- কি ব্যাপার আপনার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল নাকি? পাচ্ছিলাম না ..
- হুম। আমি মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখি।
- কেন? জরুরি কোনো ফোন হলে তো মিস করবেন।
- মোবাইল রিংটোন আমার ভালো লাগে না। বিরক্তি লাগে।
- কিন্তু আপনার প্রিয়জন যদি কখনো বিপদে পড়ে ফোন করে, তাহলে তো সাহায্য করতে পারবেন না। তখন?
- এরকম এখনো ঘটেনি।
- আচ্ছা আপনি মোবাইল ব্যবহার করেন কেন?
- ওমা আজকালকার দিনে কি মোবাইল ছাড়া চলা যায়?
- আপনাকে ফোন করে তো পাওয়া যায় না। মোবাইল ছাড়াই তো আপনার চলছে।
- তা কেন হবে? আপনি কি আমাকে মোবাইলে পান না?
- দুয়েকবার ছাড়া প্রায়ই পাই। কিন্তু অন্যেরা বলে আপনাকে সহজে পাওয়া যায় না মোবাইলে।
- হুম, সাইলেন্ট করে রাখি তো। পরে সেটা অফ করতে ভুলে যাই। তাছাড়া মোবাইল আরেক রুমে রেখে অন্য রুমে থাকলে, ফোন এলে বুঝি না।
- এর নাম তো 'মোবাইল', তাই না? ল্যান্ড ফোনের মতো করে ভাবলে কি হয়। মোবাইল হতে হবে চলমান, আপনে যেখানেই যাবেন মোবাইল সঙ্গে থাকতে হবে।
- তা ঠিক। কিন্তু আমি ভুলে যাই। মাঝে মাঝে টপআপ করতেও ভুলে যাই।
- তার মানে হলো মোবাইলের প্রয়োজনীয়তা আপনি অনুভব করেন না। এক কাজ করবেন? মোবাইল ছেড়ে দিন। আর ব্যবহার করবেন না।
- সেটা হবে না। অনেকেই আমাকে খুঁজে পাবে না। আমার অফিসেও সমস্যা হবে।
- তাহলে মোবাইল ফোনটাকে 'মোবাইল' হিসেবে চিন্তা করে সবসময় সাথে রাখুন। সাইলেন্ট করে রাখবেন না। সবসময় টপআপ করে রাখবেন। মনে রাখবেন বিপদে পড়ে কেউ ফোন করলে আপনার 'মোবাইল সাইলেন্ট' থাকার কারণে তাকে কোনো সাহায্য করতে পারবেন না। প্রবাদ আছে, দুধ দেয়া গরুর লাথি খাওয়ায় ভালো। মোবাইলের রিংটোনের কারণে আপনার বিরক্তি ঘটবে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। কিন্তু শান্ত থাকবেন ওটা ভেবে যে অনেক জরুরি কাজ, প্রিয়জন এদের কাছাকাছি থাকা যায় মোবাইলের কারণে। ঠিক আছে?
- না ঠিক নাই। আমি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারব না। আমি অন্যরকম ...
0 মন্তব্য:
Post a Comment