Saturday 4 October 2008

নাস্তিকেরা কেন 'ইসলাম লইয়া' বেশি ফাল পারে?

সামহোয়ারের ফেল্টুস একটা পোস্ট দিয়েছে। তাতে তিনি যে প্রশ্নটি করেছেন সেটাতে উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরুর অনেক ব্লগারই খুশিতে বগল বাজিয়ে হিম ঠান্ডায় উষ্ণ কিংবা প্রচন্ড গরমে লেবুর শরবত পান করার সুখ পাচ্ছেন। নাস্তিকদের আহবান করছেন উত্তর দিয়ে যাবার জন্য। একজন নাস্তিক হিসেবে আমি আমার কথাটা বলছি।

তবে প্রথমে একটু প্রারম্ভিকা।


নাস্তিকতা কারো কারো কাছে ফ্যাশন। কিছু কিছু নাস্তিক (ভাব-এ) আছে যারা স্মার্ট হওয়ার লাইগা নাস্তিকগিরি করে, মাঝে মাজে আস্তিকগো নার্ভ টেস্ট করে। হে্ইগুলাও একটা ছাগল। কিছুদিন আগে হযরত মুহাম্মদ নিক নিয়া এরকম এক ছাগল আমারব্লগে আস্তিকগো নার্ভ টেস্ট করছিল।

আবার কিছু কিছু আস্তিক আছে যারা রামছাগল। ওইসব নব্য স্মার্ট সাজতে চাওয়া নাস্তিকগো লগে পাল্লা দিতে গিয়া আস্তিক সাইজা পোস্ট দেয়। আধাশিক্ষিত, মুর্খ, ঢাবির ভুয়া সাবজেক্টে পড়া এসব কথা কইয়া ফাইট দেয় যদিও বাস্তবে কতোটুকু আস্তিক সেটা বোঝা যায় না।

ওইসব স্মার্ট (আদতে আনস্মার্ট) নাস্তিকদের যেমন চেনা যায় তেমনি ফেল্টুসের মতো লাইনে নয়া আস্তিকগোও এসব প্রশ্নের ধারা দেখে বোঝা যায় ওনাদের আরো দৌড়াতে হবে।

যাইহোক ফেল্টুসের প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাক। অবশ্য নাস্তিকের ধর্মকথা এ প্রশ্নের খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

একজন নাস্তিক প্রথমেই যে ধর্মটি অস্বীকার করেন তা তার ফ্যামিলি প্রদত্ত ধর্মটিই। (হযরত মুহম্মদও তাই করেছিলেন - হি হি হি) নাস্তিকের অবিশ্বাসের কাজটি শুরু হয় জন্মের পর মাথার উপর বসিয়ে দেয়া ধর্মগ্রন্থটির নানান নিয়মকানুনের বিশ্লেষণ থেকে। একাজটি যে কোনো ধর্মের যে কেউই করতে পারেন।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম। আর তাই ব্লগে, সমাজে ইসলামী জনগণ সবচেয়ে বেশি। তাই নাস্তিক্যবাদ নিয়া যখনই আলোচনা হয় তখনই ইসলামকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। কারণ অন্য ধর্মের প্রসঙ্গে ইসলামী আস্তিকরা তো ভাবেনই না। আজকে আরিফুর রহমান কিংবা নাস্তিকের ধর্মকথা যদি ইহুদী কিংবা খ্রীস্টান ধর্ম নিয়া লেখে তখন ইসলামী ভাইয়েরা কইব, হো হো ঠিক কথাই তো কইছে। ওইসব ধর্মগুলা এমুন ফাউলই।

তো এতে নাস্তিকদের মূল ভাবনা অর্থাত পৃথিবীর তাবত ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস প্লাস মানুষের সাম্যতা এতে প্রকাশ পায় না। তাই এগোতে হবে আপনার বিশ্বাসের জায়গা থেকে ভাঙ্গতে হবে আপনার না বুঝেই পেয়ে যাওয়া উত্তরাধিকার সূত্রের ধর্ম, বিশ্বাস যুক্তির আলোকে। আগেই বলছি স্বাভাবিকভাবেই ইসলাম অনুসারী বাংলাদেশে বেশি। নাস্তিক হওয়ার পর প্রথম আঘাত এইসব ইসলামী বন্ধু, আত্মিয়দের কাছ থেকেই বেশি আসে। তাই এই ইসলাম নিয়েই কচকচি বেশি হয়।

আস্তিকরা জানতে চান ইসলাম নিয়েই নাস্তিকগো এতো মাথাব্যথা কেন? তারা যদি আশা করেন যে মুসলমান ফ্যামিলি থেকে আগত ওইসব নাস্তিকরা ইসলাম ছাড়াও অন্য ধর্ম নিয়ে লিখবে তখন কি ওইসব আস্তিকরা সুশান্তের মতো হিন্দু ফ্যামিলি থেকে আসা নাস্তিকের ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখা সইতে পারবেন?

নাস্তিক হইতে গেলে তাকত লাগে। পয়দা হইয়া আস্তিক সাইজা থাকা যায়। কিন্তু নাস্তিক হইতে গেলে অনেক চর্চার ভিতর দিয়া যাইতে হয়। এই সাহস সবার হয় না। সবার হতেও নেই মনে হয়।

0 মন্তব্য: