Monday 9 July 2007

ছাগু বিষয়ক দুইটি গল্প


১ম গল্প

একদা এক ছাগু বেহেশতে গমন করিল। সেথায় ঘুরিতে ঘুরিতে এক হূররে দেখিতে পাইল ছাগু। ইহা দেখিয়া তাহার কামভাব হঠাতই জাগ্রত হইয়া উঠিল এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে আব্দারকরণে তাহাকে কাম-কর্ম সম্পাদনের অনুমতি প্রদান করা হইল। তাহার কিছুক্ষণ পরেই ছাগুর আরও একটি হুর-রে দেখিয়া পুনরায় কামভাব জাগিয়া উঠে এবং সে যথারীতি সৃষ্টিকর্তার কাছে এ বিষয়ে আব্দার করিয়া অনুমতি আদায় করিল। সৃষ্টিকর্তা গরজ করিলেন না, কারণ ৭০টি হুর হইল ছাগুর গিয়া আপার লিমিট।যাহা হোক, কামপর্ব সমাপ্ত হইবার পর ছাগু মহাচিন্তিত হইয়া পড়ে। কিরূপে ছাগু তাহার নি:সৃত বীর্য অর্থাত মাল পরিষ্কার করিবে ? চারিদিকপানে চাহিয়া ছাগু কোনো উপায় খুঁজিয়া পায় না। অবশেষে বেহেশতের এক উদ্যানে আসিয়া ছাগু বেজায় খুশি হইয়া উঠে। সেখানে সে দেখিতে পায় এক ঘোছা ঘাস। ঘাস দেখিয়া ছাগু তাহার ত্রি-ঠ্যাং লইয়া আগডুম বাগডুম ভঙ্গিতে 'জিআরই' 'জিআরই' চিতকার করিয়া ছাগুনৃত্য শুরু করে। এই ঘাস ছাগু খাইবে না বীর্য মুছিবে। অবশেষে ছাগু বীর্য মুছিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আফটার অল বেহেশত বলিয়া কথা। যাহা ভাবা, তাহা কাজ চিন্তা করিয়া ছাগু যেই না একগোছা ঘাস টানিয়া ছিড়িয়াছে অমনি কে জানি তাহার গালে প্রচণ্ড জোরে কষিয়া এক চড় বসাইয়া দিল। ছাগু প্রচন্ড ব্যাথা পাইয়া চমকিত হইয়া দেখে আশু ক্রোধান্বিত হইয়া তাহার দিকে তাকাইয়া আছে।

ছাগু খুব কষ্ট পাইয়া আশুরে জিজ্ঞাসা করিল, ''চড় দিলেন কেন আশু ভাই ?''

আশু কয়, ''দ্যাখ ছাগু। ফ্রি (মুফতে) পাইয়া পরপর দুইটা হুরকে লাগাইয়াছিস তাহা ঠিক আছে। কিছুই বলি নাই। কিন্তু এখন আমার বাল টানিয়া ছিড়লি কেন, তাহা আগে বল?''

ছাগু কিছু না বলিয়া দুই গালে হাত বুলাইয়া 'জিআরই জিআরই' উচ্চারণ করিতে করিতে উক্ত স্থান হইতে প্রস্থান করিল।



২য় গল্প

তখনও ছাগু পৃথিবীতে বর্তমান। মারা যাইবার পর বেহেশত লভ্য হইবে কি হইবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় ছাগু একপ্রকার টেনশন লইয়া দিন গুজরান করিত। অত্যধিক মাত্রায় টেনশন করিতে গিয়া তাহার শরীরে ব্যামো বাসা বাঁধিল, বিছানা লইল ছাগু। ডাক্তার মহাশয় আসিয়া তাহার চিকিতসা শুরু করিলেন। নানাবিধ পরীক্ষা করিয়া ডাক্তার সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন এবং ঘোষণা করিলেন, অদ্য হইতে ছাগুকে তাহার সমস্ত আহারকার্য পশ্চাতদেশের ফুটো দিয়া সম্পাদন করিতে হইবে। এবং তাহাতেই তাহার ব্যামো নিবারণ সম্ভব হইবে। ডাক্তার মহাশয়ের সিদ্ধান্ত শুনিয়া ছাগু অতিশয় বিমর্ষ হইল। পশ্চাতদেশের ফুটো দিয়া সে অন্য কার্য সম্পাদনে অভ্যস্ত ছিল এবং এ বিষয়ে সমস্ত দায়িত্ব সে তাহার হুজুরে আওলা হোসেইন ও তাহার এ-টিমকে দিয়াছিল। তারপরও আরোগ্যলাভের আশায় ছাগু ডাক্তারের পরামর্শ মানিয়া চলিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিল।

ইহার পরে পৃথিবীতে আরো বেশ কয়েকবার সূর্য উদিত ও অস্ত গিয়াছে। ছাগু নিয়ম করিয়া নিয়মিতভাবে তাহার পশ্চাতদেশের ফুটো দিয়া খাদ্যবস্তু গ্রহণ করিতে থাকিল এবং নিজে কিঞ্চিত সুস্থ বোধ করিল। কিন্তু একদিন, 'জিআরই' বিষয়ক কিছু কার্যাবলী সম্পন্ন করিবার জন্য ছাগুর গুলশানে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। সে নিমিত্তে ছাগু বাসস্টপে দাঁড়াইয়া ছিল বাসের প্রতীক্ষায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও বাসের দেখা মিলছিল না। ছাগু বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল এবং ক্রমাগত দুইপায়ের উপর নাচিতেছিল। অর্থাত কিছুক্ষণ একপায়ের উপর ভর করিয়া পরমুহূর্তে আরেক পায়ের উপর ভর করছিল। দূর হইতে দেখিয়া ভ্রম হয় যেন ছাগু নৃত্য করিতেছে।

এই ছাগুনৃত্য দূর হইতে বেশকিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করিয়া সেই ডাক্তার ছাগুর কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, ''তুমি এরকম দুইপায়ের উপর দাঁড়াইয়া নৃত্য করিতেছ কেন?''

ছাগু ডাক্তার সাহেবকে সালাম জানাইয়া বলে, ''জ্বি না, আমি নৃত্য করিতেছি না। আপনার পরামর্শ মোতাবেক আমি নিয়মিতভাবেই পশ্চাতদেশের ফুটো দিয়া খাদ্য গ্রহণ করিতেছি। আর এই মুহূর্তে আমি চুইংগাম চিবাইতেছি। তাই আপনার কাছে এটাকে নৃত্য বলিয়া ভ্রম হইয়াছে।''

ডাক্তার অতিশয় আনন্দিত হইলেন। তিনি এই প্রথম একজন পাইলেন যে তাহার পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মানিয়া চলিতেছে। ডাক্তার মনে মনে 'ছাগু ছাগু' বলিয়া সেস্থান প্রস্থান করিলেন।

0 মন্তব্য: