Monday 3 November 2008

আওয়ামী লীগের খুশির কারণ তারা ইলেকশনে জিতবে

সচলের এই পোস্টে প্রশ্ন করা হয়েছে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণায় আওয়ামী লীগ এতো খুশি কেন? সচলে কমেন্ট করি না তাই এখানে বলছি। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতবে বলেই এতো খুশি হচ্ছে। কয়েকটি সম্ভাবনার কথা বলা যাক ...


১। সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস অবশ্যই সাম্প্রতিক সময়ের মেয়র ইলেকশনের দারুণ সাফল্য।
২। বিএনপির বর্তমানে লেজেগোবরে অবস্থা। এর সুযোগ পাবে আওয়ামী লীগ
৩। এরশাদ সহ এলডিপি, বিকল্পধারা বড় কামড় বসাবে বিএনপির ঘাড়ে।
৪। বাংলাদেশের মানুষ জামাতের ভন্ডামি সম্পর্কে আরো সচেতন হয়েছে।
৫। ইসলামী দলগুলোর কারণে দেশের ভাবমুর্তির বিষয়টি নিয়ে জনগণ সচেতন রয়েছে। (এখন জলিল ফট করে কোনো চুক্তি না করলেই হয়।)
৬। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত হতে পারে।
৭। বুদ্ধিজীবী কিংবা সুশীলশ্রেণীর লোকদের আওয়ামীপ্রীতি একটু বেশি (সবক্ষেত্রে নয়)। তাই এরা প্রতি নির্বাচনেই প্রভাবক ভূমিকা রাখে।

কিন্তু সবচেয়ে বড় যে কারণে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতবে সেটা কিন্তু অন্য বিষয়। আওয়ামী লীগের হর্তাকর্তারা বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন কিনা জানি না। যদি না ভেবে থাকেন তবে এই পোস্ট পড়ার পর কোনো ব্লগার আওয়ামী লীগকে ইমেইল করে জানিয়ে দিতে পারেন। হা হা হা হা ...

যাই হোক কারণটা বলি।

নির্বাচন হবে ১৮ ডিসেম্বর। মোটামুটি ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধের কথা চলে আসবে পত্রপত্রিকায়, সেমিনারে, ঢাবিতে, নির্বাচনের প্রচারণায়। আর এরই সুযোগ নিতে হবে আওয়ামী লীগকে। জামায়াতের ভোটব্যাংক বিএনপিকে জিততে সাহায্য করে। এই জামাতী ভোট কাটতে কিংবা ভাসমান (বিএনপিপন্থী কিংবা কোনো দলপন্থী নয়) ভোটারদের ভোট নিজের ঘরে টানার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে। এই চেতনাকে টেনে নিয়ে যেতে হবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাকেমুখে রক্ত তুলে মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে বেচে তবেই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনের প্রচারণা শেষ করতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর সমস্ত প্রচারণা বন্ধ থাকবে তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারণা চালাতে পারবে না জামাত-বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে নিয়ে ভোটাররা আবারও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনবে।

আওয়ামী লীগের সহায়ক শক্তি হিসেবে ঘাদানি, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, জামাতের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে লাথি খাওয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় সংগঠন মাঠে নামবে। ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের এতো কাছাকাছি দিনে নির্বাচন হওয়ার সুবিধা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভেবেচিন্তেই আওয়ামী লীগকে দিয়েছে কিনা জানি না তবে ভোটের দিন গন্ডগোল হলেও তা শুধরানোর জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের।

সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের জনগন সরকারে পরিবর্তন দেখতে চায় সবসময়ই। তো বেটার দল হিসেবে আওয়ামী লীগই প্রথম পছন্দ হবার কথা। আর তাইতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সবকিছুতেই আওয়ামী লীগ খুশি।

1 মন্তব্য:

Suman Chowdhury said...

এইরকম ভাবনা অযৌক্তিক না। সমস্যা হইল ১১ জানুয়ারী ২০০৭ থিকা কোন কিছুই আগের ফর্মুলাতে চলে নাই এক মামারা ছাড়া। তাদের মতলব এই মুহুর্তে কী সেইটা নির্ভর করতেছে আরো কয়েকটা এক্স ফ্যাক্টরের উপর। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচন আমাদের পরিচিত ১৯৯১-২০০৬ আমলের না। সেইটা আমাদের অপরিচিত কিছুই হইবো। নির্বাচন ১৮ ডিসেম্বর হবে কী না সেইটাও ১৮ ডিসেম্বরের আগে ক্লিয়ার না। আওয়ামী লীগ যদি গদীতে বসেও সেই বসা ১৯৯৬ এর মতো হবে না। লগে অন্য ফেউ থাকার প্রবল সম্ভাবনা।