আলুব্লগে প্রকৃতিপ্রেমিক জিজ্ঞাসা করছিল আজকাল আমাকে ব্লগে কেন দেখা যাচ্ছে না। আসলেই সত্যি, আগের মতো ব্লগে আর সময় দিতে পারছি না।
এ বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছি। তাই সংসার গোছাতে সময় লেগেছে অনেক। নতুন বাসায় উঠেছি। বউয়ের ব্যাংক একাউন্ট, জিপি, ইন্স্যুরেন্স নাম্বার এগুলোর পিছে সময় দিতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি যা করতে হয়েছে তা হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ। খাওয়া দাওয়া ঠিক সময়ে করার প্র্যাকটিস চালু করতে বাধ্য হয়েছি। সবচেয়ে পীড়াদায়ক যে বিষয়টি মেনে চলছি তা হলো সময়মতো ঘরে ফেরা।
আগে ব্লগে সময় দিতাম অফিসেই (এই পোস্ট লিখছি অফিস থেকে, চুরি করে, রোববার বলে)। কিন্তু পরে অফিস থেকে চাকুরি খাওয়ার হুমকি দিয়ে ব্লগিং করা বন্ধ করেছে আমার। তাই ব্লগিংয়ের মূল সময়টুকু ব্লগারদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছি। বাংলাদেশের ব্লগারদের সঙ্গে ইন্টারাকশান হচ্ছে না।
বিয়ের কারণে খরচ বেড়ে গেছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি প্রচুর। ৫ বছর ধরে শোধ করতে হবে। কমপিউটার কিনেছিলাম 'বাই নাও পে লেটার' এই সুবিধায়। আগামী মার্চ থেকে প্রতিমাসে ৮৭ পাউন্ড দিয়ে যেতে হবে। বুঝতে পারছি চারপাশ থেকে আটকে যাচ্ছি। ২০১০ এর মাঝামাঝি পুরোপুরিভাবে দেশে স্যাটল করার সম্ভাবনার উপর হুমকি আসছে। এদিকে পাউন্ডের মান পড়ে যাওয়ায় টান পড়ছে অর্থে। কি করা যায়? খরুচে স্বভাবটাও কমছে না। চিন্তা করলাম খরুচে স্বভাব পাল্টে লাভ হবে না বরং আর্নিং বাড়াতে হবে।
গতমাসে একটা গাড়ি কিনেছিলাম। এ মাসেই কিনলাম আরেক গাড়ি হোন্ডা সিভিক। দাম নিয়েছি আগেরটার তিনগুন। আশার কথা এই যে তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩০/৪০ পয়সা। এখন ৯৯ পেন্সে লিটার কিনছি।
তো আর্নিং বাড়ানোর জন্য চিন্তা করলাম গাড়ি কেনাবেচা করব নাকি? ebay থেকে পুরোনো গাড়ি কিনে কিছু বেশি দামে আবার বেচে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট। হোন্ডা সিভিক কেনার পরে আগের ভক্সওয়াগন পোলো বেচলাম ২৫০ পাউন্ড কম দামে। উহু, এ লাইনে সুবিধা হবে না। আরেক কাজ করা যেতে পারে, এখানকার বাঙালি কমিউনিটির বিয়ের ভিডিও এডিট করা যেতে পারে। এক সপ্তাহে একেকটা ভিডিওতে ৩০০/৪০০ পাউন্ড পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মন সায় দেয় না। একদিন বিখ্যাত চিত্রনির্মাতা হব বলে নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস। পরে এইসব কাজ করেছি বলে রেফারেন্স আসবে। উহু এটাও বাদ।
কালরাতে রয়েল মেইলে ক্রিসমাস ক্যাজুয়াল জবের জন্য রেজিস্টার্ড হলাম। যদিও আমার স্ট্যাটাস এই কাজ করার জন্য ইলিজিবল না। তারপরেও হুদাই কিছুক্ষণ রয়েল মেইলের সাইটে গুঁতাগুঁতি করলাম।
আবার আশা যাক ব্লগিংয়ের বিষয়ে। আলুব্লগ চালু হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থাতেই বেশ ভালো লেগেছে। দেখা যাক কতোদূর যায়। কিন্তু আমারব্লগ যেহেতু প্রথম প্রেফারেন্স, তাই আলুব্লগে যে খুব বেশি লেখা হবে তা না। সামহোয়ারে যাই না কারণ বছরে ঘুরে গেছে ব্যান তুলছে না। সত্য কথা বলতে আগের মতো ব্লগিংয়ে মজাও পাচ্ছি না।
১৯৯৯ সালটা ছিল আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। আসছে ২০০৯ সালটাও চরম গুরুত্বপূর্ণ হবে আমার জন্য। আমার অনেক ভবিষ্যত নির্ভর করছে এই সালটা আমি কিভাবে সাজাই, কতোটুকু পরিশ্রম করি। প্রচন্ড ইচ্ছা NFTS এ একটা কোর্স করব। সেই স্বপ্নেই এদেশে এসেছি। এদের ফান্ড আছে। পড়ার জন্য পয়সা-টয়সা দেয়। আমার যোগ্যতা যতোটুকু দেখা যাচ্ছে বেশ ভালোভাবেই এ্যাপ্লাই করতে পারব। সমস্যা শুধু এক জায়গাতেই। একদম ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারতে হবে। ঠেকে যাচ্ছি এ জায়গাতেই।
২০০৯ সালে তাহলে ইংরেজিই শিখি, কি বলেন? আমাজান.কম থেকে ফিল্মের উপর বেশ বইটই কিনে ডিকশনারী সামনে নিয়ে পড়া শুরু করে দিয়েছি। দেখা যাক কতোদূর যেতে পারি।
ব্লগার ব্ন্ধুরা, আমি পোস্ট/ কমেন্ট না দিলেও ব্লগিং টহল কিন্তু ছাড়া হয় নাই। আপনারা আমার নজরে আছেন। আপনাদের লেখাগুলো (যে পাড়াই হোক না কেন) পড়ছি।
এ বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছি। তাই সংসার গোছাতে সময় লেগেছে অনেক। নতুন বাসায় উঠেছি। বউয়ের ব্যাংক একাউন্ট, জিপি, ইন্স্যুরেন্স নাম্বার এগুলোর পিছে সময় দিতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি যা করতে হয়েছে তা হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ। খাওয়া দাওয়া ঠিক সময়ে করার প্র্যাকটিস চালু করতে বাধ্য হয়েছি। সবচেয়ে পীড়াদায়ক যে বিষয়টি মেনে চলছি তা হলো সময়মতো ঘরে ফেরা।
আগে ব্লগে সময় দিতাম অফিসেই (এই পোস্ট লিখছি অফিস থেকে, চুরি করে, রোববার বলে)। কিন্তু পরে অফিস থেকে চাকুরি খাওয়ার হুমকি দিয়ে ব্লগিং করা বন্ধ করেছে আমার। তাই ব্লগিংয়ের মূল সময়টুকু ব্লগারদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছি। বাংলাদেশের ব্লগারদের সঙ্গে ইন্টারাকশান হচ্ছে না।
বিয়ের কারণে খরচ বেড়ে গেছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি প্রচুর। ৫ বছর ধরে শোধ করতে হবে। কমপিউটার কিনেছিলাম 'বাই নাও পে লেটার' এই সুবিধায়। আগামী মার্চ থেকে প্রতিমাসে ৮৭ পাউন্ড দিয়ে যেতে হবে। বুঝতে পারছি চারপাশ থেকে আটকে যাচ্ছি। ২০১০ এর মাঝামাঝি পুরোপুরিভাবে দেশে স্যাটল করার সম্ভাবনার উপর হুমকি আসছে। এদিকে পাউন্ডের মান পড়ে যাওয়ায় টান পড়ছে অর্থে। কি করা যায়? খরুচে স্বভাবটাও কমছে না। চিন্তা করলাম খরুচে স্বভাব পাল্টে লাভ হবে না বরং আর্নিং বাড়াতে হবে।
গতমাসে একটা গাড়ি কিনেছিলাম। এ মাসেই কিনলাম আরেক গাড়ি হোন্ডা সিভিক। দাম নিয়েছি আগেরটার তিনগুন। আশার কথা এই যে তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩০/৪০ পয়সা। এখন ৯৯ পেন্সে লিটার কিনছি।
তো আর্নিং বাড়ানোর জন্য চিন্তা করলাম গাড়ি কেনাবেচা করব নাকি? ebay থেকে পুরোনো গাড়ি কিনে কিছু বেশি দামে আবার বেচে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট। হোন্ডা সিভিক কেনার পরে আগের ভক্সওয়াগন পোলো বেচলাম ২৫০ পাউন্ড কম দামে। উহু, এ লাইনে সুবিধা হবে না। আরেক কাজ করা যেতে পারে, এখানকার বাঙালি কমিউনিটির বিয়ের ভিডিও এডিট করা যেতে পারে। এক সপ্তাহে একেকটা ভিডিওতে ৩০০/৪০০ পাউন্ড পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মন সায় দেয় না। একদিন বিখ্যাত চিত্রনির্মাতা হব বলে নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস। পরে এইসব কাজ করেছি বলে রেফারেন্স আসবে। উহু এটাও বাদ।
কালরাতে রয়েল মেইলে ক্রিসমাস ক্যাজুয়াল জবের জন্য রেজিস্টার্ড হলাম। যদিও আমার স্ট্যাটাস এই কাজ করার জন্য ইলিজিবল না। তারপরেও হুদাই কিছুক্ষণ রয়েল মেইলের সাইটে গুঁতাগুঁতি করলাম।
আবার আশা যাক ব্লগিংয়ের বিষয়ে। আলুব্লগ চালু হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থাতেই বেশ ভালো লেগেছে। দেখা যাক কতোদূর যায়। কিন্তু আমারব্লগ যেহেতু প্রথম প্রেফারেন্স, তাই আলুব্লগে যে খুব বেশি লেখা হবে তা না। সামহোয়ারে যাই না কারণ বছরে ঘুরে গেছে ব্যান তুলছে না। সত্য কথা বলতে আগের মতো ব্লগিংয়ে মজাও পাচ্ছি না।
১৯৯৯ সালটা ছিল আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। আসছে ২০০৯ সালটাও চরম গুরুত্বপূর্ণ হবে আমার জন্য। আমার অনেক ভবিষ্যত নির্ভর করছে এই সালটা আমি কিভাবে সাজাই, কতোটুকু পরিশ্রম করি। প্রচন্ড ইচ্ছা NFTS এ একটা কোর্স করব। সেই স্বপ্নেই এদেশে এসেছি। এদের ফান্ড আছে। পড়ার জন্য পয়সা-টয়সা দেয়। আমার যোগ্যতা যতোটুকু দেখা যাচ্ছে বেশ ভালোভাবেই এ্যাপ্লাই করতে পারব। সমস্যা শুধু এক জায়গাতেই। একদম ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারতে হবে। ঠেকে যাচ্ছি এ জায়গাতেই।
২০০৯ সালে তাহলে ইংরেজিই শিখি, কি বলেন? আমাজান.কম থেকে ফিল্মের উপর বেশ বইটই কিনে ডিকশনারী সামনে নিয়ে পড়া শুরু করে দিয়েছি। দেখা যাক কতোদূর যেতে পারি।
ব্লগার ব্ন্ধুরা, আমি পোস্ট/ কমেন্ট না দিলেও ব্লগিং টহল কিন্তু ছাড়া হয় নাই। আপনারা আমার নজরে আছেন। আপনাদের লেখাগুলো (যে পাড়াই হোক না কেন) পড়ছি।
1 মন্তব্য:
আপনার লেখা মিস করি। তবে যোদ্ধার মতোই জীবনযুদ্ধ লড়ে যাচ্ছেন সেটাই বড়।
"নতুন বাসা পাল্টেছি" লাইনটি শুধরে নেন।
Post a Comment