন্টমার্টনের মূল পার্টটি একটা হইচই টাইপ এলাকা হবে। ছেড়াদ্বীপ হবে কটেজ/রিসোর্টের জন্য কারণ জায়গাটা একটু নিরব। বিচের নানা জায়গায় ভলিবল কোর্ট, টেনিস কোর্ট বানাতে হবে। রাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে লাইটিং করা হবে।
পুরো পরিকল্পনায় এমনটি মনে হতে পারে যে সেন্টমার্টিন বাংলাদেশিদের জন্য এক্সপেন্সিভ হবে। আপনি ঠিকই ধরেছেন। সেন্টমার্টিনের এই পরিকল্পনাটি পুরোপুরিই বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করতে হবে। আপনার যদি অনেক পয়সা থাকে তাহলেই সেন্টমার্টিন যাবেন। মনে রাখতে হবে বছরের ৬মাস সেন্টামার্টিনের আবহাওয়া পর্যটনের মতো থাকে না। বছরের বাকি ৬মাসে সে খরচটা তুলে আনতে হবে। বাংলাদেশিদের জন্য আরো যেসব বিচ রয়েছে সেখানে যাবেন তারা।
ন্যুড বিচ সম্পর্কে আপত্তি আসতে পারে। সেক্ষেত্রে এ বিচে কোনো বাংলাদেশিদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হবে। হাতের কাছেই উদাহরণ আছে। নেপালের ক্যাসিনোতে নেপালিরা ঢুকতে পারেন না। ওইটা শুধুমাত্র বিদেশিদের জন্য। সেন্টমার্টিন ন্যুডবিচটাও তেমনই হবে।
এখন আসা যাক ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে। প্রাথমিকভাবে দক্ষ বিদেশি কোনো ম্যানেজেমন্টের কাছে দ্বীপের ব্যবস্থাপনা ছেড়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ৫/১০ বছর পর আমরা দ্বীপটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারি। এজন্য হোটেল এন্ড ট্যুরিজম খাতে প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। সেন্টমার্টিনে কোটা বেসিসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আরো আধুনিকায়ন এবং সেখানে থেকে হেলিকপ্টারে যাওয়া-আসার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
কি বলেন আপনারা ?